#বেঙ্গালুরু: ২০২১ NEET পরীক্ষায়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে ১৯ বছরের অনিরুদ্ধ দাস। তার অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক ৭৯৪, ৭২০ তে সে পেয়েছে ৬২১। পার্সেনটাইল ৯৯ । এখন অপেক্ষা শুধু NEET কাউন্সেলিং-এর, তারপরেই শুরু মেডিকেল কলেজে আবেদনের প্রস্তুতি।
প্রথম চেষ্টাতেই বাজিমাতের পর অনিরুদ্ধর জানায়, সফল হবার চাবিকাঠি, দীর্ঘ সময় ধরে নয় বরং রোজ অল্প করে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করা। পরীক্ষার আগে প্রায়ে ১৪-১৬ ঘণ্টা একমনে পড়তো সে।তবে তার আগে, দিনে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করত অনিরুদ্ধ। তবে তার মাঝখানে ছোটছোট ব্রেকও নিত কিছুক্ষণ। তার মতে, এই ধারাবাহিক প্রস্তুতিতে বার্নআউট রোধ করতে, পড়াশোনার মধ্যে বিরতি নেওয়াটা খুব জরুরি।
অনিরুদ্ধর পিতামহ ছিলেন একজন ইএনটি সার্জিওন, এবং তাঁর থেকেই ডাক্তার হবার প্রেরণা পায় সে। “আমার দাদু তার সময়ের একজন বিখ্যাত ইএনটি সার্জিওন ছিলেন। পেয়েছিলেন জাতিয় পুরস্কারও। এই পেশায়ে আসার আগ্রহ এবং প্রেরণা পেয়েছি দাদুর থেকেই", নিউজ 18.com কে এমনটাই জানায়ে অনিরুদ্ধ। তার বাবা এবং দাদা দুজনেই ইঞ্জিনিয়ার এবং মা হোমমেকার।
অনিরুদ্ধ আরও বলে, "আমাদের দেশে প্রতি ১০০০ মানুষের জন্য মাত্র ১.৩৪ ডাক্তার রয়েছে। এই তথ্য পড়ে চমকে উঠেছিলাম আমি। তারপরেই সিদ্ধান্ত নি যে ডাক্তার হয়ে সমাজের মানুষের সেবা করব একদিন।"
প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সে জানায়, পদার্থবিদ্যা/ফিজিক্স এর জন্য ডিসি পাণ্ডের 'অবজেকটিভ ফিজিক্স ফর NEET' ভলিউম ১ and ২, রসায়ন /কেমিস্ট্রির এবং জীববিদ্যার /বায়োলজির জন্য ‘MTG NCERT at Your Fingertips’ পড়েছে। এর পাশাপাশি MTG’s NEET/AIPMT-র আগের বছরের প্রশ্নপত্র যাতে ১৯৯৮ থেকে ২০২০ র প্রশ্ন রয়েছে, সেগুলো সল্ভ করেছে সে।পরীক্ষার আগে প্রায়ে রোজ নিয়ম করে রিভিশন এবং পেপার সল্ভ করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে টপার অনিরুদ্ধ।
স্নাতকোত্তরে অর্থপেডিক্স নিয়ে পড়ে অর্থপেডিক্স সার্জিওন হবাই তার লক্ষ। সে জানায়, "আমার কখনই স্বপ্নের কলেজ বলতে কিছু ছিল না। শুধু চেয়েছি সরকারি কোটায়ে ভর্তি হতে কারণ সরকারি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি। তাছাড়াও ক্যাডাভার / মাইক্রোস্কোপ ও ছাত্রছাত্রীর অনুপাতও ভালো।"
জীববিদ্যার/বায়োলজিতে পুরো ১০০ শতাংশ তোলা সহজ বলে, NEET পরীক্ষায় প্রথমে বায়োলজি দিয়ে শুরু করেছিল অনিরুদ্ধ। তারপর রসায়ন/কেমিস্ট্রি এবং শেষে পদার্থবিদ্যা/ ফিজিক্স। "বায়োলজি তে ৩৬০ তে ৩৬০ পেয়েছি আমি। ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রিতে পুরো ১০০ শতাংশ তোলা কিছুটা কঠিন। ওএমআর শিট পুরণ করতেও যথেষ্ট সময়ে হাতে রাখতে হয়। শুরুতেই ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রিতে হাত দিলে, ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং বায়োলজি তে ভুল হবার চান্স বেড়ে যায়।" , বলে জানায় অনিরুদ্ধ দাস।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।