হোম /খবর /দেশ /
মাস্কে ঢাকা বান্ধবীকে চিনতেই পারল না বন্ধু! নিউ নর্মাল অষ্টমী অঞ্জলির অভিনব গল্প

মাস্কে ঢাকা বান্ধবীকে চিনতেই পারল না বন্ধু! নিউ নর্মাল অষ্টমী অঞ্জলির অভিনব গল্প

এ বছর কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গেই দুর্গা পুজো মণ্ডপগুলি ফাঁকাই থেকেছে, রাস্তাতেও অনেক কম মানুষ পুজো উদযাপনে বেরিয়েছেন৷ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগে দুর্গা পুজোর সময় মায়ের দর্শন করতে পুজো প্যান্ডালগুলিতে মেলার মতো ভিড় লেগে থাকত৷ কিন্তু এ বছর তা হয়নি৷ আগে দশেরাতেও বড় বড় মেলা হত, রামলীলার রীতি পালনও বড় আকর্ষণ ছিল, গুজরাতের নবরাত্রির আয়োজনে গরবার সুর চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ত৷ এবার সবকিছুতেই বিধিনিষেধ রয়েছে৷'

এ বছর কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গেই দুর্গা পুজো মণ্ডপগুলি ফাঁকাই থেকেছে, রাস্তাতেও অনেক কম মানুষ পুজো উদযাপনে বেরিয়েছেন৷ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগে দুর্গা পুজোর সময় মায়ের দর্শন করতে পুজো প্যান্ডালগুলিতে মেলার মতো ভিড় লেগে থাকত৷ কিন্তু এ বছর তা হয়নি৷ আগে দশেরাতেও বড় বড় মেলা হত, রামলীলার রীতি পালনও বড় আকর্ষণ ছিল, গুজরাতের নবরাত্রির আয়োজনে গরবার সুর চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ত৷ এবার সবকিছুতেই বিধিনিষেধ রয়েছে৷'

মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিতে হলে নিজেদের কে নিয়ে আসতে হবে অঞ্জলির ফুল বেলপাতা, দূ্র্বা ও গঙ্গা জল।

  • Last Updated :
  • Share this:

#: চেনা বান্ধবী পিছন থেকে টোকা দিচ্ছে। ঘাড় ঘুড়িয়ে চিনতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছে।আরে তোর মুখের মাস্কটা খোল।না হলে চিনব কি করে। নতুন শাড়ির রং এর সঙ্গে ম্যাচিং মাস্ক এতটা অচেনা করে তুলবে বন্ধুদের কাছে বুঝতেই পারেনি অশোকনগর এর নেহা।সকালে মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিতে গিয়ে একই ঘটনা ঘটেছে। এবার তো অভিনব মহাষ্টমীর অঞ্জলি।

অশোকনগর,হাবরা কিম্বা মধ্যমগ্রাম প্রায় সব শহরের বহু পূজা কমিটি নিয়ম করে দিয়েছে অঞ্জলির ফুল, বেলপাতা বা গঙ্গার জল তারা দেবেন না।অশোকনগর  গোলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির  দূর্গোৎসব এবার ৬০ তম বর্ষ। করোনা অতিমারির কারনে ছোয়াছুয়ি থেকে বাঁচাতে সকলকে নিয়ে আসতে হল ফুল বেলপাতা,দূর্বাও।এমন কি গঙ্গা জলের ব্যবস্থা রাখল না কমিটি। তবে রেখেছিল তারা স্যানটাইজার।গতকাল থেকে পূজা কমিটি জানিয়ে দিয়েছিল মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিতে হলে নিজেদের কে নিয়ে আসতে হবে অঞ্জলির ফুল বেলপাতা, দূ্র্বা ও গঙ্গা জল।সেই মত এই পূজায় অঞ্জলি দিতে আসা নারী পুরুষ সকলেই নিজেদের ফুল ও গঙ্গা জল নিয়ে এসে অঞ্জলি দিয়ে যান।

অভিনব ভাবে অঞ্জলি দেওয়ার পর প্রথম বার এমন নতুন ধরনের অঞ্জলি দেওয়াটা নিয়ে কথা বলছেন নেহা পালরা।সকলের কাছে আলোচনা বিষয় এটি। সবারই এক কথা কি সময় এলরে ভাই। মন্ডপে মন্ডপে লাউড স্পিকার এ গান আছে। নেই চেনা ছন্দ।এবার করোনা অতিমারি সবই উলোট পালোট করে দিয়েছে। অশোকনগরে নেহা কিম্বা হৃদয়পুরের জয় দাসের একটাই প্রার্থনা -মা এলেই যখন,অন্তত যাওয়ার সময় করোনা টা কে নিয়ে যেও কৈলাশের হিমচূড়ায়।  হৃদয়পুরের সূধাস্মৃতি পূজার আয়োজক জয় দাসের কথায় সারা পাড়া অঞ্জলি দিয়েছে তাদের মন্ডপে। তবে সবাইকে নির্দিস্ট দূরত্বের বিধি মানিয়েছি আমরা।প্রতিটি দর্শনার্থী বাড়ি থেকে ফুল গঙ্গার জল নিয়ে অঞ্জলি দিতে আসতে হল। এইবার অঞ্জলিতে এই নতুন অভিজ্ঞতা, তাঁদের  সারাজীবন মনে থাকবে গোলবাজারবাসীর, দাব পূজা কমিটির সম্পাদক গোপি মজুমদারের।

RAJARSHI Roy

Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: District-dura-puja-2020, Durga Puja, Durga Puja 2020