#কলকাতা : ভুয়ো টিকা (vaccine) কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন খোদ সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর (mimi chakraborty)। আর তাতেই পড়েছেন মহা বিপদে। ভ্যাকসিনের বদলে শরীরে ঢুকেছে অন্যকিছু। আর তাই চিন্তার শেষ নেই মিমির। মঙ্গলবার, ২২ জুন কসবার এক ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থেকে টিকা নেন মিমি (mimi chakraborty)। তারপরে তাঁরই তৎপরতায় বুধবার জানা যায় ওই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প আসলে ভুয়ো (Fake vaccination centre)। এখন জানা যাচ্ছে ক্যাম্প থেকে দেওয়া টিকাও নাকি জাল (fake vaccine)। করোনা টিকার নামে পেটের রোগের ওষুধ নাকি দেওয়া হয়েছে মানুষকে।
ভুয়ো ক্যাম্পের মূল পাণ্ডা ধৃত দেবাঞ্জন দেবের বাড়ি থেকে এদিন পেটের রোগ সারানোর ওষুধ অ্যামিকাসিন (Amikasin) উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ, সেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধই দেওয়া হয়েছিল টিকায়। সংবাদ মাধ্যমে মিমি জানান, আগে থেকেই তাঁর লিভারের সমস্যা ছিল। ভুয়ো টিকা নিয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর তেমন কোনও শারীরিক সমস্যা হয়নি। তবুও ঝুঁকি নিতে চান না মিমি। চিকিৎসকের পরামর্শে শুক্রবারই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন তিনি। সূত্রের খবর হাসপাতালে গিয়ে লিভার পরীক্ষাও করাবেন।
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারই তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে। রক্তপরীক্ষা সহ একাধিক টেস্ট করানোর কথা রয়েছে অভিনেত্রীর।জানা গিয়েছে, ভালো আছেন মিমি। আপাতত কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। তবে সাবধানের মার নেই! আর সেই কারণেই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষা করিয়ে নিতে চাইছেন অভিনেত্রী। কসবার ওই ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে যাঁরা যাঁরাই টিকা নিয়েছেন তাঁদের সকলকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মিমি। তবে একইসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন অযথা উদ্বেগ না করার।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের একবার ওই ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প নিয়ে মুখ খোলেন মিমি (Mimi Chakraborty)। মূলত যাঁরা ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের সকলের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন সাংসদ, অভিনেত্রী। ভিডিয়ো বার্তায় মিমি (Mimi Chakraborty) বলেন, ''গতকালের ঘটনার পর আমার কাছে অনেক ফোন, মেসেজ এসেছে? আমি কেমন আছি, অনেকেই খোঁজ নিচ্ছেন। তাঁদেরকে জানাতে চাই আমি ভালো আছি। ভয় পাবেন না, আশা করি আপনারাও সুস্থ আছেন। ওই ভ্যাকসিনের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ৪-৫ দিনের মধ্যেই জেনে যাব, ওতে ঠিক কী ছিল? তবে যতটুকু কথা বলে জেনেছি ওতে ক্ষতিকারক কিছু ছিল না, তবে হ্যাঁ, ওতে ভ্যাকসিনও ছিল না।''
অন্যদিকে, পুরসভার প্রাথমিক রিপোর্টে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে অনুমান, কোনও হাম বা বিসিজি জাতীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। পাউডার ও লিকুইড মিশিয়ে তৈরি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল ওই সেন্টারে।টিকার কোনও ভায়ালেই ছিল না ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট, এক্সপায়ারি ডেট। ছিল না ব্যাচ নম্বরও। পাউডারের সঙ্গে জল মিশিয়ে সেই তরলই টিকার নাম করে দেওয়া হয়েছিল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং বহু মানুষকে, এই অনুমানও উঠে এসেছে তদন্তে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fake vaccines, Mimi Chakraborty