দেশে ৫ লক্ষ নমুনা পরীক্ষায় ২১ হাজার আক্রান্ত, কোন পথে সংক্রমণ!

Last Updated:

ভারতে করোনা পরীক্ষা ব্যবস্থা ৩৩ গুণ বাড়ান হয়েছে। আর তার ফলস্বরূপ আক্রান্তের সংখ্যা এভাবে দ্রুত নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে। সেই জন্য লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

#নয়াদিল্লিঃ করোনা রুখতে লক ডাউনে গোটা দেশ। দ্বিতীয় লক ডাউন শুরু হওয়ার একমাস কেটে গেলেও কমেনি সংক্রামিতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ২১,০০০ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। অব্যাহত মৃত্যুমিছিল।  সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্ত ২১ হাজার ৭০০। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪০৯ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮৬। তবে আশার আলো জাগিয়ে মারণ রোগকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন ৪ হাজার ৩২৫ জন।
তবে লক ডাউন চললেও সংক্রমণ দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার সংখ্যা কমেনি। এমনটাই জানিয়েছেন করোনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত কমিটির চেয়ারপার্সন সিকে মিশ্রা। তাঁর দাবি, ভারতে করোনা পরীক্ষা ব্যাবস্থা ৩৩ গুণ বাড়ান হয়েছে। আর তার ফলস্বরূপ আক্রান্তের সংখ্যা এভাবে দ্রুত নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে। সেই জন্য লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মিশ্রার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, "দেশে প্রতিদিন ৪.৪ শতাংশ হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও তাতে সাংঘাতিক আশঙ্কার কিছু নেই। তবে এই বৃদ্ধি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ লক ডাউন শুরু হওয়ায় আগে সংক্রমণের মাত্রা যা ছিল, কম-বেশি সেই মাত্রা একই আছে।" তবে আশার আলো রয়েছে। কারণ, আমেরিকার তুলনায় বয়া ইতালির তুলনায় ভারতের অবস্থা ঢের ভাল। কমিটির চেয়ারম্যানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫ লক্ষ পরীক্ষার পরে যেখানে আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ৮০ হাজার, ইউকে'তে ১.২ লক্ষ, ইতালিতে ১ লক্ষ। সেখানে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ২১,৭০০।
advertisement
এদিকে, এআইআইএমএস (এইমস) অধিকর্তা রনদীপ গুলেরিয়া বলেন, বহু মানুষ আক্রান্ত হলে, সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে যে সব রোগীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তিনি এবং তাঁর পরিবার অসম্ভব সামাজিক এমং মানসিক হেনস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন। পাশাপাশি, লোক জানাজানির ভয়ে অনেকেই, বিষয়টি প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলছেন। সামাজিক লজ্জার ভয়ে চিকিৎসা এড়িয়ে যাচ্ছেন। বাড়িতে থেকে সাধারণ জীবনযাপন করছে। ফলে তাঁর সংস্পর্শে আসা মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি, কারও কারও ক্ষেত্রে অবস্থা সংকটজনক না হায়া পর্যন্ত চিকিৎসা করাছহেন না। যার ফলে বিলম্বিত হচ্ছে রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়া। বাড়ছে মৃত্যুর হার। এই সামাজিক সমস্যা কমলে, আরও তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় হবে। আরও তাড়াতাড়ি রোগমুক্তি ঘটবে। ফলে কমবে মৃত্যুর হার। তিনি বলেন, এটা সামাজিক  লজ্জার কোনও বিষয় নয়। বরং চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলে কেউ সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন।
advertisement
advertisement
এদিকে এআইআইএমএস (এইমস) অধিকর্তার দাবি, করোনার আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশ রোগী এমনিই সেরে ওঠেন। মাত্র ১৫ শতাংশের অক্সিজেন পরিষেবার প্রয়োজন হয়। বাকি মাত্র ৫ শতাংশ আক্রান্তকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে দিতে হয়। এর পাশাপাশি, সিকে মিশ্রা বলেন, দেশে সংক্রমণ রুখতে লক ডাউন করা হয়েছে। তবে আক্রান্তের সঙ্ক্যা বাড়লে সরকার তার মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই ত্রি-স্তরীয় পরিষেবা ব্যাবস্থা প্রস্তুত করেছে। বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে ১.৯৪ লক্ষ আইসোলেটেড শয্যা রয়েছে। ২৪,৬৪৪ আইসিইউ বেড, ১২,৩৭১ ভেন্টিলেটর এবং ১.৬৬ লক্ষ আইসোলেশন বেড তৈরি রয়েছে। করোনা সন্দেহভাজনদের নুমনা পরীক্ষার জন্য  প্রস্তুত রয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি বহু ল্যাবরেটরি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
দেশে ৫ লক্ষ নমুনা পরীক্ষায় ২১ হাজার আক্রান্ত, কোন পথে সংক্রমণ!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement