#শিলিগুড়ি: করোনা মোকাবিলায় চলছে লকডাউন। রাজ্যে জুন মাস পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। তবে আনলক ওয়ানে একাধিক পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে। খুলেছে শপিং মল, হোটেল, রেঁস্তোরা। রাস্তায় ভিড় বাড়ছে। বাসে, অটোতেও গাদাগাদির ছবি! তবু এখনও লকডাউনে আবদ্ধ সিনেমা হল, জিমন্যাসিয়ামের দরজা। বন্ধ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়।
একেই শহরে মাল্টিপ্লেক্স চালু হওয়ায় পুরনো সিনেমা হলগুলো সংকটের মধ্যে পড়ে যায়। শিলিগুড়িতে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে তিনটে সিনেমা হল। কাজ হারিয়েছেন কর্মীরা। এবারে লকডাউনে সমস্যা বাড়ছে সিনেমা হলের কর্মীদেরও। প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ হলের ঝাঁপ। সংকট বাড়ছে হল কর্মীদের। এক হল কর্মী দেবাশীষ ঘোষের অভিযোগ, সবই ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে। কোথায় মানা হচ্ছে সোশ্যাল ডিস্টেনসিং? কোনও বালাই নেই। কী বাস, কী সিটি অটো বা টোটো, কি বাজারে! একই হাল সর্বত্র। অথচ বন্ধ করে রাখা হয়েছে সিনেমা হল। আর হল বন্ধ থাকলে সার্বিকভাবে এর প্রভাব গিয়ে পড়বে হলিউড থেকে টলিউডে। এখনও পর্যন্ত সরকার খোঁজই নেয়নি। দেখা মেলেনি নেতা, মন্ত্রীদের। এখনও মালিকেরা বেতন দিয়ে আসছে। সংসার চালাতে গিয়ে সঙ্কট বাড়ছে ।
শহরের এক হলের ম্যানেজার নিখিল সেন জানান, ১৭ মার্চ থেকে সিনেমা হল বন্ধ। ব্যবসা নেই। তবু কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। জানি না মালিক আর কত মাস এভাবে টানতে পারবেন। শহরের এই সিনেমা হল কর্মীদের পাশে দাঁড়ালো শিলিগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "ইউনিক ফাউন্ডেশন টিম"। অসহায় হল কর্মীদের হাতে তুলে দিল শুকনো খাবার। কি ছিল তালিকায়? চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেল, মশলাপাতি, সয়াবিন, মুরগীর ডিম, টুথ পেস্ট এবং সাবান। একেবারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আলাদা আলাদা টেবিল পেতে চলে খাদ্য সামগ্রী বিলি পর্ব। এহেন উদ্যোগকে স্যালুট জানিয়েছেন হল কর্মীরা। অন্তত কেউ তো তাদের কথা অন্তত ভেবেছে! পাশে এসে দাঁড়িয়েছে!
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cinema Hall, Corona, Corona outbreak, Corona state lock down, Coronavirus, Covid ১৯, Unlock 1.0