হোম /খবর /শিক্ষা /
রিপোর্ট কার্ড দেখে তাজ্জব অভিভাবকরা! বেনজির 'পদক্ষেপ' শহরের ৩ নামী স্কুলে

Kolkata School Controversy: রিপোর্ট কার্ড দেখে তাজ্জব অভিভাবকরা! বিতর্ক উস্কে বেনজির 'পদক্ষেপ' শহরের ৩ নামী স্কুলে

স্কুল বিতর্কে রিপোর্ট-কার্ড ইস্যু

স্কুল বিতর্কে রিপোর্ট-কার্ড ইস্যু

Kolkata School Controversy: আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় বেতন মেটানো হোক বা না হোক, সকল পড়ুয়াদের স্কুলে ঢোকার অনুমতি দিতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার স্কুল চালু হলেও বিতর্ক কিন্তু পিছু ছাড়লো না শহরের নামী তিন স্কুলগুলিকে ঘিরে।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: বিতর্ক ক্রমশ দানা বাঁধছে শহরের এক নামী গোষ্ঠীর স্কুলগুলিকে ঘিরে। বেতন নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ও সেই সূত্রে আদালতের হস্তক্ষেপ হয়েছে আগেই। এবার কলকাতার একটি 'বিশেষ' শিল্পগোষ্ঠীর পরিচালিত তিনটি বেসরকারি স্কুল ফের আলোচনার কেন্দ্রে (Kolkata School Controversy)। এই তিন স্কুলের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ আনলেন অভিভাবকরা। এর আগে বকেয়া-ফি বিতর্ককে কেন্দ্র করে তিন স্কুলই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে অভিভাবক-স্কুল কর্তৃপক্ষের রেষারেষি চলছিল। এই আবহে এবার নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের রিপোর্ট কার্ডে ফি মেটানোর অনুরোধ জানাল অভিভাবকদের। আর তাই নিয়েই ফের শুরু বিতর্ক।

আরও পড়ুন : নিজের রান্না দিয়ে ঘোল খাওয়ান সবাইকে! রইল গরমে রান্নায় ঘোল ব্যবহারের দুর্দান্ত ৫ উপায়! 

প্রসঙ্গত, বকেয়া ফি নিয়ে স্কুল গেটের বাইরে অভিভাবকদের লাগাতার বিক্ষোভের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ তিন স্কুলের দরজা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তারপর স্কুল খুললেও শুধুমাত্র পুরো বেতন মেটানো পড়ুয়াদেরই ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। পরে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় বেতন মেটানো হোক বা না হোক, সকল পড়ুয়াদের স্কুলে ঢোকার অনুমতি দিতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার স্কুল চালু হলেও বিতর্ক কিন্তু পিছু ছাড়লো না।

এবার তিন স্কুলের অনেক পড়ুয়ার অভিভাবকদের অভিযোগ, ছেলেমেয়েদের রিপোর্ট কার্ড দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানে বকেয়া ফি মিটানোর কথা উল্লেখ করে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই আবহে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের প্রশ্ন, এভাবে স্কুলের রিপোর্ট কার্ডে ফি সংক্রান্ত কোনও উল্লেখ করা যায় কি না। তাঁদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁরা স্কুলের ফি মিটিয়ে দিয়েছেন। তারপরও কেন রিপোর্ট কার্ডে এই লেখা লিখল স্কুল কর্তৃপক্ষ?

আরও পড়ুন : কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি শুরু আজ থেকেই! চলবে ক'দিন? হাওয়া অফিসের আপডেট

অন্যদিকে অভিভাবকদের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন মত। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, এই ভাবে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও তার জেরে স্কুল বন্ধের ফলে আদতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়ুয়ারাই। দশম শ্রেণীর পড়ুয়ার মা লোপা রায় চৌধুরীর কথায়, "আমরা তো বেতন-কাঠামো জেনেই বাচ্চাদের এই স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। এখন বেতন মেটাতে বলায় এতো কথার অর্থ কী?" তাঁর পাল্টা বক্তব্য, "স্কুলের ফাউন্ডেশন ডে-তে এই স্কুল থেকেই কিন্তু পড়ুয়াদের দেওয়া হয় ঢালাও উপহার।"

আরও পড়ুন : "সব পড়ুয়াকে স্কুলে ঢুকতে দিতে হবে!" বেসরকারি নামি স্কুলের নোটিস খারিজ আদালতের...

অভিভভাবকদের একাংশের বক্তব্য দু-বছর যাবৎ স্কুল বন্ধ থাকার পর সবে বাচ্চারা স্কুলের মুখ দেখেছে। এই পরিস্থিতিতে এমন আন্দোলন ও বিক্ষোভ করে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করা নেহাতই অর্থহীন। বরং অভিভাবকদের উচিত বকেয়া ফি মিটিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করা। সবমিলিয়ে ফি বিতর্ক ঘিরে ইতিমধ্যেই দ্বিধাবিভক্ত অভিভাবকরা। আগামী দিনে এই বিতর্কের জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।

Published by:Sanjukta Sarkar
First published: