#কলকাতাঃ করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজের মেল মেডিসিন ওয়ার্ড। এরপর দিন দশেক আগে প্রসূতি বিভাগে সন্তাননের জন্ম দেন নারকেলডাঙার এক বাসিন্দা। সন্তান প্রসবের পড়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। এরপরেই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তারপরেই আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগও। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চিকিৎসক এবং নার্সদের মধ্যে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার প্রসূতি বিভাগের দুই চিকিৎসক এবং মেডিসিন বিভাগের একজন জুনিয়ার চিকিৎসকের জ্বর আসে। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এরপর তাঁদের মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হ। চিকিৎসকরা লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে আজ রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপরই আক্রান্তদের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান হয়েছে।
অন্যদিকে, দিন কয়েক আগে বরানগরের বাসিন্দা ৬২ বছরের এক বৃদ্ধা কিডনির সমস্যা নিয়ে চার্নক হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত হয়ে আসেন। চার্নক হাসপাতালে ডায়ালিসিস চলাকালীন এক রোগী করোনা পজেতিভ হলে বাকি চিকিৎসাধীনদের একে একে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তেমনই এই মহিলা মেডিকেল কলেজে এসে ভর্তি হন। পরবর্তীতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর পড়ে রিপোর্ট আসে, করোনা আক্রান্ত ছিলেন তিনি। চার্নক হাসপাতাল গত রবিবার বিকেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধাকে জুনিয়ার ডাক্তারা ভর্তি নিতে অস্বীকার করলেও উপর মহলের চাপে জোর করে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়। পরে জরুরি বিভাগ থেকে তাঁকে ফিমেল মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সোমবার রাতে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু। তারপরই জুনিয়র ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৪৪ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে থাকাকালীন সেখানে আরও পাঁচ জন রোগী ছিলেন। তাদেরকেও পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মহিলাদের মধ্যেই দুই রোগিণীর কোন উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করা হয়। আজ তাঁদের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। আক্রান্তদের বারাসাত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ABHIJIT CHANDA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona positive, Doctor, Kolkata Medical college hospital, Patient