Investment Tips: অবসরে ১ লাখ টাকা মাসিক আয় চান? ২৫, ৩৫ বা ৪৫ বছর বয়স হলে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে ?

Last Updated:

Investment Tips: যদি কেউ ২৫, ৩৫ বা ৪৫ বছর বয়সে বিনিয়োগ করা শুরু করেন, তবে অবসর গ্রহণের সময় ১ লাখ টাকার মাসিক আয় পেতে, তাঁদের মাসিক এসআইপি-তে বিনিয়োগ করা উচিত।

News18
News18
অবসর আর্থিক ক্ষেত্রের দিক দিয়ে যে কোনও ব্যক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবসর পরিকল্পনার প্রয়োজন। কিন্তু, যিনি অবসরের পরিকল্পনা তাড়াতাড়ি শুরু করেন, তিনি সবসময়ই আর্থিক দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেন। এর কারণ হল অতিরিক্ত সময় ধরে কম্পাউন্ডিং তাঁর আয়ের পথ তৈরি করতে পারে। যা অবসরের কর্পাস তৈরি করতে সাহায্য করে।
একইভাবে, কেউ যদি অবসর গ্রহণের সময় ১ লাখ টাকা মাসিক আয় পাওয়ার লক্ষ্য রাখেন, তবে তাঁকে তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। যদি কেউ ২৫, ৩৫ বা ৪৫ বছর বয়সে বিনিয়োগ করা শুরু করেন, তবে অবসর গ্রহণের সময় ১ লাখ টাকার মাসিক আয় পেতে, তাঁদের মাসিক এসআইপি-তে বিনিয়োগ করা উচিত। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে সমস্ত খুঁটিনাটি।
advertisement
কেন অবসর পরিকল্পনা প্রয়োজন –
advertisement
কেউ যখন বৃদ্ধ হবেন, তাঁর খরচ কমার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু, তার পরেও নিয়মিত আয়ের প্রবাহ প্রয়োজন। এটি প্যাসিভ ইনকাম হওয়া উচিত, কারণ সেই বয়সে তাঁর কাছে কোনও সক্রিয় আয়ের পথ নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সেই আয় একটি অবসর কর্পাসের মাধ্যমে আসতে পারে। কর্পাস শুধুমাত্র তখনই তৈরি করা যেতে পারে, যখন অবসরের লক্ষ্য-ভিত্তিক পরিকল্পনা থাকে এবং তা মেনে চলা হয়।
advertisement
অবসর কর্পাস কেমন হওয়া উচিত –
এটি বর্তমান জীবনধারা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হওয়া উচিত। কেউ কি একই জীবনধারা বজায় রাখতে চান বা অবসরে তা আপগ্রেড করতে চান? অবসর গ্রহণের জন্য বিনিয়োগ শুরু করার আগে, নিজেদের এই প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করা উচিত।
advertisement
অবসর পরিকল্পনায় মূল্যস্ফীতি কেন একটি ফ্যাক্টর –
ধরা যাক আজ কারও মাসিক খরচ ৪০,০০০ টাকা। যদি কারও জীবনধারা আজকের মতোই হয়, তবে নিশ্চিতভাবে আরও অর্থের প্রয়োজন হবে। অবসর গ্রহণের জন্য ভারতে মূল্যস্ফীতির হার ৫ বা ৬ শতাংশ গণনা করা যেতে পারে।
অবসর গ্রহণের জন্য বিনিয়োগ শুরু করার সঠিক বয়স কত –
advertisement
এর কোনও আদর্শ বয়স নেই। যত তাড়াতাড়ি কেউ উপার্জন শুরু করেন, তিনি তাঁর অবসর পরিকল্পনা শুরু করতে পারেন। মাসিক সঞ্চয় খুব একটা না হলেও, যে কেউ তাঁর বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে আয় বৃদ্ধির সঙ্গে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
দেরিতে শুরু হওয়া অবসর পরিকল্পনাকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে –
advertisement
ধরা যাক A এবং B প্রত্যেকের অবসর কর্পাসের লক্ষ্য ৫ কোটি টাকা। A-র ৩০ বছরের বিনিয়োগের সময় রয়েছে, যেখানে B-এর ২০ বছরের সময় রয়েছে। উভয়ই তাদের বিনিয়োগে ১২ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পাওয়ার আশা করছে।
– A ১৪,২০০ টাকার আনুমানিক মাসিক SIP বিনিয়োগের সঙ্গে ৫ কোটি টাকার কর্পাস লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
advertisement
– একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য B-এর আনুমানিক ৫০,০৪৫ টাকার মাসিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। ১০ বছরের অতিরিক্ত চক্রবৃদ্ধি A-র কাজকে সহজ করে তুলছে।
অবসর পরিকল্পনার উদাহরণ –
A একজন দৈনিক মজুরি কর্মী। প্রতি মাসে তাদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়, তারা মাসে ৩০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারে। B-এর একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি আছে এবং SIP-এর মাধ্যমে সহজেই মাসে ৩০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারে৷ A ৪০ বছরের জন্য এই পরিমাণ বিনিয়োগ করতে পারে, এবং B এটি ২০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে চায়।
– ৪০ বছরে, A ১৪,৪০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবে এবং তার আনুমানিক কর্পাস হবে ৩,৫৬,৪৭,২৬১ টাকা।
– ২০ বছরে, B ৭২,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবে, কিন্তু তার আনুমানিক কর্পাস হবে ২,৯৯,৭৪,৪৩৮ টাকা।
– B-এর বিনিয়োগের পরিমাণের ১/৫ ভাগে, A প্রায় ৫৭ লাখ টাকার বেশি কর্পাস তৈরি করতে পারে।
অবসর গ্রহণের জন্য বিনিয়োগের উপায় –
ফিক্সড ডিপোজিট, সরকারি বন্ড বা বাজার-সংযুক্ত বিকল্প যেমন ইক্যুইটি এবং ইক্যুইটি-সম্পর্কিত উপকরণগুলিতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
কীভাবে অবসরে মাসিক ১ লাখ টাকা পাওয়া যাবে –
এখানে, আমরা ২৫, ৩৫ এবং ৪৫ বছর বয়স ধরছি এবং প্রত্যাশিত বার্ষিক রিটার্ন ১২ শতাংশ। ৩টি ক্ষেত্রেই অবসরের বয়স ৬০ বছর এবং অবসর গ্রহণের পর প্রত্যাশিত রিটার্ন হল ৬ শতাংশ৷
কেউ যদি ২৫ বছর বয়সে শুরু করেন, তবে অবসরে মাসিক ১ লাখ টাকা কীভাবে পাবেন –
৩টি ক্ষেত্রে, অবসর গ্রহণের সময় ১ লাখ টাকা পেনশন পাওয়ার প্রত্যাশিত কর্পাস হবে ২ কোটি টাকা। সুতরাং ৩টি ক্ষেত্রেই অবসর গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা হবে ২ কোটি টাকা। যদি কেউ ২৫ বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করেন, তাহলে তাঁদের মাসিক এসআইপি বিনিয়োগ ৩,৬৪৩ টাকা হওয়া উচিত।
কেউ যদি ৩৫ বছর বয়সে শুরু করেন, তবে অবসরে মাসিক ১ লাখ টাকা কীভাবে পাবেন –
যদি কেউ ৩৫ বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করেন, তাহলে তাঁর মাসিক এসআইপি বিনিয়োগ ১১,৭৬৬ টাকা হওয়া উচিত।
কেউ যদি ৪৫ বছর বয়সে শুরু করেন, তবে অবসরে মাসিক ১ লাখ টাকা কীভাবে পাবেন –
যদি কেউ ৪৫ বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করেন, তাহলে তাঁর মাসিক এসআইপি বিনিয়োগ ৪২,৬১০ টাকা হওয়া উচিত।
রইল হিসাব-
– ২৫ বছর বয়সে মসিক বিনিয়োগ ৩,৬৪৩ টাকা, বার্ষিক রিটার্ন ১২% হলে রিটার্ন কর্পাসের আনুমানিক হার ২ কোটি টাকা এবং মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন হিসাবে পাওয়া যাবে।
– ৩৫ বছর বয়সে মসিক বিনিয়োগ ১১,৬৪৩ টাকা, বার্ষিক রিটার্ন ১২% হলে, রিটার্ন কর্পাসের আনুমানিক হার ২ কোটি টাকা এবং মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন হিসাবে পাওয়া যাবে।
– ৪৫ বছর বয়সে মসিক বিনিয়োগ ৪২,৬১০ টাকা, বার্ষিক রিটার্ন ১২% হলে রিটার্ন কর্পাসের আনুমানিক হার ২ কোটি টাকা এবং মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন হিসাবে পাওয়া যাবে।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Investment Tips: অবসরে ১ লাখ টাকা মাসিক আয় চান? ২৫, ৩৫ বা ৪৫ বছর বয়স হলে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে ?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement