বেতন বকেয়া! অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হল না ছাত্রীদের, স্কুলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

Last Updated:

টিউশন ফি-র পাশাপাশি কেন অন্যান্য ফি কেন নেওয়া হবে তা নিয়ে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহর কলকাতার একাধিক স্কুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অভিভাবকরা।

#কলকাতা: এবার বকেয়া বেতন না দেওয়াতে অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ পড়লেন ছাত্রীরা। মূলত এপ্রিল থেকে জুন মাসের স্কুলের বেতন না দেওয়ায় ক্লাস ওয়ান থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীরা অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলের তরফেই। রবিবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে অভিভাবকদের সরানোর পর সোমবার সকাল থেকে ছাত্রীদের কাছে আর নতুনভাবে কোন অনলাইন ক্লাস করার লিঙ্ক পাঠানো হয়নি। যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কলকাতার মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার স্কুলের তরফ এমনই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে অভিভাবকদের মধ্যে। ১০ ই জুলাই এর মধ্যে বকেয়া বেতন না দিলে ছাত্রীদের আর অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হবে না এই মর্মে অভিভাবকদের কাছে ই-মেইল মারফত জানিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে স্কুলের সামনেই অভিবাবকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা চাইলেও স্কুলের তরফ সে অবশ্য আলোচনায় বসার কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। এদিকে সোমবার সকাল থেকে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে না পারায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে অবশ্য স্কুলের মুখপাত্র সুভাষ মোহান্তি বলেন " স্কুলের তরফ সে প্রতিনিয়ত অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে কাদের কাদের টাকা দিতে সমস্যা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।"
advertisement
টিউশন ফি-র পাশাপাশি কেন অন্যান্য ফি কেন নেওয়া হবে তা নিয়ে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহর কলকাতার একাধিক স্কুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অভিভাবকরা। বিশেষত পরিবহন ফ্রী লাইব্রারি ফ্রী মত বর্তমানে যেগুলির কার্যকারিতা নেই সেই ফি কেন নেবে স্কুল তা নিয়েই গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবকরা। লাগাতার অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে অবশ্য হাতেগোনা কয়েকটি স্কুল কয়েকটি খাতে ফি কমিয়েছে। কিছু কিছু স্কুল পরিবহন ফ্রি, আবার কিছু স্কুল অ্যানুয়াল ফি ৫০ শতাংশ হারে কমেছে। যদিও লকডাউন এর কারণে অনেক অভিভাবকের আর্থিক পরিস্থিতি শোচনীয়। এমনকি অনেক অভিভাবকের চাকরি পর্যন্ত চলে গেছে। একাধিক স্কুলের কাছে অভিভাবকদের তরফে এমনকি ইমেল পৌঁছেছে। যদিও স্কুলগুলির তরফে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে এই সংক্রান্ত কোনও ইমেল বা কোনও চিঠি এলে সেই বিষয় মানবিকভাবে দেখছে স্কুল। কিন্তু সোমবারের ছবি কার্যত এক অন্য প্রশ্ন তুলে দিল।
advertisement
advertisement
বকেয়া বেতন দিতে না পারা জেরে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হলো না ছাত্রীদের। এমনকি যারা শুধুমাত্র টিউশন ফি দিয়েছে বাকিগুলি দেয়নি তাদের ও অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এমনই ঘটনা দেখে তাজ্জব অভিভাবকদের একাংশ। অনলাইন ক্লাসে যোগ না দিতে দেওয়ার জন্য মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার স্কুলের অভিভাবকদের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
advertisement
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্কুলের এক অভিভাবক সোমা রায় বলেন " আমি টিউশন ফি দিয়েছিলাম। কিন্তু অন্যান্য ফি গুলি দিইনি। স্কুলকে ইমেল করে জানিয়ে ছিলাম তবে স্কুলের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। আমি বুঝতে পারলাম না কেন আমার মেয়েকে অনলাইন ক্লাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।" এদিকে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে সোমবারের মধ্যে প্রত্যেকটি জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের একটি কম্প্লাইন্স রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। মূলত সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলি বর্ধিত ফি নিচ্ছে নাকি এবং তার সঙ্গে টিউশন ফির পাশাপাশি এক্সট্রা কী টিফিন দিচ্ছে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক দের। একাংশের অনুমান যেহেতু কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক বেসরকারি স্কুলে অভিভাবকরা টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য ফি কমানোর দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তার জেরেই এবার স্কুল শিক্ষা দপ্তর আবার নড়েচড়ে বসল।
advertisement
Somraj Bandopadhyay
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
বেতন বকেয়া! অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হল না ছাত্রীদের, স্কুলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা
Next Article
advertisement
'আমি শিবভক্ত, সব বিষ গিলে নিই...', অসমের জনসভায় বললেন মোদি, তাঁর 'রিমোট কন্ট্রোল' কে? চিনিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী!
'আমি শিবভক্ত, সব বিষ গিলে নিই...', 'রিমোট কন্ট্রোল' কে? অসমের জনসভায় চিনিয়ে দিলেন মোদি
  • অসমের জনসভায় কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • মোদি বলেন, জনগণই তাঁর আসল প্রভু এবং তাঁর ও ‘রিমোট কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রক’

  • অসমের দরং ও গোলাঘাটে ১৮,৫৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন

VIEW MORE
advertisement
advertisement