#কলকাতা: বিশ্বাসে মেলায় বস্তু... আর এ তো মারণ করোনা। আর পাঁচটা ব্যবসার মতো করোনার দাপটে পটুয়াপাড়াতেও ঝাঁপ বন্ধ৷ বাংলা নববর্ষ, অক্ষয় তৃতীয়ায় বেচাকেনা শূন্যে গিয়ে ঠেকেছে৷ দুর্গা পুজোর বরাতও অন্যান্য বারের মতো জুটবে কিনা, তাই নিয়েই এখন সংশয়৷ ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে আসা ঠাকুরের বরাতও বাতিল হতে শুরু করেছে৷ তাই এ বার করোনা বন্দনায় কোমর বাঁধছে পটুয়া পাড়া।
কলকাতার মূর্তিপাড়া কুমোরটুলি এখন থমথমে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মৃৎশিল্পীরা ফিরে গিয়েছেন নিজেদের গ্রামের বাড়িতে। ফি-বছর এই সময়ে বায়নাদার, শিল্পী আর দেশি-বিদেশি দর্শকদের ভিড়ে থিকথিক করে কলকাতার কুমোরপাড়া। কিন্তু করোনা আতঙ্কে সেই কুমোরপাড়াই এখন থমথমে। মাস পাঁচেক পরেই দুর্গাপুজো। অথচ, এখনও মূর্তি তৈরির জন্য খড়-দড়িরই জোগান নেই পটুয়াপাড়ায়। কী হবে, তাই ভেবে মাথায় হাত শিল্পীদের।
এই অবস্থায় করোনার পুজোয় মন দিয়েছেন কলকাতার মৃৎশিল্পীরা। তার জন্য ইতিমধ্যেই মূর্তি তৈরির কাজ শেষ। কয়েক দিনের মধ্যেই বন্দনা করা হবে করোনাদেবীর। মৃৎশিল্পীদের একটাই আশা, পুজোয় তুষ্ট হয়ে করোনাদেবী শেষমেশ যদি বিদেয় হন, তা হলে শান্তি পাবেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, শান্তি পাবে সারা বিশ্বই।
করোনা দেবীর মূর্তি তৈরি করেছেন শিল্পী ভোলা পাল। তিনি বলেন, "বৃহস্পতিবার মূর্তি তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এ বার শুধুই পুজোর পালা।" তিনি বলেন, "বিশ্বের বড় বড় দেশ করোনা আতঙ্কে কাঁপছে। এই অবস্থায় তাঁকে শান্ত করা ছাড়া উপায় নেই।"
মৃৎশিল্পী সংগঠনের সম্পাদক বাবু পাল বলেন, "এই পৃথিবীতে যুগে যুগে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করেছে শুভ শক্তি। এখন আমাদের পৃথিবীতে অশুভ শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি চিরস্থায়ী নয়। খুব শীঘ্রই এই শক্তি পরাজিত হবে। পৃথিবী আবার শান্ত হবে। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই পুজো।"
SHALINI DUTTA