Coochbehar News: পৌরসভা পরিচালিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ, তদন্তে পৌরপ্রধান
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
তিনি বলেন, "তিনি টেট পাশ করার পরে তাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন এই জয়ন্ত বাবু।" যদিও বা এই বিষয় নিয়ে লিখিত কোন অভিযোগ না থাকায় তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এই মুহূর্তে পারছেনা পৌরসভা বলে জানান, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
#কোচবিহার: কোচবিহার পৌরসভা পরিচালিত নিবেদিতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি এবং বাংলা মাধ্যমের সংযুক্ত প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত অধিকারীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ! এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেবিদ্যালয়ে সরেজমিনে তদন্তে গেলেন কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। যদিও বা তদন্তে আসার আগেই ভোট কাউন্সিলের মিটিংয়ে জয়ন্ত অধিকারীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিন তদন্তে এসে বেশ কিছু হিসেবে গরমিল খুঁজে পান পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেখানে একটানা প্রায় ছয় মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও বেতন দেওয়ার তথ্যও সামনে উঠে আসে।
রবীন্দ্রনাথ বাবু জানেন, "প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত অধিকারীর বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল আমাদের কাছে। যে কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারপরেই বিদ্যালয়ে তদন্তে এসেছে কোচবিহার পৌরসভা। পৌরসভার অ্যাকাউন্ট অফিসার, ডেভেলপমেন্ট অফিসার সহ তিনি নিজেই তদন্তে এসেছেন।"
সমস্ত অভিযোগই প্রায় সঠিক প্রমাণিত হয়েছে বলেও পৌরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে। জয়ন্ত বাবুর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পৌরসভা বলে জানান, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাকরির পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তারই সহকর্মী এক শিক্ষিকার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ সামনে উঠে আসে! মৃত্তিকা সোমা দেব সরাসরি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে অভিযোগ করে এই কথা জানান।
advertisement
advertisement
তিনি বলেন, "তিনি টেট পাশ করার পরে তাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন এই জয়ন্ত বাবু।" যদিও বা এই বিষয় নিয়ে লিখিত কোন অভিযোগ না থাকায় তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এই মুহূর্তে পারছেনা পৌরসভা বলে জানান, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
advertisement
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সম্পূর্ণ ঘটনার বিবরণ জানিয়ে পৌরসভায় লিখিতভাবে অভিযোগ করতে বলেন শিক্ষিকাকে। একই সঙ্গে তিনি বলেন বিদ্যালয়ের প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ক্যাশ ইন হ্যান্ড ছিল। যা প্রধান শিক্ষক তিনি তার নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। যার মধ্যে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বাকি টাকা এখন জয়ন্তবাবুর কাছেই রয়ে গেছে বলে অনুমান। তবে আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি বিদ্যালয় পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেও নজর দিয়েছেন কোচবিহারের পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বিদ্যালয়ের টিনের চাল, বাথরুম, পানীয় জলের ব্যবস্থা, বিদ্যালয়ের রং এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়েও আগামী দিনে সুপরিকল্পিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
advertisement
Sarthak Pandit
view commentsLocation :
First Published :
August 30, 2022 3:40 PM IST