Coronavirus XE Variant: করোনার XE ভ্যারিয়েন্ট কী? এখনই এই প্রজাতি নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই, কেন বলছেন বিশেষজ্ঞরা? পড়ুন...

Last Updated:

এক্সই আবিষ্কার সম্পর্কে ঘোষণাটি ভারতে সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের (Covid Wave) সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছে!

ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, দ্রুত তাঁদের ন্যাজাল ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি করোনাবিধি সংক্রান্ত্র সচেতনতার দিকেও নজর বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, দ্রুত তাঁদের ন্যাজাল ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি করোনাবিধি সংক্রান্ত্র সচেতনতার দিকেও নজর বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্রগুলি স্পষ্ট করেছে ভারতে এখনও কোনও রোগীর শরীরে এক্সই প্রজাতির সংক্রমণ সনাক্ত করা যায়নি। প্রকৃতপক্ষে একটি প্রাথমিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যে মুম্বইয়ের ওই রোগীর মধ্যে সনাক্ত হওয়া ভাইরাসটি এক্সই প্রজাতি নয়।
করোনভাইরাসের এক্সই প্রজাতিটি ঠিক কী?
advertisement
ওমিক্রন প্রজাতি এই বছর সনাক্ত হয়েছিল, বর্তমানে ৯০ শতাংশের বেশি সংক্রমণের জন্য দায়ী। এর দুটি বিশিষ্ট উপ-প্রজাতি রয়েছে, যার নাম BA.1 এবং BA.2। একটি BA.3 নামে আরেকটি উপ-প্রজাতিও রয়েছে, তবে এটি পরিচিত নয়। প্রাথমিক পর্যায়ে, BA.1 উপ-প্রজাতি ছিল সবচেয়ে ব্যাপক। ভারতে BA.2 তৃতীয় ঢেউয়ের সময় সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ছিল। BA.2 কে BA.1 এর থেকে কিছুটা বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। যদিও এটি বেশি বিপজ্জনক ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে BA.2 উপ-প্রজাতিটি সারা বিশ্বে সর্বাধিক ছড়িয়ে পড়েছে। যা গত এক মাসে সমস্ত ওমিক্রন সংক্রমণের প্রায় ৯৪ শতাংশের জন্য দায়ী। BA.1 উপ-প্রজাতির প্রকোপও তীব্রভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
advertisement
এক্সই প্রজাতিকে 'রিকম্বিন্যান্ট' (Recombinant) বলা হয়। এর মানে এটিতে ওমিক্রনের BA.1 এবং BA.2-র মিউটেশন রয়েছে। এটি জানুয়ারি মাসে প্রথম ব্রিটেনে (UK) সনাক্ত করা হয়েছিল এবং এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ৬০০টিরও বেশি নমুনায় পাওয়া গিয়েছে। রিকম্বিন্যান্ট প্রজাতি অস্বাভাবিক নয়। দুটি বা ততোধিক পরিচিত প্রজাতির মিউটেশন (Mutations) বৈশিষ্ট্য থাকা এমন রূপগুলির সর্বদা বিকাশ ঘটে। প্রকৃতপক্ষে, ডেল্টা (Delta) এবং ওমিক্রনের বৈশিষ্ট্যগত মিউটেশন ধারণ করে এমন রূপগুলিও চিহ্নিত করা হয়েছে। ভাইরাস (Coronavirus) এবং অন্যান্য জীবের জেনেটিক মিউটেশনের এলোমেলো প্রক্রিয়া ক্রমাগত ঘটতে থাকে। কিন্তু এই মিউটেশনের একটি ছোট অংশই ভাইরাসের সংক্রমন বা গুরুতর রোগ সৃষ্টির ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করে।
advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি বলেছে, "বিশ্বব্যাপী বর্তমান উচ্চ স্তরের সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে রিকম্বিন্যান্ট সহ আরও প্রজাতি সম্ভবত আবির্ভূত হতে থাকবে। করোনাভাইরাসগুলির মধ্যে পুনর্মিলন সাধারণ এবং এটি একটি প্রত্যাশিত মিউটেশনাল ইভেন্ট (Mutational Event) হিসাবে বিবেচিত হয়।"
