বাবা মা কেমন হয়? জানে না এই মেয়ে! দিদিমার কাছে মানুষ, উচ্চ মাধ্যমিকে সে যা করল...!
- Published by:Tias Banerjee
- local18
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
পারিবারিক আর্থিক অনটন, সমাজে নানান বাধা, প্রতিবন্ধকতা সবমিলিয়েও পড়াশোনা করে এগিয়ে চলেছে সে। ভাল চাকরি করে তার প্রিয় দিদিমার পাশে থাকতে চায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর: বাবা-মা কেমন? তা জানে না এই মেয়ে। দীর্ঘ প্রায় ১৬-১৭ বছর কাটিয়েছে বাবা-মা ছাড়াই। প্রতিদিন নানা কথা শুনেও, মানুষ হয়েছে দাদু দিদিমার কাছে। তবে দুঃখ এবং নিয়তি কেই বাধা দেয়! মাসখানেক আগেই মৃত্যু হয়েছে তার প্রিয় দাদুর। উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮৬ নম্বর পেয়েও মন ভাল নেই এই মেয়ের। ছোট থেকেই মামা বাড়িতে দাদু দিদিমার কাছে মানুষ।
সামাজিক ও পারিবারিক কঠোর পরিস্থিতিকে মাথায় নিয়ে দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক। সেই প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস ভরসা তার মামা বাড়ির দাদু এবং দিদিমা। মাত্র ২ নম্বরের জন্য আসতে পারেনি সেরা দশের তালিকায়।আগামীতে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়, হতে চায় বড় কোনও অফিসার।
advertisement
advertisement
নেই মা-বাবা, বাবা মায়ের কী আদর, কী সুখ সে তা জানেনা। জন্মের পর থেকেই মামাবাড়িতে দাদু দিদিমার কাছে মানুষ, ছোট থেকেই স্কুল শিক্ষকদের সহযোগিতায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়া। মাসখানেক আগে মারা গেছে দাদু, মাত্র দু নম্বরের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দশে স্থান পেল না অত্যন্ত গ্রামের এই মেয়ে।উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮৬ নম্বর পেয়েও প্রিয় মানুষকে হারিয়ে চোখে জল ঘাটালের রিয়ার। প্রতিদিন নানা পরিস্থিতির সঙ্গে তাকে লড়াই করতে হয়। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা এই মধ্যবিত্ত পরিবারে। পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী এই মেয়ে। বাবা-মা না থাকলেও সমাজে তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে সে।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের ছাত্রী রিয়া দে। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে তার ফলাফল চমকে দিয়েছে সকলকে। মাত্র ২ নম্বরের জন্য প্রথম দশে স্থান হল না ঘাটালের এই মেয়ের। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। জন্মের পর থেকেই ঘাটাল পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড নিশ্চিন্তপুর এলাকায় মামা বাড়িতে দাদু দিদিমার কাছে মানুষ। দিদিমার কাছে শুনে এসেছে রিয়া পৃথিবীতে আসার আগেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় তার বাবা। জন্মের পরেই দ্বিতীয় বিয়ে করে তার মা। ছোটো থেকেই মেধাবী ছিল রিয়া, দাদু দিদিমা পড়াশোনা না জানলেও রিয়া নিজে থেকেই স্কুল শিক্ষকদের সহযোগিতায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। রঞ্জন চন্দ
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 12, 2025 7:13 PM IST