Madhyamik Results 2023|| বাবা সবজি বেচেন, সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, জেলায় প্রথম বিপ্রর ভবিষ্যৎ কী!
- Reported by:ANIRBAN ROY
- news18 bangla
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Madhyamik Results 2023: আর্থিক সংকট সত্ত্বেও বিপ্রর এই ফলাফল তার বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। শিলিগুড়ি বরদাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র বিপ্র দাস স্কুলে প্রথম স্থান অধিকার করে নজির স্থাপন করেছে।
শিলিগুড়ি: সবজি বিক্রেতার ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দার্জিলিং জেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে চমকে দিল সকলকে। আর্থিক সংকট সত্ত্বেও বিপ্রর এই ফলাফল তার বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। শিলিগুড়ি বরদাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র বিপ্র দাস স্কুলে প্রথম স্থান অধিকার করে একটি নজির স্থাপন করেছে। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। বিপ্রর বাবা বৈদ্য নাথ দাস, একজন সবজি বিক্রেতা। তিনি শিলিগুড়ির সুভাষ পল্লি বাজারে ফুটপাতে সবজি বিক্রি করেন। তবে এখন পরিবার বিপ্রর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সরকারি সাহায্য চায়।
বিপ্র দাস, শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশনের অধীনে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগরের বাসিন্দা। তিনি তার বাবা, মা এবং তার দুই বোনের সঙ্গে থাকেন। তাঁর মা একজন গৃহিণী। এক বোনের বয়স ৫ বছর আর আরেক বোনের বয়স ৬ বছর। লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে ভালবাসেন। এখন সে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, মেধাতালিকায় তুমুল চমক! দশম স্থানে অনুব্রত
বিপ্রর কথায়, “আমার বাবা-মা এবং শিক্ষকরা আমাকে আমার পড়াশোনায় সাহায্য করেছিলেন। আমি বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চাই, কিন্তু এই ধারার জন্য খরচ অনেক বেশি। আর্থিক সমস্যার কারণে আমাকে বাণিজ্য বেছে নিতে হতে পারে। আমি এখনও কিছু সিদ্ধান্ত নেইনি।”
advertisement
বিপ্রর বাবার বয়স ৫০ বছর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য তিনি। আগে তাঁর দর্জির দোকান ছিল। কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য দোকানটি বিক্রি করতে হয়েছে। পরে সবজি বিক্রি শুরু করেন। পরিবারের দাবি, এই সামান্য উপার্জনে সংসার ও লেখাপড়া একসঙ্গে প্রায় অসম্ভব তাঁদের পক্ষে। বিপ্রর বাবা বৈদ্যনাথ দাস বলেন, “বিপ্রর ফলাফলে আনন্দিত। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে আমি আর ওঁকে পড়াশোনা কতটা করাতে পারব জানি না। সরকার বা অন্য কেউ যদি আমাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে, তাহলে ছেলে আরও পড়াশোনা করতে পারবে।”
advertisement
অন্যদিকে, বিপ্রর মা শিল্পী দাস চোখে জল নিয়ে বলেন, “বিপ্র ছোট থেকেই মেধাবী। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত কোনও প্রাইভেট টিউটর ছিল না। পরে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক বিনামূল্যে প্রাইভেট কোচিং দিয়েছেন। বিপ্রর পাশাপাশি আমাদের দুই মেয়ে রয়েছে। তাদেরও প্রাইভেট টিউটর রাখতে পারিনি। আমাদের সত্যিই সাহায্যের প্রয়োজন।”
এদিকে, বরদাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক সাইদুল হক জানিয়েছেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ বিপ্রকে তার পড়াশোনায় সহায়তা করবে। আমরা স্কুলের সকলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সবাই তাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, যাতে সে বিজ্ঞান শাখায় নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।’
advertisement
অনির্বাণ রায়
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 20, 2023 1:58 PM IST








