২০২৩-এ নতুন করে শুরু করা যেতে পারে এই সব ব্যবসা! কম বিনিয়োগেই হয়ে যেতে পারেন মালামাল!

Last Updated:

আজ তাই আলোচনা করে নেওয়া যাক, কিছু স্টার্ট-আপ ব্যবসার বিষয়ে। নতুন করে শুরু করা যেতেই পারে এই সব ব্যবসা।

কলকাতা: চাকরির বাজারের হাল খুবই খারাপ। মনের মতো চাকরিই মিলছে না। ফলে আয়ের সংস্থানের জন্য ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা চাকরি করেও খুশি নন। চাকরির পরিবর্তে নিজের মনের মতো করে কাজ করতে চান। তাই নিজেদের ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন। কিন্তু বুঝে উঠতে পারেন না যে কী ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। চিন্তা কীসের? আমরা তো আছিই। আজ তাই আলোচনা করে নেওয়া যাক, কিছু স্টার্ট-আপ ব্যবসার বিষয়ে। নতুন বছরে নতুন করে শুরু করা যেতেই পারে এই সব ব্যবসা।
কীভাবে স্টার্ট-আপ ব্যবসার আইডিয়ার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে?
ভবিষ্যতে যে স্টার্ট-আপ ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, কিন্তু ঠিক করে উঠতে না-পারলেও সমস্যা নেই। আমাদের হাতেই রয়েছে তার সমাধান। একটা ব্যবসা শুরু করার আগে সেই ক্ষেত্রে দক্ষতা রাখার প্রয়োজন রয়েছে। সেই দুর্দান্ত দক্ষতার জোরেই নতুন ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে যাঁদের দারুন জ্ঞান রয়েছে, তাঁদেরই ডিজিটাল মার্কেটিং ফার্মের ব্যবসা শুরু করা উচিত। এই ফার্মের মাধ্যমে অন্যান্য গ্রাহকদের মার্কেটিং পরিষেবা প্রদান করা যেতে পারে। আর সেই পরিষেবা দিয়েই ভাল রোজগার করা যায়।
advertisement
advertisement
ভারতে স্টার্ট-আপ ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে কি কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়?
আমাদের দেশে দুর্দান্ত কিছু স্টার্ট-আপ ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে, যা মানুষকে সাফল্যের স্বাদ এনে দিতে পারে। তবে মাথায় রাখতে হবে যে, স্টার্ট-আপ ব্যবসার আইডিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসে একাধিক চ্যালেঞ্জও। তবে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য কিছু নির্দিষ্ট টিপস এবং কৌশল রয়েছে। আসলে সৃজনশীল ভাবনা এবং অনন্য আইডিয়াই সাফল্য বয়ে আনতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ে মানুষের চাহিদা বুঝে সঠিক পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সফল ব্যবসায়ী হওয়া যেতে পারে। আর টাকা-পয়সা বা মূলধনের পাশাপাশি ব্যবসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়। চলতি বছরে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে দূরদৃষ্টি রাখা বাঞ্ছনীয়। দ্রুত বিকাশ হচ্ছে, বাজারে থাকা এমন আইডিয়ার উপর নজর দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, যে ট্রেন্ড নিম্নগামী, সে-দিকটাও দেখতে হবে।
advertisement
ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় কী কী?
ব্যবসা শুরু করার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল টাকা-পয়সা বা ফান্ডিং। এই বিষয়টা কিন্তু মাথা থেকে বেরিয়ে গেলে চলবে না। কত টাকা প্রয়োজন অথবা লোন নিতে হবে, সেটাই প্রথমে বিবেচনা করতে হবে। আর এর পরেই সঠিক ব্যবসার পরিকল্পনা ছকে ফেলতে হবে। তাই ব্যবসা শুরু করার আগে দুটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
advertisement
ব্যবসায়িক তহবিল:
ব্যবসা শুরু করার আগে পর্যাপ্ত টাকা-পয়সার ব্যবস্থা করতে হবে। আজকাল ব্যবসা শুরু করার জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক এবং কো-অপারেটিভ সোসাইটি ঋণ প্রদান করে থাকে। খুবই কম পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে, ক্ষুদ্র মানের ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। প্রথমেই ফান্ডিংয়ের বিষয়টার ব্যবস্থা করে নিতে হবে। আর সব থেকে বড় বিষয় হল, কোথায় কত বিনিয়োগ করতে হবে, সেটা বুঝতে পারাটা অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
ব্যবসায়িক পরিকল্পনা:
এটা মাথায় রাখতে হবে যে, পরিকল্পনাই হল সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। সঠিক ভাবে পরিকল্পনা ছকে সেই অনুযায়ী কাজকর্ম করলে সাফল্য আসবেই। ২০২৩ সালে নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে সঠিক ব্যবসায়িক কৌশল তৈরি করে নিতে হবে। আর সেই সঙ্গে সম্ভাব্য গ্রাহকদের বিষয়েও জানতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সম্ভাব্য গ্রাহকদের ডেটাবেস সংগ্রহ করতে হবে। আর এই পরিকল্পনা বাজারে এমন ভাবে আনতে হবে, যাতে গ্রাহকরা তার প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন। এ-ছাড়া বাজারে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কেও অবগত হওয়া জরুরি। তার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র মার্কেটের উপর নজর রাখতে হবে।
advertisement
ভারতে স্টার্ট-আপ করার জন্য সেরা ব্যবসা কী?