সংক্রমণের আশঙ্কা: এক্সই প্রজাতি (Coronavirus XE Variant) যে ওমিক্রনের অন্যান্য জাতের থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা, তা দেখানোর কোনও প্রমাণ নেই এখনও পর্যন্ত। যা লক্ষ্য করা গিয়েছে তা হল এক্সই প্রজাতি প্রভাবশালী BA.2 প্রজাতির তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণযোগ্য হতে পারে। তিন মাস আগে সনাক্তকরণের পর থেকে এক্সই প্রজাতির সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়নি, তাই এটা বোঝা যাচ্ছে যে এটি বর্তমানে একটি বড় উদ্বেগের বিষয় নয়। এছাড়াও এটির মধ্যে BA.1 বা BA.2-র থেকে আলাদা কোনও কিছু পাওয়া যায়নি। এখনও পর্যন্ত রোগের আরও গুরুতর রোগের কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেমন, এক্সই প্রজাতিকে ওমিক্রনের থেকে আলাদা বলে মনে করা হচ্ছে না।
advertisement
এক্সই প্রজাতি কি ভারতে আসবে?
এটা আশ্চর্যজনক হবে না যদি সত্যিই এক্সই প্রজাতি (Coronavirus XE Variant) ভারতে পাওয়া যায়- মুম্বইয়ের ওই মহিলার শরীরে বা পরবর্তী পর্যায়ে অন্য কোনও রোগীর মধ্যে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলির বেশিরভাগই তুলে নেওয়া হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়াও, ভারতে এক্সিই বা ওমিক্রনের অন্য কোনও রিকম্বিন্যান্ট জাত সনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এটাও সম্ভব যে ভারতে এক্সই প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু এখনও সনাক্ত করা যায়নি।
advertisement
যাইহোক, এক্সই প্রজাতির সনাক্তকরণ মানেই সেটি বিশাল আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এমনটা সবসময় হয় না। এখন পর্যন্ত, এটি ওমিক্রন প্রজাতির থেকে খুব একটা আলাদা নয়। যদি না এটি সংক্রমিত করার বিশেষ ক্ষমতা বিকাশ করে, অনাক্রম্যতা (Immunity) এড়াতে পারে বা আরও গুরুতর রোগ সৃষ্টি করে। মোট কথা ভারতে এখনই এই প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।
advertisement
সচেতন থাকতে হবে: আসল বিষয়টি হল ভারতে সংক্রমণের নতুন ঢেউকে কখনই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ এটি মাথায় রাখতে হবে যে করোনাভাইরাস নির্মূল হয়নি এবং এটি মিউটেশনের মধ্য দিয়েও চলছে। একটি নতুন প্রজাতি অনেক সময় অনেক বেশি সংক্রমণযোগ্য হতে পারে, পূর্বের সংক্রমণ থেকে অর্জিত অনাক্রম্যতাকে এড়াতে পারে বা আরও গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। কিন্তু, ভারতে নিকট ভবিষ্যতে আবার নতুন করে বড় ঢেউ আসার সম্ভাবনা কম। এর প্রধান কারণ ভারতীয় জনসংখ্যার আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ খুব সম্প্রতি ওমিক্রন প্রজাতিতে সংক্রামিত হয়েছিল। সেই সংক্রমণ থেকে অর্জিত অনাক্রম্যতা এখনও কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই প্রজাতি থেকে পুনরায় সংক্রমণ অজানা নয়, তবে খুব সাধারণও নয়। অদূর ভবিষ্যতে একটি নতুন ঢেউ যদি আসে, সেটি সম্ভবত একটি নতুন প্রজাতি দ্বারা সৃষ্ট হবে। যা ওমিক্রনের থেকে আলাদা হবে। সেটি এক্সই প্রজাতি নাও হতে পারে।
advertisement
ভারতে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ নিয়ে কী জানা যাচ্ছে?
কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT-Kanpur)-র বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাসের আরও একটি ঢেউয়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে বিশ্বের অনেক দেশ ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের সাক্ষী হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের মতো কয়েকটি দেশ অতিমারীর চতুর্থ (Fourth Wave Of COVID) এবং উচ্চতর ঢেউয়ের মুখোমুখি হতে শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা আগেই সতর্ক করেছিলেন যে ওমিক্রন শেষ কোভিড প্রজাতি নাও হতে পারে এবং পরবর্তী স্ট্রেন আরও সংক্রামক হতে পারে। তারা বলেছে, পরবর্তী উদ্বেগের প্রজাতি কতটা সংক্রামক হবে, কতটা প্রভাব ফেলবে তা আগে থেকে বলা যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা কী বলেছেন?
