#মুম্বই: ইন্টারনেট দুনিয়া ভরে উঠছে সইফ আলি খানের চতুর্থ সন্তানের খবরে। ইনস্টাগ্রামে করিনা কপূরের সঙ্গে তৈমুর সইফের ছবিতে ছয়লাপ। চূড়ান্ত উন্মাদনা। কিন্তু এত সবের কোথায় যেন নিভৃত কোণে হারিয়ে গেলেন অমৃতা সিং। একরকম স্বেচ্ছা নির্বাসন যেন।
অসম্ভব চুপচাপ তিনি। পতৌদি প্রাসাদ থেকে যেদিন থেকে বের হয়েছেন, তারপর থেকে তাঁর ধনুকভাঙা পণ। কখনও আর প্রবেশ করেননি সেখানে।
তাঁরও ইনস্টাগ্রামে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। কখনও সখনও সেখানে ছবি পোস্ট করেন। আজ সারা ও ইব্রাহিমকে নিয়ে একটি পুরনো ছবি পোস্ট করলেন তিনি। দশ বছর আগের। কিশোরী সারা তখন স্থূলকায়া। ছোটবেলা থেকেই ওবেসিটিতে আক্রান্ত ছিল সারা। ছোট্ট মেয়ে আর ছেলের হাত ধরে যখন চিরদিনের মতো বেরিয়ে এসেছিলেন অমৃতা, তখনও ইব্রাহিমের বোঝার বয়স হয়নি। তখনও সে জানত, নতুন ফ্ল্যাটে থাকতে এসেছে। বাবা আসবেন। থাকবেন এখানে। এক পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাতকারে অমৃতা জানিয়েছিলেন, ছোট্ট ইব্রাহিমের সময় লেগেছিল বুঝতে যে, বাবা আর মা, কোনওদিন আর একসঙ্গে থাকবেন না। আর মায়ের কাছেই বড় হবে তারা। স্কুলে পড়াশোনা করবে।
নিজের মত ও পথে মানুষ করেছেন ছেলেমেয়েকে। তারা যত বড় হয়েছে, ততই আরও বেশি করে অন্তর্মুখী হয়েছেন তিনি। পতৌদি হাউসে তাঁর দুই ছেলেমেয়ের অবারিত দ্বার। এমনকি সারা ও ইব্রাহিমের জন্য আলাদা আলাদা কক্ষও রয়েছে সেখানে। যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে তাঁরা দুই ভাইবোন নিমন্ত্রিত থাকেন। কিন্তু কখনও যান না অমৃতা।
তিনি তো শুধু মায়ের ধর্মই পালন করে চললেন আজীবন। 'বদলা' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বছরতিনেক আগে। এমন দুর্দান্ত চমকে দেওয়া অভিনয় আর কেউ করতে পারবেন কি না সন্দেহ। কিন্তু ওই। তার পর আবার অল্তঃপুরবাসিনী। ছেলের জন্মদিনে পোস্ট করেছিলেন, ' তুমি যত বড়ই হও, যত দূরেই যাও না কেন, আমার ভালবাসা ও আশীর্বাদ সব সময়ে তোমায় রক্ষা করে চলবে। ' কখনও তিনি দুই ছেলে মেয়ের সঙ্গে ভিডিও করেন। মজার মজার ভিডিও। ছেলেমেয়েকে নিয়ে আলাদা পৃথিবী আলাদা জগতের মানুষ তিনি।
মাকে পাগলের মতো ভালবাসে সারা। বড় মেয়ে হিসেবে বাবা ও মায়ের মধ্যে দূরত্বটা বুঝতে পারে কিন্তু পরিণত বুদ্ধি দিয়েই দূরত্ব বজায় রাখে। ছোটবেলার স্মৃতিগুলো অ্যালবামে সযত্নে তুলে রেখে।
আজকে হঠাৎ ইনস্টাগ্রামে স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলেমেয়ের সঙ্গে সানগ্লাস পরে নিজের ছবি দিয়ে পুরনো ভাবনাগুলো আবার যেন উসকে দিলেন অমৃতা সিং। এককালের হার্টথ্রব। ডাকসাইটে অভিনেত্রী। নবাবজায়া এবং স্বেচ্ছা নির্বাসিত। তবুও এক বজ্রকঠিন নারী।
শর্মিলা মাইতি