Low Sugar Diet: ওজন কমাতে কাজে আসে ঠিকই, তবে সবার পক্ষেই কি উপকারি 'লো সুগার ডায়েট'?
- Published by:Rachana Majumder
Last Updated:
Low Sugar Diet: এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, আবার কিছু কাজ করা জরুরিও। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী রকম!
#নয়াদিল্লি: ওজন কমানো লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে? চলছে ডায়েট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা? সে ক্ষেত্রে লো সুগার ডায়েট (Low Sugar Diet) সব সময়ই কার্যকরী। বর্তমান জীবনযাত্রায় মানুষের খাওয়া-দাওয়ার রূপরেখা আমূল বদলে গিয়েছে। চিকিৎসক মহলের একাংশের দাবি, তারই ফলে বাসা বাঁধছে স্থূলতার মতো সমস্যা আর ডেকে আনছে একের পর এক রোগ। আসলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলা খুবই প্রয়োজন। সেটা শুধুমাত্র সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং সুস্থ থাকার জন্যও। আর সে ক্ষেত্রে খাদ্যে শর্করার মাত্রা নির্দিষ্ট রাখা সব থেকে জরুরি বিষয়। তা সে কেটো ডায়েটই (Keto Diet) হোক বা একটি সুসামঞ্জস্য পূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস— খাবারে চিনির পরিমাণ কম রাখা খুব প্রয়োজন। শর্করা গ্রহণের মাত্রা কম হলে শরীরের নানা রকম উপকার হয়। কিন্তু এটাও জানা খুব জরুরি যে, লো সুগার ডায়েট ঠিক কী? এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, আবার কিছু কাজ করা জরুরিও। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী রকম!
লো সুগার ডায়েট কেন প্রয়োজন?
সাধারণ কিছু সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শরীরের ওজন কম রাখতে হয়। কিছু রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতেও প্রয়োজন শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখা। যেমন-
advertisement
advertisement
১. ওবেসিটি বা মেদ বহুলতা
২. হৃদরোগ
৩. টাইপ ২ ডায়াবেটিস
৪. উচ্চ রক্তচাপ
৫. উচ্চ মাত্রার কোলেস্টোরল
৬. নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার
৭. দাঁতের সমস্যা ইত্যাদি
লো সুগার ডায়েটে কী কী থাকে?
লো সুগার ডায়েট না হয় মেনে চলা হল। কিন্তু খাদ্যতালিকায় কী থাকবে?
এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে যাতে শর্করার পরিমাণ কম। কিন্তু অন্য দিক থেকে তা আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাবে। এমন কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ শাকসবজি, ফল, দানা শস্য, বিন, শিম, মাছ, মশলাপাতি, চর্বিহীন প্রোটিন, বাদাম, বীজ, মিষ্টি আলু প্রভৃতি। এ সব খাবারের মধ্যে শর্করার পরিমাণ কম, ক্যালোরির পরিমাণও কম। কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর। সব থেকে বড় বিষয় হল এ সব খাবারে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, জিঙ্ক-পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ যা, আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়াতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে তা বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক রোগ বা উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখতেও সাহায্য করে।
advertisement
যে সব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?
সারা দিনে আমরা এমন অনেক খাবার খেয়ে থাকি যার আসল গুণাগুণ বা ক্ষতিকর দিকটি খেয়াল করি না। যে সব খাবারে শর্করার পরিমাণ বেশি সে সব খাবার নিত্য দিনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই ভাল। যে সব ফলে শর্করার পরিমাণ বেশি (High Glycemic Index Scale) যেমন, আনারস, আম, পেপে, তরমুজ, আঙুর ইত্যাদি কম পরিমাণে খাওয়াই ভাল। সাদা পাঁউরুটি, ময়দা, প্রসেসড চিনি, ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটজাত খাদ্য যেমন, চিপস, বিস্কুট, অতিরিক্ত অ্যালকোহল বাদ দেওয়াই ভাল। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।
advertisement
লো সুগার ডায়েট ঠিক কী ভাবে আমাদের উপকারে আসে?
ডায়াবেটিসের মতো ক্রনিক রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে এক এবং একমাত্র পথ হতে পারে এই লো সুগার ডায়েট। তা ছাড়া, এতে খুব সহজে শরীরের ওজন ধরে রাখা সম্ভব। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। রক্তে ভাল কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাতে হৃদরোগের সম্ভাবনা কম হয়। শুধু তাই নয়, গবেষণা বলছে, এ ধরনের খাদ্যাভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ত্বকের উপরও বিশেষ প্রভাব ফেলে খাদ্যাভ্যাস। লো সুগার ডায়েটের ত্বকও ভাল থাকে।
advertisement
লো সুগার ডায়েটের কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
view commentsতবে লো সুগার ডায়েটের সবই যে উপকারের দিক, তা নয়। কারণ শরীরের শর্করারও বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। খুব বেশি মাত্রায় রক্তে চিনির পরিমাণ কমে গেলে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। দিনের পর দিন শর্করা বিহীন খাদ্যাভ্যাস অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের গোলমাল হলে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। কারণ হয় তো রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি কমে গিয়েছে। ফলে সব কিছুই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো করা উচিত। ক্লান্তি বা দুর্বলতা বোধ হলে আপেল, কলা, কমলা লেবুর মতো ফল খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ সব ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের পক্ষে উপকারী।
Location :
First Published :
April 08, 2022 4:38 PM IST