গতমাসে আইআইটি কানপুরের (IIT Kanpur) গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগের গবেষক সবরাপ্রসাদ রাজেশভাই (Sabara Parshad Rajeshbhai), শুভ্র শঙ্কর ধর (Subhra Sankar Dhar) এবং শলভ (Shalabh) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ (Fourth Covid Wave) চলতি বছরের ২২ জুনে দেশে আঘাত হানতে পারে এবং ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যদ্বাণীগুলি সত্য হলে এই ঢেউটি ৪ মাস স্থায়ী হবে, ১৫-৩১ অগাস্টের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে। ভবিষ্যদ্বাণীটি এটা বলে যে ভারতে চতুর্থ ঢেউ ডেল্টা প্রজাতির হদিশ মেলার ৯৩৬ দিন পরে আসতে পারে। ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ভারতে ডেল্টা প্রজাতির (Delta) প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। ভবিষ্যদ্বাণী করতে গবেষকরা পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, "এই পদ্ধতিটি অন্যান্য দেশেও চতুর্থ এবং অন্যান্য ঢেউয়ের পূর্বাভাস দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।" এই একই গবেষণা দল পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে ভারতে অতিমারির তৃতীয় তরঙ্গ ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শিখরে উঠবে।
চতুর্থ ঢেউ কেমন হবে?
গবেষকরা জানিয়েছেন যে আসন্ন কোভিড ঢেউয়ের তীব্রতা নতুন রূপের আবির্ভাব, তার সংক্রমতা, টিকাকরণ (Vaccinations), বুস্টার ডোজ (Booster Dose)-সহ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করবে। যাই হোক, গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে সর্বদা একটি ন্যায্য সম্ভাবনা রয়েছে যে করোনাভাইরাসটির একটি সম্ভাব্য নতুন রূপ পুরো বিশ্লেষণের উপর তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে।
অতীত থেকে শিক্ষা: যেহেতু রাজ্যগুলি কোভিড-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে এবং লোকেরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে, তাই অতীতের ঘটনাগুলি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিরা গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিতে থাকে সবসময়। গবেষকরা বলেছেন, সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ, সমস্ত কেভিড উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং আমাদের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার আছে। মাস্ক (Mask) পরা, হাতের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা এবং ভিড় এড়িয়ে চলা সংক্রমণ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।
বাংলা খবর/ খবর/Explained/
Coronavirus XE Variant: করোনার XE ভ্যারিয়েন্ট কী? এখনই এই প্রজাতি নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই, কেন বলছেন বিশেষজ্ঞরা? পড়ুন...
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরেও দুর্যোগ ! উইকেন্ডে আবহাওয়া কেমন থাকবে?
ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরেও দুর্যোগ! উইকেন্ডে আবহাওয়া কেমন থাকবে?
  • ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে

  • দুর্যোগ চলবে উত্তরবঙ্গেও

  • উইকেন্ডে গিয়ে আবহাওয়ার উন্নতি

VIEW MORE
advertisement
advertisement