হোম /খবর /Explained /
২৫০ বছরের পুরনো অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের বিলুপ্তি, এবার কী কী পরিবর্তন ?

EXPLAINED: ২৫০ বছরের পুরনো অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের বিলুপ্তি, এবার কী কী পরিবর্তন আসতে পারে?

The seven new entities that are being spun out of OFB will function like other defence public sector enterprises (representational photo)

The seven new entities that are being spun out of OFB will function like other defence public sector enterprises (representational photo)

What changes for Ordnance Factory Board and its workers: গোটা ব্যবস্থাকে সাতটি ডিপিএসইউ অর্থাৎ ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস (Defence Public Sector Undertakings) বা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

  • Share this:

#নয়াদিল্লি: ২৫০ বছরের পুরনো অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড (Ordnance Factory Board) ভাঙল কেন্দ্র। ১ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হয়েছে। গোটা ব্যবস্থাকে সাতটি ডিপিএসইউ অর্থাৎ ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস (Defence Public Sector Undertakings) বা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের আওতায় থাকা তাবৎ কর্মী, সম্পদ, কারখানা এবং দফতর এবার থেকে সাতটি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অন্তর্ভুক্ত হবে। বোর্ডে কর্মরত কর্মচারীরা এখন থেকে ওই সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অধীন চলে যাবে। প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে নতুন নিয়ম তৈরি করতে হবে এই সংক্রান্ত। সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যে পদে যে কর্মী আছেন এবং যে বেতন কাঠামোর অন্তর্গত তাঁরা, সেটা একই থাকবে। তাতে কোনও হেরফের হবে না। স্বাভাবিক কাজকর্মের স্বায়ত্তশাসন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলিতে নতুন বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ( Ministry of Defence) বিবৃতিতে বলেছে, উৎপাদন ও অ-উৎপাদন, উভয় ইউনিটে কাজ করা কর্মচারীদের নতুন ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস-এ স্থানান্তরিত করা হবে। এই কর্মচারীদের ফরেন সার্ভিসের শর্তে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু তারা ডেপুটেশন ভাতা পাবে না। ২ বছরের ডেপুটেশন ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প অনুযায়ী অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের সংস্কার ঘটিয়ে গড়ে তোলা হবে কর্পোরেট ধাঁচের পরিচালন ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের (OFB) উত্তরসূরি সংস্থা অর্ডন্যান্স ডিরেক্টরেট গড়েছে কেন্দ্র। যার ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ইআর শেখ (ER Sheikh)।

আগে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডর অধীনে যা যা ছিল:

১) গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক: এমুনেশন ফ্যাক্টরি খাদকি। করডাইট ফ্যাক্টরি, অরুভানকাডু। হাই এনার্জি প্রজেক্টাইল ফ্যাক্টরি, তিরুচিরাপল্লী। হাই এক্সপ্লোসিভ ফ্যাক্টরি, খাদকি। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, ভান্ডারা। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, বলাঙ্গীর। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, চন্দ্রপুর। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, দেহু রোড। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, ইতার্সি। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, খামারিয়া। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, নালন্দা। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, ভাড়াগাঁও।

২) যানবাহন: ইঞ্জিন ফ্যাক্টরি, আবাদি। হেভি ভেহিকেল ফ্যাক্টরি, আবাদি। মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, আম্বরনাথ। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, মেডক। ভেহিকেল ফাক্টরি, জবলপুর।

৩) অস্ত্র এবং সরঞ্জাম: ফিল্ড গান ফাক্টরি, কানপুর। গান ক্যারেজ ফ্যাক্টরি, জবলপুর। গান এন্ড সেল ফ্যাক্টরি, কাশিপুর। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, কানপুর। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি প্রজেক্ট, করোয়া। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, তিরুচিরাপল্লী। রাইফেল ফ্যাক্টরি, ইছাপুর। স্মল আর্মস ফ্যাক্টরি, কানপুর।

৪) সৈন্য বাহিনীর পোশাক পরিচ্ছদ: অর্ডন্যান্স ক্লথিং ফ্যাক্টরি, আবাদি। অর্ডন্যান্স ক্লোথিং ফ্যাক্টরি, শাহজাহানপুর। অর্ডন্যান্স ইকুইপমেন্ট ফ্যাক্টরি, কানপুর। অর্ডন্যান্স ইকুপমেন্ট ফ্যাক্টরি, হযরতপুর।

