#কলকাতা: প্রয়াত অভিনেতা ইন্দ্রজিৎ দেবের অন্যতম পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফুটবলার অমিয় দেবের পুত্র। এক কথায় বিখ্যাত বাবার বিখ্যাত ছেলে। ইন্দ্রজিৎ দেব যেমন বিখ্যাত ছিলেন অভিনয়ের জন্য, বাবা অমিয় দেব বিখ্যাত ছিলেন খেলার মাঠে অল রাউন্ড এবিলিটির জন্য। বাঙালির চিরন্তন আবেগের ফুটবল ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান লড়াইয়ের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে তাঁর নাম। পরাধীন ভারতবর্ষে ১৯৩৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দ্বারভাঙ্গা শিল্ডে মোহনবাগানের হয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক সহ চারটি গোল করেন অমিয় দেব। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে এই রেকর্ড করেছিলেন তিনি। সেদিন প্রথমার্ধেই দুটি গোল করেছিলেন। তৃতীয় গোলটা এসেছিল পেনাল্টি থেকে। হেডে করেছিলেন চতুর্থ গোল।
ডার্বিতে এমন কীর্তি তাঁর আগে কেউ করতে পারেনি। পরবর্তীকালে অসিত গঙ্গোপাধ্যায় মোহনবাগানের হয়ে ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন, কিন্তু একা চার গোল করতে পারেননি। পরবর্তীকালে বাইচুং ভুটিয়া, এডে চিডি ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করেছেন। চিডি স্পর্শ করেছেন অমিয় দেবের রেকর্ড। মোহনবাগান জার্সিতে তিনিও লাল হলুদের বিপক্ষে এই কীর্তি অর্জন করেন। বাইচুং তিনটি গোল করেন ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে। সেটা ছিল বিখ্যাত ডায়মন্ড ম্যাচ। অমিয় দেব এমন একজন প্রতিভা যিনি একইসঙ্গে ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট এবং হকিও দাপিয়ে খেলতেন।
বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরান রয়েছে তাঁর। ফুটবল জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি পায়ের সিন বোন ভেঙে যাওয়ার ফলে। একটি পা ছোট হয়ে যায়। মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে তিনি 'কানিদা' নামেই বিখ্যাত ছিলেন। সেই সময় বিখ্যাত ছিল মোহনবাগানের টেনিস কার্নিভাল। টেনিসেও সমান পারদর্শী ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে চুনী গোস্বামী ছাড়া এমন প্রতিভা খুব বেশি দেখা যায়নি।