Success Story: মা দিনমজুর, পিতৃহীন শৈশবে জঙ্গিদলে যোগ দেওয়ার চিন্তা...সেদিনের 12th Fail আজ ব্যস্ত IAS অফিসার

Last Updated:

Success Story: সামান্য উপার্জনে সংসার চালানো ছিল অত্যন্ত কঠিন৷ ওই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়াই ছিল কঠিন

অসমের মোরিগাঁও জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে জন্ম নারায়ণের
অসমের মোরিগাঁও জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে জন্ম নারায়ণের
দেশ জুড়ে দর্শকদের মনে 12 th Fail ছবি ঘিরে মুগ্ধতার রেশ যেন কাটতেই চাইছে না৷ তার মাঝেই উঠে আসছে ব্যর্থতার রেশ ঝেড়ে ফেলে ফিনিক্স পাখি হয়ে ওঠার নিত্যনতুন কাহিনি৷ এ বার সেই তালিকায় যোগ হল অসমের দ্বাদশ অনুত্তীর্ণ এক আইএএস আধিকারিকের জীবনসংগ্রাম৷ তিনি, আইএএস নারায়ণ কোনওয়ার৷ বর্তমানে অসমের সচিবালয়ে কর্মরত সচিব হিসেবে৷
অসমের মোরিগাঁও জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে জন্ম নারায়ণের৷ শৈশবে এতটাই অভাব ও সংগ্রামে বেড়ে উঠেছেন, যেখানে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার যোগাড়ই ছিল বিলাসিতা৷ তাঁর বাবা ছিলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক৷ সামান্য উপার্জনে সংসার চালানো ছিল অত্যন্ত কঠিন৷ ওই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়াই ছিল কঠিন৷ তার উপর অল্প বয়সেই বাবা মারা যাওয়াতে আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷
advertisement
নারায়ণের বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর মা দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ বাজারে গিয়ে আনাজপাতিও বিক্রি করতেন৷ সংসারের হাল ধরতে নারায়ণ চেষ্টা করলেন তাঁর মায়ের পাশে দাঁড়াতে৷ প্রতিকূলতার মধ্যেই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন পড়াশোনাও৷ তবু শেষরক্ষা হল না৷ দ্বাদশ শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেন৷ পাশ করতে পারলেন না৷ দারিদ্র বাধা হয়ে দাঁড়াল৷
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : আজ মকর সংক্রান্তিতে এই কাজগুলি করলেই রসাতলে যাবে ভাগ্য! এখনই জানুন, সতর্ক হোন
শৈশবের কথা মনে করে নারায়ণ বলেন, ‘‘আমাদের আর্থিক অবস্থা ছিল শোচনীয়৷ খিদে মেটানোর সামর্থ্যটুকু ছিল না৷ বাবার মৃত্যুর পর আমাদের পরিবারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়৷ আমাকে বড় করার জন্য মাকে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়৷ আমি যখন কলেজে ভর্তি হই, তখন মা ফুটপাতে সবজি বিক্রি করতেন৷’’
advertisement
নারায়ণ নিজেও যথাসাধ্য মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ অভাবের সামনে হার না মেনে ঠিক করলেন লেখাপড়া ও উপার্জন চালিয়ে যাবেন একইসঙ্গে, সমানতালে৷ রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পাঁপড়, ঘটিগরম বিক্রি করতেন৷ পাশাপাশি চলত পড়াশোনাও৷ অবশেষে দ্বিতীয় বারের প্রচেষ্টায় পাশ করলেন ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষায়৷
তার মাঝেই দেখেছেন গ্রামে জঙ্গিদের আসা যাওয়া৷ জানিয়েছেন, আলফা গোষ্ঠীর জঙ্গিরা ঘোরাফেরা করত তাঁদের গ্রামে৷ অনেক সময়েই মনে হত, অভাবের তাড়নায় লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে জঙ্গিদের দলে নাম লেখাবেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি৷ সাফল্যের শীর্ষে বসে বলছেন, ‘‘আমার যেখানে বড় হওয়া, সেটা আলফা জঙ্গিদের অন্যতম ঘাঁটি৷ প্রতিদিন আমরা দেখতাম জঙ্গিরা সশস্ত্র হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ আমিও ভেবেছিলাম তাদের দলে যোগ দিই৷ আসলে আমার এক সহপাঠী সত্যি যোগ দিয়েছিল৷’’
advertisement
আরও পড়ুন : দুই হাতে দু’টো বন্দুক, আর এক হাতে একটা টর্চ নিয়ে রেকর্ড ভাঙা চুম্বনে হৃদয়হরণ দীপক চ্যাটার্জির, থুড়ি আবীরের!
কিন্তু ভাগ্য তাঁর জন্য অন্য চিত্রনাট্য ভেবে রেখেছিল৷ পরবর্তীতে স্থানীয় কলেজ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে তিনি স্নাতক হন৷ পরে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন৷ পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের পর এডিপি কলেজে যোগ দেন লেকচারার হিসেবে৷ সে সময় থেকেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন৷ একাধিক প্রচেষ্টার পর অবশেষে সাফল্য পান ২০১০ সালে৷ ইউপিএসসি পরীক্ষায় সারা দেশের মেধাতালিকায় তাঁর স্থান ছিল ১১৯ নম্বরে৷
advertisement
মনোজ শর্মার মতো নারায়ণ কোনওয়ার-ও প্রচেষ্টা ও প্রয়াসের আর এক নাম৷ যাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন ইচ্ছেশক্তির কাছে ভেঙে যায় প্রতিকূলতার কঠিন থেকে কঠিনতম বেড়াজাল৷
বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
Success Story: মা দিনমজুর, পিতৃহীন শৈশবে জঙ্গিদলে যোগ দেওয়ার চিন্তা...সেদিনের 12th Fail আজ ব্যস্ত IAS অফিসার
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement