হোম /খবর /মুর্শিদাবাদ /
মা হতে গিয়ে চরম সর্বনাশ! মুর্শিদাবাদের গৃহবধূর পরিণতিতে শিউরে উঠতে হয়

Murshidabad news: মা হতে গিয়ে চরম সর্বনাশ! মুর্শিদাবাদের গৃহবধূর পরিণতিতে শিউরে উঠতে হয়

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

তিন মাস ধরে কলকাতা এমন কি বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করেও এখনও সুস্থ না হওয়ায় হুইলচেয়ারেই দিন কাটছে ওই গৃহবধূর।

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

বহরমপুর: গত ১৬ সেপ্টেম্বর ডোমকলের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হন ডোমকলের বাসিন্দা এক গৃহবধূ। স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্বপন বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে সিজার করে সন্তান প্রসব হয় তাঁর। সিজারের জন্য অ্যানেস্থেশিয়া করেন অভিজিৎ গুপ্তা নামে অন্য এক চিকিৎসক।

সন্তান জন্মানোর আনন্দে স্বভাবতই দারুণ খুশি ছিলেন মুর্শিদাবাদের ওই গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সবকিছুই ঠিক মতো চলছিল। কিন্তু অ্যানেস্থেশিয়ার পর ৭২ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তারপর থেকে ওই মহিলার শরীরের নিম্নাংশে আর কোনও সার ফেরেনি বলে অভিযোগ। এমন কি, অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত দুই চিকিৎসক  স্বপন বিশ্বাস ও অভিজিৎ গুপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা এই বিষয়ে কোনও গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রক্তারক্তি কাণ্ড! মুর্শিদাবাদে তুলকালাম

এরপর তিন মাস ধরে কলকাতা এমন কি বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করেও এখনও সুস্থ না হওয়ায় হুইলচেয়ারেই দিন কাটছে ওই গৃহবধূর। নিজের পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটুকুও নেই তার। ওই গৃহবধূ বলেন, 'সিজার করে আমি সুস্থ সন্তান জন্ম দিই। কিন্তু সিজারের ২৪ ঘণ্টা পরেও আমাকে হাঁটানো হয়নি। এর পর দু'দিন কেটে গেলেও আমার পায়ে কোনও অনুভূতি ছিল না। চিকিৎসকদের জানালেও ওনারা কোনও রকম সহযোগিতা করেননি। আমি এখনও নিজের পায়ে  দাঁড়াতে পারি না। হুইলচেয়ারেই চলাফেরা করতে হয়। চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই আমাকে পঙ্গু হয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে।' আমি ওই চিকিৎসকদের কঠোর শাস্তি চাই।'

আরও পড়ুন: কৃষি কাজে উন্নতির লক্ষ্যে মুর্শিদাবাদের কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া হল 'এই' বিশেষ যন্ত্রের জন্য

ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, 'চিকিৎসক স্বপন বিশ্বাসই এই নার্সিংহোমে স্ত্রীর সিজারের জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই আমার স্ত্রীকে এই নার্সিংহোমে ভর্তি করি। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে তা কল্পনাও করিনি। কলকাতা, এমন কি বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করেও এখনও সম্পূরণ সুস্থ হয়ে উঠেনি আমার স্ত্রী। আমি জেলা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েছি। ওই চিকিৎসকদের আমি কঠোর শাস্তি চাই।'

যদিও স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্বপন বিশ্বাস বলেন, 'চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই মহিলার শিরদাঁড়ায় আগে থেকে সমস্যা থাকায় ওই শরীরের নিম্নাংশ অসার হয়েছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল বাচ্চাটিকে সুস্থভাবে প্রসব করানো। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমরা রাজি আছি।'

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Murshidabad