#শিলিগুড়ি: একদিকে অবিরাম বৃষ্টির জেরে পাহাড়ী নদীর জলস্রোতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা। সঙ্গে কোভিড ১৯-এর হানা। দুইয়ের জেরে কার্যত দিশেহারা শতাধিক পরিবার। শিলিগুড়ি লাগোয়া সুকনার অচানক বস্তিবাসীর শিয়রে জোড়া সঙ্কট।
সুকনা জঙ্গল ঘেঁষা এলাকার বাসিন্দারা হতদরিদ্র। ইচ্ছে থাকলেও সাধ মেটানোর ক্ষমতা নেই আর্থিক প্রতিবন্ধকতার জন্যে। এই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সুকনার অচানক বস্তিতে বিপদগ্রস্ত এই মানুষগুলির পাশে দাঁড়াতেই আজ পৌঁছয় রোটারি ক্লাব অব শিলিগুড়ির সদস্যরা।
টানা ৭ দিনের লকডাউন কাটিয়ে সুকনায় আজ আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। কোভিড আক্রান্তের গ্রাফ কিছুটা নেমেছে। তবুও দুশ্চিন্তা যায়নি। ওদের সমস্যার কথা জানতে পেরে পৌঁছন রোটারি ক্লাবের সদস্যরা, অসহায় পরিবারগুলোর পাশে থাকার বার্তা নিয়ে। লকডাউনে শিলিগুড়ি শহর তো বটেই, লাগোয়া এলাকাতেও ত্রান সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিল রোটারিয়ানরা। শহরের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাশে থাকার পণ নিয়ে নেমেছিলেন পথে, রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে।
এখন শিলিগুড়ি -সহ লাগোয়া এলাকায় কোভিড আক্রান্তের গ্রাফ ঊর্ধমুখী। সুকনাও তার বাইরে নয়। এই সময়ে সুকনার অচানক বস্তিতে আচমকাই পৌঁছে যান রোটারি ক্লাবের সদস্যরা। সঙ্গে শুকনো খাবার নিয়ে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে ত্রান সামগ্রী বিলি। শুকনো খাবারের তালিকায় কী কী ছিল? বন রুটি, ১ কেজি করে চিড়ে, ২৫০ গ্রাম করে গুড়, শিশুদের জন্যে চকোলেট। আর সঙ্গে সচেতনতার অঙ্গ হিসেবে ব্লিচিং পাউডার ও মাস্ক।
এলাকাকে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতার জন্যে তুলে দেওয়া হয় ব্লিচিং পাউডার। ১১০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সামগ্রী। মাস্ক মাস্ট, আর তাই বস্তির বাসিন্দাদের অনেকেরই মাস্ক কেনার সামর্থ্য না থাকায় তারা তা তুলে দেন। এবং মাস্ক পড়ার কার্যকারিতাও বোঝান।
এদিন সেখানে যান রোটারি ক্লাব শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটনের সভাপতি শিব শঙ্কর সরকার, জ্যোতি দে সরকার, রাকেশ গর্গ, নবীন আগরওয়াল এবং যোগেশ প্রধান। আগামীতেও অসহায়দের পাশে থাকার আশ্বাস রোটারিয়ানদের।