East Burdwan News: প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মাধ্যমিকের প্রথম দশে এক স্কুলের দুজন! ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে যা বলল চমকে ওঠার মতো 

Last Updated:

নবম স্থানাধিকারী ঈশিতা ভট্টাচার্য ভবিষ্যতে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চায়। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকাতেও সমান দক্ষ সে। অপরদিকে ৬৮৩ পেয়ে মেধা তালিকায় দশম স্থানাধিকারী অঙ্কুর চায় আগামীদিনে ইঞ্জিনিয়ারিংকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিতে।

+
স্কুলের

স্কুলের এই সাফল্যে  খুশি ও গর্বিত আমরারগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা

পূর্ব বর্ধমান, আউসগ্রাম: চারপাশে জঙ্গল ঘেরা এলাকা  আমরারগর । চারিপাশ জঙ্গলেকীর্ণ হওয়ায় জেলায় জঙ্গলমহল বলেই পরিচিত আউশগ্রামের এই এলাকাটি। আউশগ্রাম ২ ব্লকের অন্তর্গত সেই আমরারগর উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকেই এ বছর দুই পরীক্ষার্থী জায়গা করে নিয়েছে রাজ্যের সেরা ১০ এর মেধা তালিকায়। ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান দখল করেছে এই স্কুলের ছাত্রী ঈশিতা ভট্টাচার্য। তবে কেবল ঈশিতাই নয়, পূর্ব বর্ধমানের প্রত্যন্ত এলাকার এই উচ্চ বিদ্যালয়টি থেকে উঠে এসেছে আরও এক কৃতী ছাত্র অঙ্কুর ঘোষ। ৬৮৩ নম্বর পেয়ে সারা রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম হয়েছে সে। তাদের এই সাফল্য ছড়িয়ে পড়েছে জঙ্গল ঘেরা আমরারগর গ্রাম থেকে সারা রাজ্যে।
ঈশিতা ও অঙ্কুর দুজনেই আমরারগড় গ্রামেরই বাসিন্দা। ছেলেবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী বলে পরিচিত ঈশিতা । তার বাবা কৃষক ও মা অঙ্গনয়ওয়াড়ি কর্মী। দৈনিক ৮ থেকে ৯ ঘন্টা পড়াশোনা করত সে।
ঈশিতা জানায়, ‘প্রথমে তো বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ভাল ফল হবে আশা করেছিলাম তবে এতটা ভাল হবে ভাবতেও পারিনি । মা-বাবা, শিক্ষক শিক্ষিকাদের আশীর্বাদে এই স্থান পেয়েছি, বেশ ভালই লাগছে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলে বিরাট ভাঙন, দলে-দলে যোগ সিপিআইএম-এ! ‘সৌজন্যে’ কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়
অপর দিকে মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়া অঙ্কুরও ছোটো থেকে পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী।তার বাবা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার এবং মা পঞ্চায়েতের একটি অস্থায়ী পদে কর্মরত।
অঙ্কুর জানিয়েছে, খুবই ভালো লাগছে মা এর মুখ রাখতে পেরে। স্কুল থেকেও সবসময় সাহায্য করেছে , যখন যা প্রয়োজন হয়েছে সাহায্য করেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা । ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা আছে ।
advertisement
আরও পড়ুন কাঁটায় কাঁটায় ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজির অভিষেক, লম্বা প্রশ্নপত্র নিয়ে তৈরি সিবিআই!
অন্যদিকে স্কুলের এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি ও গর্বিত আমরারগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। নিজের স্কুলের এই সাফল্য প্রসঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিশির কুমার বলেন , ‘আমরা সকলেই খুব খুশি  স্কুলের এই সাফল্যে। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সামগ্রিক চেষ্টা, অভিভাবকদের আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই এই সাফল্য এসেছে। আমরা ছুটির দিনেও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের গাইড করেছি। তারাও কোনো সমস্যায় পড়লে ফোন করে তার সমাধান আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। এই যোগাযোগ সবসময় আমাদের মধ্যে ছিল তাই সাফল্য এসেছে।’
advertisement
নবম স্থানাধিকারী ঈশিতা ভট্টাচার্য ভবিষ্যতে ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চায়। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকাতেও সমান দক্ষ সে। অপরদিকে ৬৮৩ পেয়ে মেধা তালিকায় দশম স্থানাধিকারী অঙ্কুর চায় আগামীদিনে ইঞ্জিনিয়ারিংকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিতে।
বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
East Burdwan News: প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মাধ্যমিকের প্রথম দশে এক স্কুলের দুজন! ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে যা বলল চমকে ওঠার মতো 
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement