বন্দুক, শটগান আর রাইফেল, রতন টাটার সাধের এই তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র কে পেলেন?

Last Updated:

রতন টাটা বিপুল সম্পত্তির মালিক। কিন্তু অকৃতদার। স্বাভাবিকভাবেই নিঃসন্তান। মৃত্যুর আগেই পুরো সম্পত্তির উইল করে গিয়েছিলেন তিনি।

রতন টাটা শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তাঁকে যাঁরা খুব কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা এমনটাই বলেন। ধীর, স্থির এবং বিনয়ী। এমন শান্ত স্বভাবের রতন টাটাই উত্তরাধিকার সূত্রে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিলেন। যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন নিজের কাছে। তাঁর মৃত্যুর পর সেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি এখন কার হাতে যাবে?
রতন টাটা বিপুল সম্পত্তির মালিক। কিন্তু অকৃতদার। স্বাভাবিকভাবেই নিঃসন্তান। মৃত্যুর আগেই পুরো সম্পত্তির উইল করে গিয়েছিলেন তিনি। গাড়ির চালক থেকে শুরু করে রাঁধুনি, পরিচারক, সবাইকেই কিছু না কিছু দিয়ে গিয়েছেন। বাদ যাননি বন্ধুবান্ধবরাও। তাঁর কাছে থাকা তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র তিনি দিয়েছেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু মেহলি মিস্ত্রিকে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।
advertisement
advertisement
সুমন্ত মুলগাওকর ছিলেন শিকারি। তিনি আবার টাটা মোটরসের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও ছিলেন। নিজের পিস্তলটি উপহার হিসাবে রতন টাটাকে দিয়েছিলেন তিনি। বাবা নেভেল টাটার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে  একটি শটগান পেয়েছিলেন রতন টাটা। আর টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জেআরডি টাটার ছিল একটি রাইফেল। সেটি রীতিমতো উইল করে রতন টাটার হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। এই হল রতন টাটার তিন আগ্নেয়াস্ত্রের ইতিবৃত্ত।
advertisement
রতন টাটা এই পিস্তল, শটগান এবং রাইফেল কোনওদিন ব্যবহার করেছেন কি না, জানা যায় না। তবে তাঁর লাইসেন্স ছিল। দেশের ফায়ার আর্মস লাইসেন্স হোল্ডারদের মধ্যে তিনি একজন। আগ্নেয়াস্ত্রগুলোও তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। সাধারণ মানুষ যেমন পারিবারিক চিহ্ন বংশ পরম্পরায় ধরে রাখে, রতন টাটাও সেভাবেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলিকে আগলে রেখেছিলেন। মৃত্যুর পর সেগুলো যাবে মেহলি মিস্ত্রির হাতে।
advertisement
কে এই মেহলি মিস্ত্রি: মেহলি মিস্ত্রিও ব্যবসায়ী। একসময় মুম্বইয়ের কোলাবায় রতন টাটার প্রতিবেশি ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই আলাপ এবং বন্ধুত্ব। তবে মেহলির আরও একটা পরিচয় রয়েছে। তিনি সাইরাস মিস্ত্রির খুড়তুতো ভাই। ২০১৬ সালে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাইরাসকে সরিয়ে দেন রতন টাটা। সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় ভাই নয়, বন্ধুর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মেহলি। শুধু এই তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র নয়, বন্ধু মেহলিকে আলিবাগের সি-ফেসিং বাংলোও দিয়েছেন রতন টাটা।
advertisement
রতন টাটার মৃত্যুর পর এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি রাখার জন্য মেহলিকে লাইসেন্স করতে হবে। ভারতে এর আইন খুব কড়া। সবার আগে কারণ দেখাতে হয়। একজন ব্যক্তি আত্মরক্ষা, ক্রীড়া এবং সাজিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারেন। মেহলি মিস্ত্রি সম্ভবত সাজিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই রেজিস্ট্রেশন করবেন। তারপরই রতন টাটার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র তাঁর হাতে আসবে।
advertisement
Keywords: Mehli Mistry, Ratan Tata, Firearms
Written By: Koushik Bhattacharya
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
বন্দুক, শটগান আর রাইফেল, রতন টাটার সাধের এই তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র কে পেলেন?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement