#নয়াদিল্লি: ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) ২০২২-এর বাজেট অধিবেশনে ঘোষণা করেছেন যে ভারতে চালু করা হবে ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency)। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) অধীনে থাকবে এই ডিজিটাল কারেন্সি। ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrency) পরিবর্তে চালু করা হবে এই ডিজিটাল কারেন্সি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দুটির মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে (Digital Currency Vs Cryptocurrency)।
ডিজিটাল কারেন্সি -
এটি হল কারেন্সির একটি ডিজিটাল ফরম্যাট। এটিকে ক্যারি করা যাবে ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে এবং এটিএম থেকে তোলাও যাবে। এর অথরিটি হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এটি ভারতের কারেন্সির সঙ্গে পরিবর্তনও করা যাবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি -
অন্য দিকে, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা যাবে শুধুমাত্র অনলাইনে। কোনও ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে এটি ব্যাবহার করা যাবে না এবং এটিএম থেকেও তোলা যাবে না। এর কোনও ধরনের লিগাল শাখাও নেই। এটি পুরোপুরি ভার্চুয়াল হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ডিজিটাল কারেন্সি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে প্রধান ৫ পার্থক্য -
১) সেন্ট্রালাইজেশন (Centralisation) -
এদের মধ্যে সবথেকে বড় পার্থক্য হল ডিজিটাল কারেন্সি কন্ট্রোল করে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সিকে সেভাবে কেউ কন্ট্রোল করে না। এর ফলে ডিজিটাল কারেন্সির ট্র্যাক করা সম্ভব হলেও ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়।
২) এনক্রিপশন (Encryption) -
ডিজিটাল কারেন্সির ক্ষেত্রে সেভাবে এনক্রিপশনের প্রয়োজন না হলেও, ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে এই এনক্রিপশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে জড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্লকচেন। এর ফলে এটিকে এনক্রিপশন করা প্রয়োজন।
৩) ট্রান্সপারেন্সি (Transparency) -
ডিজিটাল কারেন্সির ক্ষেত্রে শুধু ব্যাঙ্ক ও গ্রাহকের মধ্যে ট্রান্সপারেন্সি বজায় থাকে। কারণ এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ও সেই গ্রাহকের মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। অন্য দিকে, ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে ট্রান্সপারেন্সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর প্রধান কারণ হল পুরো বিষয়টি অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে। এর ফলে তাদের সঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি বজায় রাখা প্রয়োজন।
৪) স্টেবিলিটি (Stability)-
ডিজিটাল কারেন্সি ক্রিপ্টোকারেন্সির থেকে বেশি স্টেবল। কারণ ডিজিটাল কারেন্সি একটি কন্ট্রোলে রয়েছে। অন্য দিকে, ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে কোনও কন্ট্রোল নেই বলে এর স্টেবিলিটি খুবই কম।
৫) লিগালিটি (Legality)-
ভারতের মতো অনেক দেশেই এখন ক্রিপ্টোকারেন্সিকে লিগাল করার প্রচেষ্টা চলছে। বিশ্বের অনেক দেশে আবার আগে থেকেই সেটিকে লিগাল করা হয়েছে। অন্য দিকে, ডিজিটাল কারেন্সি পুরোপুরি লিগাল। কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এটি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cryptocurrency, Digital Currency