#নয়াদিল্লি: জিরে হল এমন এক মশলা যা আমাদের সকলেরই রান্নাঘরে সবসময় থাকে। ভারতে এই জিরের চাহিদা এত বেশি যে এই ফসল চাষ করে ব্যবসা করে ভালো মুনাফা আয় করা যায়। জিরের মোট চারটি ধরন হয় - RZ-19, RZ-209, GC-4, RZ-223। বছরের বিভিন্ন সময় মরশুম অনুযায়ী এই চার প্রকারের জিরের চাষ করা হয়।
আরও পড়ুন: আরও বাড়তে পারে সোনার চাহিদা, দামে কেমন প্রভাব পড়বে? জেনে নিন!
জিরে চাষ কীভাবে করা হয়?
জিরে চাষের উপযুক্ত সময় হল নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি। জিরে চাষের জন্য দেশি লাঙল দিয়ে ভালোভাবে হাল দিয়ে মাটিকে নরম করতে হয়। এরপর মাটিকে সমতল করতে হয়। জমিতে ৫ থেকে ৮ ফুট সমান মাপের আলাদা আলাদা ভাগ তৈরি করতে হয় যা বীজ বপন ও সেচের কাজে ব্যবহৃত হবে। এরপর বিঘা প্রতি ২ কেজি বীজের সঙ্গে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বপন শুরু করতে হবে। প্রত্যেকটি সারির মধ্যে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক। বীজ বপনের জন্য একটি বীজ ড্রিল ব্যবহার করা যায়। বীজ বপনের ২-৩ সপ্তাহ আগে মাটিতে গোবর মিশিয়ে দিলে ফসলের উন্নতি হবে। বীজ বপনের পর হালকা সেচের প্রয়োজন হয়। একবার সেচ করার ৮-১০ দিন পর আবার সেচ করতে হয়। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী ২০ দিনের ব্যবধানে সেচ দিতে হয়। বীজ অঙ্কুরিত না হওয়া পর্যন্ত ২০ দিনের ব্যবধানে সেচের প্রয়োজন। বীজ এবং গাছ বাদামি হয়ে গেলে ফসল সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণত মেশিন থেকে আলাদা করার পর ধুয়ে শুকিয়ে ফসল সংরক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ১ মাসে পাওয়া যেতে পারে ভালো রিটার্ন, দেখে নিন এক ঝলকে!
জিরে চাষে কত আয় হয়?
প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ৭-৮ কুইন্টাল জিরে উৎপন্ন হয়। প্রতি হেক্টরে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। জিরের বাজারমূল্য প্রতি কেজি প্রতি ১০০ টাকা। হিসেব করলে দেখা যাবে প্রতি হেক্টরে ৪০-৫০ হাজার টাকা মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর! 8th Pay Commission বিষয়ে বিরাট আপডেট!
জিরের বৈশিষ্ট্য
জিরে একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এতে রয়েছে আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ। এছাড়া, জিরেয় অনেক ধরনের ভিটামিনও পাওয়া যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cumin Farming, New Business Idea