২০ হাজার কোটির এফপিও তুলে নিল আদানিরা! কী এই এফপিও?

Last Updated:

বাজারের অস্থিরতার কারণেই এফপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে লগ্নিকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

কলকাতা: সম্পূর্ণরূপে সাবস্ক্রাইবড ২০ হাজার কোটি টাকার ফলো অন পাবলিক অফার বা এফপিও বাতিল করে দেওয়া হল। এক বিবৃতি জারি করে এই খবর জানিয়েছিল আদানি এন্টারপ্রাইজ। বাজারের অস্থিরতার কারণেই এফপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে লগ্নিকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
আদানি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘…বাজারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের স্টক মূল্য ওঠানামা করছে। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির পর্ষদ মনে করেছে, বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নৈতিকভাবে ঠিক নয়। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সবার আগে। তাঁদের যে কোনও রকম আর্থিক ক্ষতি থেকে দূরে রাখতে বোর্ড এফপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল’।
advertisement
advertisement
এখন প্রশ্ন হল এফপিও কী? যা বাজারে ছাড়ার পরেও আদানি এন্টারপ্রাইজকে তুলে নিতে হল। স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোনও কোম্পানি এফপিও অর্থাৎ ফলো অন পাবলিক অফার বাজারে আনে। এটা মূলত কোম্পানির মূলধন বাড়ানোর প্রক্রিয়া। এফপিও-র মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু করা হয়। যাতে বর্তমান এবং নতুন শেয়ার হোল্ডাররা তাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
advertisement
এফপিও এবং আইপিও কী এক: আদতে একই। কোম্পানির মূলধন সংগ্রহই এর উদ্দেশ্য। তবে পার্থক্যটা হল, তহবিল সংগ্রহের জন্য এফপিও শুধুমাত্র স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিই জারি করতে পারে। আর আইপিও বাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য যে কোনও কোম্পানি জারি করতে পারে। সহজ কথায়, যখন একটি প্রাইভেট কোম্পানি বাজারে তহবিল সংগ্রহ করে, তখন তাকে আইপিও বলা হয়। আর যখন স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত পাবলিক কোম্পানি অর্থ সংগ্রহ করে, তখন তাকে এফপিও বলা হয়।
advertisement
এফপিও কত রকমের হয়: এফপিও দুই ধরনের হয়। একটি হল ডিলুটিভ এফপিও এবং অন্যটি হল নন-ডাইলুটিভ এফপিও। ডিলুটিভ এফপিওতে, কোম্পানির তরফে অতিরিক্ত শেয়ার ইস্যু করা হয়। এটি কোম্পানির ইপিএসকে প্রভাবিত করে। যেখানে, নন-ডিলুটিভ এফপিওতে, অতালিকাভুক্ত শেয়ারগুলি বেসরকারি সংস্থাগুলির তরফে বিক্রি করা হয়। এটি ইপিএসকে প্রভাবিত করে না।
advertisement
কোম্পানি কেন এফপিও জারি করে: কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন। সেই টাকা তুলতেই মূলত এফপিও জারি করা হয়। এছাড়া কখনও কখনও ঋণ কমাতে এবং বাজারে স্টকের লিকুইডিটি বাড়ানোর জন্যও এফপিও আনা হয়। বিনিয়োগকারী যে কোনও ব্রোকিং প্ল্যাটফর্মে গিয়ে এফপিও-র জন্য বিড করতে পারেন।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
২০ হাজার কোটির এফপিও তুলে নিল আদানিরা! কী এই এফপিও?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement