Agriculture News: পাট চাষে ব্যয় বেশি,আগ্রহ হারাচ্ছেন কালচিনির কৃষকরা
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- hyperlocal
- Reported by:Annanya Dey
Last Updated:
Jute Cultivation: পাট চাষে ক্রমাগত খরচ বাড়ছে, কিন্তু লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কালচিনির বহু কৃষক পাট চাষ ছেড়ে দিচ্ছেন।
আলিপুরদুয়ার: প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি,শ্রমিকের অভাব সহ একাধিক কারনে কমছে পাট চাষের সংখ্যা। কৃষি দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী কালচিনি ব্লকে যেখানে ২০২৩ সালে মোট ২৫০ হেক্টর,সেখানে এবছর ব্লকজুড়ে পাট চাষ হয়েছে মোট ২০০ হেক্টর জমিতে। এই পাট চাষ কমার পেছনে শ্রমিকের অভাব, অত্যাধিক পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহারকে অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করছেন কৃষকদের পাশাপাশি, কৃষি দফতরও।
জঙ্গল ও চা বাগান ঘেরা কালচিনি ব্লক কৃষিপ্রবন না হলেও, এই ব্লকের মেন্দাবাড়ি, দক্ষিণ ও উত্তর লতাবাড়ি, সাতালি সহ একাধিক এলাকায় হয়ে থাকে পাঠ চাষ।মূলত এইসব এলাকায় হাতির ও বন্যপ্রাণীর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকের ফসল, তবে এই পাট হাতির মুখে রোচে না এবং হাতি তা নষ্ট করে না বলেও দাবি কৃষি দফতরের। তবুও দিন দিন এই চাষের সংখ্যা বাড়ার বদলে কমছে।
advertisement
advertisement
কৃষকদের কথায় কথায়, চাষ কমার অনেক কারণ রয়েছে। পাটের তৈরি ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রীর দাম প্লাস্টিকের তৈরি সামগ্রীর তুলনায় খানিকটা বেশি। ফলে পাটের বদলে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসকেই প্রাধান্য দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া এই চাষে রোপণ, রক্ষণাবেক্ষণ, পরে জলাশয়ে ভিজিয়ে রেখে তা পচানো অনেকটাই পরিশ্রম রয়েছে, সেই কারণে অনেকেই এই চাষ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন এবং এই কারনেই কৃষকদের সাহায্যের জন্য শ্রমিকও মিলছে না।এছাড়া, বর্তমানে পাট ভিজিয়ে রাখার জন্য জলাশয়েও অভাব রয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।
advertisement
যদিও, কৃষকদের এই চাষে উৎসাহিত করতে চারা প্রদান ,প্রশিক্ষণ দেওয়া সহ লাগাতার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে কৃষি দফতরও। এছাড়া বর্তমানে প্লাস্টিক বর্জনে সাধারণ মানুষ আরও বেশি সচেতন হলে পাটের তৈরি সামগ্রীর চাহিদা বাড়বে বলেও আশাবাদী তারা।এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা রজত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পাট পরিবেশ বান্ধব ফসল।এই চাষকে বাঁচিয়ে রাখতে লাগাতার একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছি আমরা।”
advertisement
Annanya Dey
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 01, 2025 8:07 PM IST