হোম /খবর /ক্রাইম /
চাকরির টোপ, বন্ধুত্ব পাতিয়ে রিসর্টে নিয়ে গৃহবধূর সর্বনাশ করল পুলিশ কনস্টেবল

Crime news: চাকরির টোপ, বন্ধুত্ব পাতিয়ে রিসর্টে নিয়ে গৃহবধূর সর্বনাশ করল পুলিশ কনস্টেবল

প্রতীকী ছবি৷

প্রতীকী ছবি৷

ওই ব্যক্তি নিজেকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তা বলে পরিচয় দেয়৷ আলাপের সূত্রেই গোপালকে নিজের সমস্যার কথা জানান ওই গৃহবধূ৷

  • Share this:

সমীর মণ্ডল, কলকাতা: স্বামী পরিত্যক্তা৷ রয়েছে ছোট সন্তানও৷ তাই চাকরির ভীষণই প্রয়োজন ছিল তাঁর৷ বছর তিরিশের এক গৃহবধূর এই অসহায়তার সুযোগ নিয়েই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে৷ এমন কি, ওই গৃহবধূর কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে৷

অভিযোগকারিণী ওই মহিলা উত্তর চব্বিশ পরগণার কেষ্টপুর এলাকায় থাকতেন৷ বর্তমানে ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর আইনি লড়াই চলছে৷ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরেও কাজের ব্যবস্থা করছিলেন না তিনি৷ এ দিকে জমানো পুঁজিও শেষ হয়ে আসছিল৷

আরও পড়ুন: মা হতে গিয়ে চরম সর্বনাশ! মুর্শিদাবাদের গৃহবধূর পরিণতিতে শিউরে উঠতে হয়

ওই গৃহবধূর আইনজীবী জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে আইনি টানাপোড়েনের সূত্রেইগোপাল সর্দার নামে এক ব্যক্তির পরিচয় হয় ওই মহিলার৷ ওই ব্যক্তি নিজেকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তা বলে পরিচয় দেয়৷ আলাপের সূত্রেই গোপালকে নিজের সমস্যার কথা জানান ওই গৃহবধূ৷

সন্দেশখালির গাববেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল ওই গৃহবধূকে জানায়, নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে সে মহিলা পুলিশে তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে৷ পাশাপাশি, এক বিচারপতির সঙ্গে পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে সে ওই মহিলার বিবাহবিচ্ছেদের মামলারও নিষ্পত্তি করিয়ে দেবে। চাকরি দেওয়ার নাম করে আস্থা অর্জনের জন্য ওই গৃহবধূকে পুলিশের বিভিন্ন দফতরেও নিয়ে যায় গোপাল৷

এই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরই গোপালকে ভরসা করতে শুরু করেন গৃহবধূ। দু জনে বাইরে দেখা করতেও শুরু করেন। অভিযোগ, ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে গৃহবধূর আস্থা অর্জন করে গোপাল। চাকরি দেওয়ার নাম করে গৃহবধূর সোনার গয়না এবং তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সে। শুধু তাই নয়, বিরাটী এলাকার একটি রিসর্টে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণও করে গোপাল৷

আরও পড়ুন: প্রেম জোয়ারে পালিয়ে বিয়ে, সুখ শেষ ৪ দিনেই! চরম পদক্ষেপ স্বামীর, শুনলে পা কেঁপে যাবে

ধীরে ধীরে গোপালের উপরে সন্দেহ বাড়তে থাকে ওই গৃহবধূর৷ খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, কোনও বড় পদে নয়, গোপাল রাজ্য পুলিশের একজন কনস্টেবল মাত্র৷ প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে গোপালের থেকে টাকা ও গয়না ফেরত চান মহিলা৷ অভিযোগ, সেই সময় মহিলাকে খুনের হুমকি দেয় গোপাল৷ গৃহবধূকে ব্যাপক মারধরও করে সে৷

মহিলার অভিযোগ, ২০২১ সাল থেকে তিনি এই অত্যাচারের শিকার৷ গোপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ মোবাইলে রেকর্ডও করে রাখেন তিনি৷ ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলে দাবি ওই গৃহবধূর৷ রাজ্য এবং মহিলা কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ৷ মহিলা কমিশনের পরামর্শেই সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই গৃহবধূ৷ যদিও অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Crime News, Housewife