ভারতে শুরু করার জন্য অনেক ধরনের স্টার্ট-আপ ব্যবসার সুযোগ এবং বিকল্প রয়েছে। যেমন - খাবার সম্পর্কিত ব্যবসা, ডিজিটাল মার্কেটিং, মাশরুম ফার্মিং, টিউশন, টেলরিংয়ের মতো ব্যবসা খুব সহজেই শুরু করা যেতে পারে। আর সব থেকে বড় কথা হল, এই ব্যবসা খুব কম মূলধনের বিনিময়ে দেশের যে কোনও প্রান্তেই শুরু করা যাবে।
advertisement
ভারতে কেমন স্টার্ট-আপ ব্যবসায় সবথেকে বেশি লাভের মুখ দেখা যাবে?
খাবার সংক্রান্ত ব্যবসা, প্ল্যান্টেশন অথবা নার্সারি ব্যবসা এবং জনসাধারণকে পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবসা সব থেকে বেশি লাভজনক হয়ে থাকে। আসলে সেরা লাভ এনে দেবে এমন ব্যবসার মধ্যে অন্যতম টিফিন সেন্টার, আচার তৈরির ব্যবসা, নার্সারি, অর্গানিক শাকসবজি চা, মাশরুম চাষ, টেলরিং এবং জ্যুস সেন্টার ইত্যাদি। কারণ এই ব্যবসাগুলো ছোট মূলধনের বিনিময়েও শুরু করা যেতে পারে। আর লাভও বেশ ভালই আসবে।
এক লক্ষ টাকা দিয়ে কোন ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে?
এক লক্ষ টাকা দিয়ে আমরা অনেক ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মাশরুম ফার্মিং, টিফিন সেন্টার, ট্রাভেল এজেন্সি, জ্যুস সেন্টার, নার্সারি, চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, ক্লাউড কিচেন, প্লেসমেন্ট কনসালটেন্সি ফার্ম প্রভৃতি।
আমাদের দেশে সেরা ৫ লাভজনক ব্যবসা কী?
ভারতের সেরা পাঁচটি লাভজনক ব্যবসা হল - খাদ্য সংক্রান্ত ব্যবসা, ডিজিটাল মার্কেটিং, মাশরুম ফার্মিং, এডটেক এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসা।আসলে এই ধরনের ব্যবসা থেকে ভাল পরিমাণ রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। রিয়েল এস্টেট এমন এক ব্যবসা, যা দুর্দান্ত লাভের মুখ দেখাতে পারে। নিজের দক্ষতার জোরে এক জন রিয়েল এস্টেট এজেন্ট বেশ ভাল পরিমাণে কমিশন আয় করতে পারেন। দেখে নেওয়া যাক, ভারতে করার মতো কিছু স্টার্ট-আপ ব্যবসার আইডিয়া।
ভারতে ট্রেন্ডিং কিছু স্টার্ট-আপ ব্যবসার আইডিয়া:
কন্টেন্ট রাইটার এবং ব্লগিং:
আমাদের দেশে দারুন স্টার্ট-আপ ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে অন্যতম হল ব্লগিং। যাঁদের পড়া এবং লেখার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত দক্ষতা রয়েছে, ব্লগিং তাঁদের জন্য সব থেকে ভাল বিকল্প। ব্লগিং কিন্তু আজকাল ব্যবসার দারুন বিকল্প। দেশ এমনকী বিদেশেও এটা দুর্দান্ত লাভের মুখ দেখাতে পারে। আর সব থেকে বড় কথা হল, ব্লগিংয়ের মতো ব্যবসা শুরু করতে হলে বিনিয়োগও করতে হয় না। গ্রাহকদের চাহিদা এবং সন্তুষ্টির উপর শুধু নজর রাখতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং:
ভারতের দুর্দান্ত স্টার্ট-আপ ব্যবসার মধ্যে অন্যতম হল ডিজিটাল মার্কেটিং। এর জন্য লাগবে শুধু ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এ-ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কোর্স করা যেতে পারে। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের দক্ষতার জোরে একটা এজেন্সি তৈরি করে গ্রাহকদের পরিষেবা প্রদান করা যেতে পারে।
