Lopamudra Mitra: অচেনা শান্তিনিকেতনকে চেনানোর উদ্যোগ ‘চারণ’-এর, নেপথ্যে লোপামুদ্রা মিত্র

চারণ-এর মূল লক্ষ্য বৈচিত্র্যময় ভারতীয় শিল্প সংস্কৃতি চর্চা এবং প্রদর্শনের মাধ্যমে আলোতে আনা। পাশাপাশি শিল্পী ও কারিগরদের সাহায্য করা। এই প্রচেষ্টা খুবই অভিনব। নতুন আলোতে, বহুবার দেখা জায়গাগুলিকে নতুন করে দেখানো এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।

চারণ গত বছর শান্তিনিকেতনে আল্পনা ওয়ার্কশপ, বাউলদের সেরা গান পরিবেশন, চদর বদরের মতো বিরল শিল্পরূপ দেখানো, এবং ঘাস থেকে অলঙ্কার তৈরি করতেও শিখিয়েছিল।

এই বছরও চারণ এমন কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন যারা মাটির গন্ধ নিতে এবং কাদামাটির মডেলিং করতে পছন্দ করেন। কাঁথা শিল্পীদলরাও বসবে এবং বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু তৈরি করবেন। খোলা আকাশের নীচে লোপামুদ্রার সঙ্গে হৃদয়ে-হৃদয়ে থাকবে যুক্ত, বাউলদের গান শুনবেন, চদর বদরের বিরল শিল্প রূপ দেখার সুযোগ। এই রকম অন্য অভিজ্ঞতার সঙ্গী হয়ে দেখতে পারেন।

লোপামুদ্রার কথায়, "এটি একটি ডেস্টিনেশন ইভেন্ট বলা যায়। যার মধ্যে রয়েছে ভ্রমণ, স্থানীয় শিল্পকর্মের কর্মশালা মানে ওয়ার্কশপ। এর মাধ্যমে জায়গাটি জানা, মাটির প্রাণভরা গান শোনা । এটি সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় সংস্কৃতি, মূল কারিগর, তাদের কারুশিল্প এবং জীবনধারা জানার অভিজ্ঞতা।" বাঙালি মেরে কেটে বছরে একবার তো ঘুরতে যান। ঘোরার পাশাপাশি নিজের শেকড়কে চেনার সুযোগ সচরাচর মেলে না। আগামী ৪মার্চ-৬মার্চ শান্তিনিকেতন-এ হবে চারণ-এর এই অনুষ্ঠান।

লোপামুদ্রা আরো বলেন, ‘‘এই ধরনের উদ্যোগ একটা চেনা জায়গার অচেনা ছবি তুলে ধরে। সেটা যে সবসময় শান্তিনিকেতনই হবে এমনটা নয়।যখনই যেখানে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে, আমরা সেই জায়গার অচেনা দিক গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো।শান্তিনিকেতনে আমাদের এই অনুষ্ঠানে বাউল গান হয়।আমরা চেষ্টা করি একটু খুব না শোনা গান গুলো যাতে শোনা যায়।’’