কোচবিহার: প্রাথমিক স্কুলটিতে ৮৭ জন পড়ুয়া আছে। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে এসে খেলবে এটাই স্বাভাবিক। এদিকে স্কুলের একেবারে সামনে দিয়ে চলে গিয়েছে হাইরোড। আশ্চর্যজনকভাবে এমন একটি স্কুলে কোনও বাউন্ডারি ওয়াল নেই। ফলে বাচ্চারা যখন তখন রাস্তায় উঠে গিয়ে একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই একই স্কুলে শৌচাগার ও পানীয় জলের সঠিক বন্দোবস্ত নেই। তা নিয়েও ছোট ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই চরম অসুবিধার মুখে পড়ে। এই দুই বড় প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করেই প্রতিদিন চলছে কোচবিহারের ঘুঘুমারি এপি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টির একেবারে সামনে দিয়ে চলে গিয়েছে কোচবিহার-মাথাভাঙা হাইরোড। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমল চন্দ্র রায় জানান, একসময় এই স্কুল বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। কিন্তু বছর চারেক আগে বন্যায় সেই দেওয়াল ভেঙে যায়। এরপর বারবার প্রশাসনকে জানালেও কোনও কাজের কাজ হয়নি, তৈরি হয়নি নতুন বাউন্ডারি ওয়াল। ফলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েও আতঙ্কে ভুগতে থাকেন অভিভাবকরা। কারণ বাচ্চা যদি একবার খেলতে খেলতে রাস্তায় গিয়ে ওঠে তাহলে সাড়ে সর্বনাশ হয়ে যাবে! বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত থাকেন শিক্ষকরাও। তাঁরা পড়ানোর থেকে বেশি ব্যস্ত থাকেন সকল ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসের মধ্যে আছে কিনা সেটা দেখতে।
আরও পড়ুন: পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জীবনে ফেরাতে মন্দিরে গড়ে উঠেছে রিহ্যাব সেন্টার
স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবক, এমনকি স্থানীয় গ্রামবাসীদেরও অভিযোগ বারবার এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দরবার করলেও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানালে স্রেফ আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এই অবস্থায় অভিভাবকরা চাইছেন আর কিছু না হোক অন্তত স্কুলটিকে আবার বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হোক। মা-বাবাদের এই আর্জি প্রশাসনিক কর্তাদের কানে যাচ্ছে কি?
সার্থক পণ্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।