Cooch Behar: বিপদ সঙ্কেত! জলের স্তর বাড়ছে তোর্সা নদীর!
Last Updated:
কদিনের একটানা বৃষ্টির জেরে রীতিমতো বাড়তে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীর জলের স্তর। এবং এই পরিস্থিতির অন্যথায় দেখা যাচ্ছে না কোচবিহারের তোর্সা নদীতে।
কোচবিহার: কদিনের একটানা বৃষ্টির জেরে রীতিমতো বাড়তে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীর জলের স্তর। এবং এই পরিস্থিতির অন্যথায় দেখা যাচ্ছে না কোচবিহারের তোর্সা নদীতে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোচবিহারে তোর্সা নদীর জল। এই কারণের জেরেই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফুটে উঠেছে তোর্সা পাড়ের বাসিন্দাদের। যদিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। তবে বিগত দিনের পরিস্থিতি গুলিকে খতিয়ে দেখলেই বোঝা সম্ভব যে পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক হতে পারে। প্রতিবছর এই বর্ষার সময়ে নদীর জল বাড়ার ফলে, জল ঢুকে যায় তোর তোর্সা পাড়ের অধিকাংশ বাসিন্দার বাড়িতে। এবং তারা আশ্রয় নিতে বাধ্য হন বাঁধের উপর। অস্থায়ীভাবে ত্রিপল দিয়ে বাসস্থান তৈরি করে থাকতে হয় তাদের। সেই সময় সরকারিভাবে তাদের জন্য পাঠানো হয় ত্রিপল এবং খাবার সামগ্রী।
এ বছরও সেই একই পরিস্থিতি উৎপন্ন হওয়ার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। আর তার ফলেই চিন্তায় রয়েছেন তোর্সা পাড়ের বাসিন্দারা। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা রাহুল সাহা জানান, \"নদীর বাঁধের কিছুটা অংশ এখানে বাকি রয়েছে। আর তার ফলেই নদীতে জল বাড়ার সময় নদীর ভাঙ্গন চোখে পড়ে এখানে। নদী ধীরে ধীরে এদিকে অনেকটা সরে এসেছে। এখানে একটি ছোট মাঠ ছিল সেটিও পাড় ভাঙ্গার ফলে অনেকটা ছোট হয়ে গেছে\"।
advertisement
advertisement
কোচবিহার ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুমিত ঘোষ বলেন, \"বিগত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টির ফলে নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। তবে আজকের দুপুর পর্যন্ত এখনো কোন নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে আমরা বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছি\"।
advertisement
বিষয়টি নিয়ে কুচবিহার সদর মহকুমার শাসক রাকিবুল রহমান জানান, \"প্রতি বছর এই সময় নদীর জল বাড়ার ফলে আমাদেরকে তৎপর থাকতে হয়। এ বছরও আমরা তৎপর রয়েছি। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেকোনো রকম বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য। কিছু স্কুল ঘর ঠিক করে রাখা হয়েছে, বন্যা কবলিতদের রাখার জন্য। এছাড়া মজুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী এবং ওষুধ\"।
advertisement
Sarthak Pandit
Location :
First Published :
June 16, 2022 8:08 PM IST