শুরু প্রশিক্ষণ, করোনা মোকাবিলায় সামিল করা হচ্ছে গ্রামীণ চিকিৎসকদের
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
এ লড়াই কারোর একার লড়া সম্ভব নয়, মারণ ভাইরাসকে হারাতে এবার দলে নেওয়া হল এঁদেরও৷
#বর্ধমান: এবার করোনা চিকিৎসায় গ্রামীণ চিকিৎসকদের যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হল রাজ্যের তরফে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় শুরু হয়ে গেল তার প্রশিক্ষণ। করোনার প্রথম দফায় দেখা গিয়েছিল মূলত কর্পোরেশন বা পুর শহরগুলিতে তার ব্যাপকতা বেশি ছিল। তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় তার প্রভাব ছিল খুবই কম। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য দফতর। গ্রামীণ এলাকার করোনা আক্রান্ত বাসিন্দাদের দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গ্রামীণ এলাকার চিকিৎসকদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
একদিকে যখন করোনা সংক্রমণ শহরাঞ্চলে হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে তখন গ্রামীণ এলাকাও তা থেকে বাদ পড়ছে না। ফলে রীতিমত চিন্তার রেখা এখন প্রশাসন তথা সরকারের। প্রত্যন্ত গ্রামের কোনও মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে শহরের হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্রে আসা যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। অনেকের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও তারা কয়েকদিন বাড়িতেই থাকছেন। অবস্থার অবনতি হলে যখন তারা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন তখন অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকের বিশেষ কিছু করার থাকছে না। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেকে।
advertisement
এই অবস্থায় চিকিৎসা পরিষেবাকে বিশেষত করোনাকালে কোনও মানুষ যাতে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করতে বড়সড় উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।প্রত্যেক জেলায় গ্রামীণ চিকিৎসকদের করোনা চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
advertisement
আর সেই লক্ষ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় শুরু হয়ে গেল গ্রামীণ চিকিৎসকদের ব্লকভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। বর্ধমানের জামালপুর সহ বেশ কয়েকটি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কয়েকটি ধাপে শতাধিক গ্রামীণ চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। জামালপুর ব্লকের মোট ৩৮৪জন গ্রামীণ চিকিৎসককে ৪ দফায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হল।এই চিকিৎসকদের হাতে তুলে দেওয়া হল মাস্ক ও স্যানিটাইজার।
advertisement
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত গ্রামীণ এলাকার মানুষরা কোনও রকম সমস্যা হলে প্রথমেই গ্রামীণ এলাকার চিকিৎসকদের কাছেই যান। আর তাই গ্রামীণ চিকিৎসকদের কোভিড চিকিৎসায় যুক্ত করতে পারলে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ কেউ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন কিনা, তাঁরা চিকিৎসা পাচ্ছেন কিনা প্রভৃতি তথ্যও জেলা প্রশাসনের হাতে চলে আসবে।
প্রশিক্ষণে গ্রামীণ চিকিৎসকদের জানানো হয়েছে, তাঁদের কাছে কোনও করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগী এলে সেক্ষেত্রে তাঁর তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্লক মেডিকেল অফিসারকে জানাতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
Saradindu Ghosh
Location :
First Published :
May 19, 2021 4:11 PM IST