গাড়ির ড্যাশবোর্ডেই দুনিয়া! তবে চালকদের কাছে ইনফোটেনমেন্ট মানে ঝক্কিই বেশি, বলছে সমীক্ষা!

Last Updated:

সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে গাড়ি চালানোর সময়, কেনাকাটা, হাত ব্যবহার না করে ভিডিও গেম খেলা, অথবা বিনোদনে তেমন ঝোঁক নেই অধিকাংশ চালকেরই।

আধুনিক জীবনে খুব দ্রুত তথ্য চাই আমাদের, আরও দ্রুত চাই বিনোদন। এই একই সঙ্গে তথ্য অর্থাৎ ইনফরমেশন এবং বিনোদন অর্থাৎ এন্টারটেইনমেন্ট- দুইয়ের ওপর ভর করে গড়ে উঠেছে ইনফোটেনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি। এই ইন্ডাস্ট্রি খুব তাড়াতাড়ি ফুলে-ফেঁপে উঠছে। ২০২৬ সালের মধ্যে এর বাজার হতে চলেছে ২২০০ কোটি মার্কিন ডলারের।
যেমন, গাড়ির ড্যাশবোর্ডে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন এক সঙ্গে সব কিছু। গান শুনছেন, ইন্টারনেট পাচ্ছেন, সিটে বসে ভিডিওগেম খেলছেন, খাবার অর্ডার দিচ্ছেন। দুনিয়া একেবারে হাতের মুঠোয়। কিন্তু গাড়ি চালানোর সময় কতটা কাজে লাগে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি? বিলেতের একটি সমীক্ষা বলছে অধিকাংশ গাড়িচালকের কাছে এই প্রযুক্তি আসলে ঝামেলা। এতে মনঃসংযোগ নষ্ট হয় বলেই মনে করছেন অনেকে।
advertisement
১০ জনের মধ্যে ৬ জন চালকের তেমন আস্থা নেই ইনফোটেইনমেন্ট প্রযুক্তিতে। কেন না প্রযুক্তি যে সব সময়ে কাজ করবেই, তার মানে নেই। তাই সমীক্ষা অনুযায়ী তিনজনের মধ্যে একজন চালক বলছেন, তাঁদের গাড়িতে প্রযুক্তি ঠিক ভাবে কাজ করছে না। টাচস্ক্রিন, অ্যান্ড্রয়েড কানেক্টিভিটি, বিল্ট ইন ভয়েজ রেকগনিশন, নেভিগেশন সিস্টেম, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটিতে সমস্যা হচ্ছে। তাই তাঁরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেন না।
advertisement
advertisement
৪৯ শতাংশ চালক মনে করেন এই প্রযুক্তি গাড়ি চালানোর সময়ে মনঃসংযোগ নষ্ট করে। ৬৩ শতাংশের মত, নিয়ন্ত্রিত ভাবেই প্রযুক্তির ব্যবহার করা উচিত। কোন ফিচারটি সবচেয়ে বেশি মনঃসংযোগ নষ্ট করে? চার জনে এক জন বলছেন এআর স্যাট, তিন জনে একজন বলছেন হ্যান্ড ফ্রি গেম। ভয়েজ কন্ট্রোল্ড ড্যাশবোর্ড চাইছেন মাত্র ১৬ শতাংশ চালক।
advertisement
বিলাসবহুল গাড়ি সংস্থা মার্সিডিজ বেঞ্জ এনেছে এক স্মার্ট প্রযুক্তি। নাম 'হেই মার্সিডিজ'। চালক মুখে বললেই আদেশমাফিক কাজ করবে গাড়ি। তবে চালানোর জন্য সাবেকি বোতাম টেপাতেই এখনও অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ ব্রিটেনের অধিকাংশ গাড়ি চালক।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে গাড়ি চালানোর সময়, কেনাকাটা, হাত ব্যবহার না করে ভিডিও গেম খেলা, অথবা বিনোদনে তেমন ঝোঁক নেই অধিকাংশ চালকেরই। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই চাইছেন এমন প্রযুক্তি গাড়িতে থাকুক, যা তাঁদের ড্রাইভিংকে আরও মজবুত এবং নিরাপদ করবে। ড্রাইভারের আসন থেকে না উঠে ধোঁয়া-ওঠা কফির কাপ অথবা কারওয়াশ পাওয়ায় আগ্রহ নেই অধিকাংশেরই।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
গাড়ির ড্যাশবোর্ডেই দুনিয়া! তবে চালকদের কাছে ইনফোটেনমেন্ট মানে ঝক্কিই বেশি, বলছে সমীক্ষা!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement