#কলকাতা: লকডাউন উঠে গেলে প্রথমে ধাপে ধাপে ঘরোয়া উড়ান চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে দেশে করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই উড়বে বিমানগুলি। আর তার জন্য অন্তর্দেশীয় বিমান ভাড়া অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে বিমানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মাঝের আসনগুলি ফাঁকা রাখা ৷ কারণ শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অধিকাংশ বিমানসংস্থাই এখন এই নিয়ম মানার পক্ষপাতী নয় ৷
একে তো এতদিন যাত্রী বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়েছে বিমানসংস্থাগুলির ৷ এবার যদি লকডাউনের পর মাঝের আসনগুলি ফাঁকা রেখে বিমান চালাতে হয়, তাহলে ৩০-৪০ শতাংশ কম যাত্রী নিয়েই উড়তে হবে বিমানসংস্থাগুলিকে ৷ এই ক্ষতিপূরণের জন্য বিমানভাড়া বাড়ানো হতেই পারে ৷ কিন্তু তাতেও নানা সমস্যা রয়েছে ৷ এখন এমনিতেই করোনা আতঙ্কে বিমানে চড়তে খুব একটা বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অনেক মানুষই ৷ এরপর যদি ভাড়াও বেশি গুনতে হয়, তাহলে যাত্রীসংখ্যা আরও কমবে বলেই আশঙ্কা এয়ারলাইন্সগুলির ৷
প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু মাঝের আসন খালি রাখলেই কি প্রয়োজনীয় সোশ্যাল ডিস্টেন্স বজায় রাখা যাবে? দ্বিতীয় যে প্রশ্ন উঠেছে, তাতে বলা হচ্ছে, কম যাত্রী তুললে বিমান সংস্থাগুলি লাভ করতে পারবে কি? কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, বিমানের মাঝের আসনগুলি খালি রাখা হোক। কিন্তু সেটা হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রক্ষা তো হবেই না তার বদলে বিমান সংস্থাগুলি ক্ষতির মুখ দেখবে বলে দাবি উঠেছে। বরং, এখন থেকে বিমানে সফরের সময়ে যাত্রী এবং কর্মীদের ‘পার্সোন্যাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্টে’-র মতো গ্লাভস এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হোক। এমনটাই মত অধিকাংশ বিমানসংস্থাগুলির ৷ ইউরোপের লো কস্ট বিমানসংস্থা রায়ান এয়ারের পক্ষ থেকে তো বলেই দেওয়া হয়েছে, যদি বিমানের মাঝের আসন ফাঁকা রাখা হয় ৷ তাহলে বিমান চালাবেই না সংস্থা ৷