৫) আনুষঙ্গিক: গ্রে আয়রন ফাউন্ড্রি, জবলপুর। মেটাল এন্ড স্টিল ফ্যাক্টরি, ইছাপুর। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, অম্বরনাথ। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, আম্বাজারি। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, ভুসাওয়াল। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, দমদম। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, কাটনি। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, মুরাদনগর।

৬) অপ্টো: ইলেকট্রনিক্স- অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, চণ্ডীগড়। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, দেরাদুন। অপ্টো- ইলেকট্রনিক্স ফ্যাক্টরি দেরাদুন।

৭) প্যারাশুট: অর্ডন্যান্স প্যারাশুট ফ্যাক্টরি, কানপুর।

কী কী পরিবর্তন হল?

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ২৮ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ভেঙে ফেলে এর অধীনে থাকা ৪১টি কারখানা এবং ৭০ হাজার কর্মচারীকে এখন সাতটি সরকারি সংস্থার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। ওই সাতটি প্রতিরক্ষা সংস্থা হল- মিউনিশন ইন্ডিয়া লিমিটেড (Munitions India Ltd), আর্মার্ড ভেহিকেলস নিগম লিমিটেড ( Armoured Vehicles Nigam Ltd), অ্যাডভান্সড ওয়েপনস অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড (Advanced Weapons and Equipment India Ltd), ট্রুপ কমফোর্টস লিমিটেড (Troop Comforts Ltd), যন্ত্র ইন্ডিয়া লিমিটেড (Yantra India Ltd), ইন্ডিয়া অপটেল লিমিটেড এবং গ্লাইডার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড (India Optel Ltd and Gliders India Ltd)।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বছরের শুরুতে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার পরিকল্পনায় অনুমোদন দেয়। দক্ষতা বৃদ্ধি, নতুন ব্যবসায়িক বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সরকার। যদিও কর্মচারীদের সংগঠন ওএফবি-কে কর্পোরেট করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। অবশ্য সরকার জানিয়ে দেয় এতে কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে।

অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড কী?

অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ভারতের ৪১টি অর্ডন্যান্স কারখানার সমন্বয়ে গঠিত একটি শিল্প সংস্থা। যারা বায়ু, ভূমি এবং সমুদ্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রগুলিতে গবেষণা, উন্নয়ন, উৎপাদন, পরীক্ষা, বিপণন এবং রসদ সরবরাহে বিশেষজ্ঞ। এর অধীনে ৪১টি কারখানা, ৯টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ৩টি আঞ্চলিক বিপণন কেন্দ্র এবং সুরক্ষার জন্য ৪টি আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র রয়েছে। ওএফবি-র যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। ১৭১২ সালে ডাচ অস্টেন্ড কোম্পানির হাতে গড়ে ওঠে ভারতের প্রথম আধুনিক অস্ত্র নির্মাণ কারখানা। ইচ্ছাপুরের সেই কারখানা রমরম করে চলেছিল পলাশির যুদ্ধ পর্যন্ত। কিন্তু এর পরেই ভারতে, অন্তত বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একাধিপত্য প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ইচ্ছাপুরের কারখানার ভবিষ্যতও। ১৭৭৫ সালে ব্রিটিশরা কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে বোর্ড অফ অর্ডন্যান্স (Board of Ordnance) প্রতিষ্ঠা করে। এর পর ১৭৮৭ সালে ইছাপুরে একটি বারুদ কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০১ সালে কাশীপুরে গান ক্যারেজ কারখানা স্থাপন হয়। বর্তমানে, ৪১টি কারখানায়য় অস্ত্র, গোলাবারুদ, সামরিক সরঞ্জাম, প্যারাশুট সহ অন্যান্য সামগ্রী তৈরি হয়। ওএফবি হল ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত সবচেয়ে প্রাচীন সংস্থা। ওএফবি হল বিশ্বের ৩৭ তম বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক, এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারতের মধ্যে বৃহত্তম। এর বার্ষিক লেনদেন প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। জানা যায়, দু'টি বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের যাবতীয় অস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিল ওএফবি-র কারখানাগুলি। স্বাধীনতার সময় পর্যন্ত দেশে মোট ২৬টি অস্ত্র নির্মাণ কারখানা গড়ে তোলা হয়েছিল। দেশভাগের পর তার ১৮টি থেকে যায় ভারতে। এছাড়াও পরে আরও ২৩টি কারখানা গড়ে তোলা হয়।

অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে কর্পোরেট ধাঁচে গড়ার কারণ কী?