টিফিন সার্ভিস:
টিফিন সার্ভিস হল ভারতের জনপ্রিয় স্টার্ট-আপ ব্যবসা। পড়ুয়া, চাকরিজীবী এবং যাঁরা বাড়ি থেকে দূরে থাকেন, তাঁরাই মূলত টিফিন সেন্টারের খোঁজ করে থাকেন। আর ভারতেও টিফিন সেন্টারের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। আর খুবই কম পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে টিফিন সেন্টার তৈরি করা যেতে পারে। আর তা থেকে ভাল লাভ করা যাবে। তবে হাইজিন এবং খাবারের মানের উপর নজর রাখা বাঞ্ছনীয়। আর রান্নাঘরেই এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
অর্গ্যানিক চাষবাস এবং ব্যবসা:
আজকাল অর্গ্যানিক খাদ্যসামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। আসলে রাসায়নিক, কীটনাশক এবং অন্যান্য সংরক্ষক ব্যবহার করার ফলে খাবার ও সবজির মান নষ্ট হয়। তাই নিজেই ফসল ফলিয়ে কিংবা কৃষকদের থেকে জিনিস কিনে তা বাজারে ভাল দামে বিক্রি করা যেতে পারে।
ঘরোয়া বেকারি:
এই ব্যবসাটা বর্তমানে ট্রেন্ডিং তালিকায় রয়েছে। বেকারির খাদ্যসামগ্রী সকলেই পছন্দ করেন। ফলে ঘরে বসেই অনলাইনে খুব কম খরচে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। অবশ্য তার আগে নিজের বেকারি স্কিল শেখা প্রয়োজন। ভাল স্বাদ, সুন্দর ডেকোরেশন এবং হাইজিনই এই ব্যবসার শেষ কথা।
সুগন্ধী মোমবাতি এবং ধূপকাঠির ব্যবসা:
ভারতে সুগন্ধী মোমবাতি এবং ধূপকাঠির ব্যবসাও খুবই জনপ্রিয়। কারণ ঘরে ঘরে এর চাহিদা রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন সুগন্ধী তেল, যা বাজারে সহজলভ্য। তবে এই ব্যবসার জন্য কিছু মেশিনের প্রয়োজন হতে পারে, ফলে তা ইনস্টল করাতে হবে। মোট কথা, ছোটখাটো টাকা ঢেলেই বড় লাভ করা সম্ভব।
হ্যান্ডিক্র্যাফ্টস:
হাতের কাজের কদর রয়েছে। কম পরিমাণ টাকা খরচ করে এই ব্যবসা করা যেতে পারে। হাতে গড়া জিনিসপত্র বাজারে বিকোয়ও খুব বেশি দামে। কেউ যদি হাতের কাজ জানেন, তাহলে তিনি এই ব্যবসা করতে পারেন। কিংবা যাঁরা হ্যান্ডিক্র্যাফ্টস করেন, তাঁদের থেকে জিনিস কিনে বাজারে বিক্রি করতে পারেন।
ক্লাউড কিচেন:
এই ব্যবসা ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর আগামী বছরে এতে উর্ধ্বগতিও দেখা যাবে। এই ব্যবসা অনলাইনেই করতে হয়। এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট জায়গা, রেস্তোরাঁ কিংবা দোকানের প্রয়োজন হয় না। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রথমে মেন্যু তৈরি করতে হয়, তার পর তা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। এতে সময় ও টাকা তো বাঁচেই, তার সঙ্গে হাতে আসে ব্যাপক লাভ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
২০২৩-এ নতুন করে শুরু করা যেতে পারে এই সব ব্যবসা! কম বিনিয়োগেই হয়ে যেতে পারেন মালামাল!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement