লক্ষ্য অনেক, Indian Railways-র বেসরকারিকরণে আমূল বদলাবে যাত্রী পরিষেবা
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
এক সরকারি অফিসার জানিয়েছেন, যাত্রী পরিষেবার উন্নয়নের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।
#নয়াদিল্লি: ভারতীয় রেলের বেসরকারিকরণে নতুন উদ্যোগ। যাত্রীবাহী ট্রেনের পরিষেবা বৃদ্ধির জন্য বিডিং প্রক্রিয়া চালু করেছে ভারতীয় রেল। এই বিডিং প্রক্রিয়ায় প্রথমেই ভারতের দু'টি বেসরকারি সংস্থা নিজেদের আগ্রহ দেখিয়েছে- মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স লিমিটেড (Megha Engineering & Infrastructures Ltd) ও ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (indian Railway Catering and Tourism Corp)। চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রথম বিডিং প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তবে প্রথম দফার ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর, প্রথম বিডিং বাতিলও হতে পারে। রেলমন্ত্রক জুলাই মাসে মোট ১২টি ক্লাস্টারে টেন্ডার ডাকে। ১২টির মধ্যে মোট তিনটি ক্লাস্টারের বিড নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ২টি বিড নিয়েছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স লিমিটেড এবং ১টি বিড নিয়েছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন। ভারতীয় রেল জানিয়েছে মোট ১০৯টি রুটে ৩৫ বছরের চুক্তি করা হবে।
এক সরকারি অফিসার জানিয়েছেন, যাত্রী পরিষেবার উন্নয়নের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। এর ফলে আঞ্চলিক রেলপথগুলিতে আলাদা ভাবে উন্নয়ন করা যাবে। রেলের কোচ ও ইঞ্জিন তৈরির শিল্পের মান বাড়বে। প্রাইভেট ট্রেন অপারেটরদের ট্যাক্স ছাড়ের একটা বিষয় থাকবে। এছাড়াও রেলের কোচ ও ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া হতে পারে।
advertisement
বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বেসরকারি ট্রেন পরিষেবা আকর্ষণীয় করবার জন্য কম খরচে রেল রুট সম্প্রসারিত করতে হবে। এক্ষেত্রে দেখে নিতে হবে বিমান পরিষেবার বিকল্প পথ তৈরি হচ্ছে কি না। এর ফলে বিমানযাত্রীদের একাংশের মনোযোগ কাড়তে পারবে রেল। তবে এখনও কিছু সংশয় দেখা যাচ্ছে। বেসরকারি সংস্থারা তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তার একটা বড় কারণ হতে পারে করোনা সংক্রমণ। কারণ বেশিভাগ সংস্থার আর্থিক হাল তলানিতে রয়েছে।
advertisement
advertisement
ভারতীয় রেল ২০২০ সালে কিছু যাত্রীবাহী ট্রেনের বেসরকারিকরণের প্রস্তাব রাখে। সেই সময় ১৫টি সংস্থা বিডে অংশগ্রহণ করবার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এর পরই করোনা সংক্রমণের কারণে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও বেসরকরি সংস্থারা বিডের শর্তের মূল্যায়ণ করবার জন্য কিছুটা সময় চেয়ে নেয়, সরকারি সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। বেসরকরি সংস্থাদের রেলের টেন্ডারে বেশি আগ্রহ না দেখানোর কিছু কারণ রয়েছে। যেমন, শুল্ক প্রতিযোগিতা, কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকা, পরিবহণ শুল্ক ও রুটের নমনীয়তায় নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও বিডিং প্রক্রিয়ায় রিকোয়েস্ট ফর কোয়ালিফিকেশন এবং রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজালের মতো কিছু নিয়ম মানতে বলা হয়েছে। যা নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে না বেসরকারি সংস্থারা।
view commentsLocation :
First Published :
August 24, 2021 4:08 PM IST