মালদহ: মালদহেও একটি চালু বিড়ি কারখানায় হানা আয়কর দফতরের। মালদহের কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জে নামি বিড়ি কোম্পানির কারখানা ও অফিসে চলল আয়কর হানা। এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা নয়, একটানা ১২ ঘণ্টা ধরে চলল তল্লাশি ও জেরা পর্ব। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। তবে তদন্তকারীরা ওই কারখানা থেকে কোনও নথিপত্র বা নগদ টাকা উদ্ধার করেছেন কী না এ নিয়ে কেউই মুখ খুলতে চায়নি।
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনটি গাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা এসে হাজির হন কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জ এলাকার এই বিড়ি কারখানায়। সোজা কারখানার ভেতরে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের তদন্তকারী দল। বাইরে রাখা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। পরে আরও কয়েকটি গাড়িতে আয়কর দফতরের আরও কয়েকজন তদন্তকারী কারখানায় আসেন।
আয়কর হানার সময় কারখানায় সকালের শিফটে কাজ চলছিল। ভেতরে কর্মরত ছিলেন প্রচুর সংখ্যায় শ্রমিক। আয়কর হানার খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কারখানার অন্দরে। তবে সকলকেই নিজেদের মতো করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বন্ধ করে রাখতে বলা হয় কর্মীদের সমস্ত মোবাইল ফোন। কিন্তু বাইরের কাউকেই আর কারখানার আশপাশে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। বাইরে সতর্ক পাহারা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এই কারখানাতেই প্যাকেজিং হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় বাজারে পৌঁছে যেত ওই কোম্পানির বিড়ি। কারখানার পাশাপাশি এখানে রয়েছে সংস্থার একটি অফিসও। আয়কর বিভাগের তদন্তকারীরা কারখানার অন্দরের সেই অফিসে গিয়েই কাগজপত্র, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, লেনদেন খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেন।
ইতিমধ্যেই এলাকায় খবর পৌঁছে যায়, যে একই কোম্পানির কলকাতা, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক কারখানা ও অফিসে একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে। ফলে জল্পনা আরও বাড়ে। এলাকার বহু উৎসুখ মানুষ কারখানার আশপাশে ভিড় করেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও তদন্ত চলতে থাকায় শুরু হয় গুঞ্জন। কারণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষের রুজি রুটি জীবন জীবিকা চলে এই কারখানাকে কেন্দ্র করে। শেষে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর রাত পৌনে আটটা নাগাদ একের পর এক গাড়িতে চেপে কারখানা থেকে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা। তবে তদন্তের বিষয় নিয়ে আয়কর দফতরের আধিকারিক অথবা কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউই মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।