কেন্দ্র ঘোষণা করেছিল যে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের ৪১টি কারখানা সাতটি নতুন সরকারি সংস্থার অধীনে একত্রিত হবে, যার সবগুলিই সরকারি মালিকানাধীন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক উল্লেখ করেছিল, গত দুই দশকে টিকেএ নায়ার কমিটি (TKA Nair Committee), বিজয় কেলকার কমিটি (Vijay Kelkar Committee), রমন পুরি কমিটির (Raman Puri Committee) মতো বেশ কয়েকটি হাই পাওয়ার কমিটি সুপারিশ করেছিল যাতে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে সরকারি বিভাগ থেকে বের করে কর্পোরেট ধাঁচে গড়া যায়। ওএফবি ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনাটি বেশ কিছুদিন ধরে সরকারের এজেন্ডায় ছিল, যা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর পরই প্রস্তাবিত হয়েছিল। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কমিটি (Cabinet Committee on Security) এই বছরের ১৬ জুন এই পরিকল্পনা অনুমোদন করে।

অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে কর্পোরেট ধাঁচে গড়ে কী লাভ হবে?

সাতটি নতুন সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (Hindustan Aeronautics Ltd ) বা ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের (Bharat Electronics Limited) মতো প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ের মতো কাজ করবে। যদিও এর মূল লক্ষ্য হল ভারতের সেনা বাহিনীর প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের চাহিদা দ্রুত পূরণ করা। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানির কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির বিষয়টি দেখভাল করবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) নেতৃত্বাধীন একটি মন্ত্রীগোষ্ঠী।

অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের পুনর্গঠনের প্রয়োজন কেন?

২০১৮ সালে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (Comptroller and Auditor General) একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে অর্ডন্যান্স কারখানাগুলিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হচ্ছিল। বিভিন্ন অর্ডন্যান্স কারখানাগুলি ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষে অনেক কারখানা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪৯ শতাংশ অর্জন করতে পেরেছিল। সিএজি (CAG) যোগ করেছে যে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী গোলাবারুদ সরবরাহ করতে পারেনি কারখানাগুলি। যা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা ও সর্বোপরি দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

উৎপাদনে অপ্রতুলতা এবং সরবরাহে দেরি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ভেঙে ফেলার পিছনে একটি প্রাথমিক কারণ বলে মনে করা যেতে পারে। অনেকেরই দাবি, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড (OFB) প্রযুক্তি, গুণমান এবং দক্ষতার ক্ষেত্রে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেনি। অথচ, ভারত বিশ্বের সব চেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক। এদের গোলাবারুদের মান সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ গোলাবারুদের কারণে ৪০৩টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন সেনার মৃ্ত্যু হয়েছে, ১৫৯ জন জখম হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে ৯৬০ কোটি টাকার। তাই কর্পোরেটাইজেশন প্রতিরক্ষা উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। আরও লক্ষ্যণীয় বিষয় হল যে এই সংস্কার আনার প্রক্রিয়াটি খুবই পদ্ধতিগত হয়েছে। যদিও, এই দাবিতে কারখানার শ্রমিক ইউনিয়ন সমর্থন দেয়নি। গত বছর কর্পোরেটাইজেশনের বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছিল যে প্রস্তাবিত কর্পোরেটাইজেশন ও এই সংক্রান্ত উদ্বেগের বিরুদ্ধে সরকার কর্মীদের আপত্তির বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করছে। ১৬ জুন অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডর পুনর্গঠন পরিকল্পনার ঘোষণার করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘প্রায় ৭০ হাজার কর্মচারীর অবস্থার কোনও পরিবর্তন হবে না। উপরন্তু, কেন্দ্র অবসরপ্রাপ্ত এবং বর্তমান কর্মচারীদের জন্য পেনশন দেওয়া অব্যাহত রাখবে।’’ যদিও অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির সম্মিলিত কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্পোরেটাইজেশনের নামে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের বিলুপ্তির বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই মাদ্রাজ ও দিল্লি হাই কোর্টে মামলা চলছে। সরকারকে আদালত হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত।

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Ordnance Factory Board