#কলকাতা: নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য সকলেই তাদের আয়ের কিছুটা সঞ্চয় করে রাখে। অনেকে আবার সেই সেভিংস বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে বেশি রিটার্ন পাওয়ার আশায়। কিন্তু বর্তমানে বেশি রিটার্নের আশায় অনেকেই নানা ধরনের জালিয়াতির পাল্লায় পড়ে হারিয়েছে তাদের সমস্ত সেভিংস। তাই সুরক্ষিত ভাবে নিজেদের টাকা জমিয়ে বেশি রিটার্ন পাওয়ার জন্য সবথেকে ভালো অপশন হল পোস্ট অফিস (Post Office Scheme)।
পোস্ট অফিস নিয়ে এসেছে এক দুর্দান্ত স্কিম। এই স্কিমে কেউ যদি প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা করে পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টে জমাতে শুরু করে, তাহলে সে ১০ বছর পর প্রায় ১৬ লাখ টাকার মতো রিটার্ন পেতে পারে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পোস্ট অফিসের সেই দুর্দান্ত স্কিম।
আরও পড়ুন- Investment Tips: ১৪,৫০০ টাকা জমা করে পাওয়া যেতে পারে প্রায় ২৩ কোটি টাকা; কাজে আসুক SIP
পোস্ট অফিসের এই স্কিমের নাম হল রেকারিং ডিপোজিট (Recurring Deposit)। এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ হওয়ায় এখানে নিজেদের বিনিয়োগের টাকা হারানোর ভয়ও নেই। এই স্কিমে নিজেদের টাকা সুরক্ষিতও থাকবে এবং ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই স্কিম খুবই কম পরিমাণ টাকা দিয়েও শুরু করা যায়। এই স্কিমে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করেও বিনিয়োগ শুরু করা যায়। এছাড়া এই স্কিমে যত খুশি টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে, এর কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। পোস্ট অফিসের এই রেকারিং ডিপোজিটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা তাদের জমানো টাকার ওপরে ভালো রিটার্ন পেতে পারেন।
আরও পড়ুন- মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করুন এই ব্যবসা, প্রতি মাসে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব !
পোস্ট অফিসের এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে নুন্যতম ৫ বছরের জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। ৫ বছরের কম সময়ের জন্য পোস্ট অফিসে রেকারিং ডিপোজিটের অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব নয়। ইন্ডিয়া পোস্ট অফিসের (India Post) ওয়েবসাইট অনুযায়ী বর্তমানে এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে ৫.৮ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ কেউ যদি পোস্ট অফিসের এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা করে ১০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করে, তাহলে সে ১০ বছর পর প্রায় ১৬,২৬,৪৭৬ লাখ টাকা রিটার্ন পাবে। সুতরাং পোস্ট অফিসের এই স্কিমে একটা ভালো পরিমাণ টাকা রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পোস্ট অফিসের এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে কেউ যদি মাসিক কিস্তির টাকা জমা করতে ভুলে যায়, তাহলে তাকে জরিমানা দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি মাসের কিস্তির টাকার ওপর ১ শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হবে। কেউ যদি একটানা ৪ মাস কিস্তির টাকা দিতে ভুলে যায়, তাহলে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই বন্ধ অ্যাকাউন্ট ২ মাস পরে আবার খোলা যাবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Post Office Scheme