Business Idea: ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ কী কাজে লাগে জানেন? জানলে আপনার পকেটে উপচে পড়বে টাকা!

Last Updated:

Business Idea: মাছের আঁশ দিয়েই যে ব্যবসার নতুন পথ খুলে যেতে পারে তাই সত্যি করে দেখালেন বালুরঘাটের মৎস্যজীবীরা।

+
মাছের

মাছের আঁশ পাড়ি দিচ্ছে বিদেশের মাটিতে!

দক্ষিণ দিনাজপুর : ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলে পাইতে পার অমূল্য রতন।’ এবার হাতে গরম প্রমাণ মাছের আঁশ। মাছ বাজারে ঢুকলে হামেশাই দেখা যায় মাছের আঁশের অবহেলিত রূপ। কোথাও নর্দমার জলে ভেসে যাচ্ছে, তো কোথাও ডোবায় পচে যাচ্ছে এই ‘অমূল্য রতন’। কিন্তু সেই মাছের আঁশ দিয়েই যে ব্যবসার নতুন পথ খুলে যেতে পারে তা সত্যি করে দেখালেন বালুরঘাটের মৎস্যজীবীরা। উদ্যোগপতিদের কাছে হয়তো তারাই এখন ‘এন্টারপ্রেনার’। তাইতো কলকাতা থেকে উদ্যোগপতিরা এসে বালুরঘাটের আত্রেয়ী পাড়ের মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে কুইন্টাল কুইন্টাল মাছের আঁশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যা একাধিক প্রক্রিয়া পার করে বিভিন্ন কাজের জন্য দেশের বাইরে রফতানি করা হচ্ছে।
মূলত, ফুড সাপ্লিমেন্ট থেকে নেল পেইন্ট, এমনকি রকমারি চুমকি তৈরির ক্ষেত্রে কাঁচামাল হিসেবে কাজে লাগছে মাছের আঁশ। বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর মাছের আঁশ বিক্রি করেই আয়ের পথ খুঁজে পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। নদীর পাশে দেখা যাচ্ছে তাঁরা মূলত রুই ও কাতল মাছের আঁশ শুকোতে দিচ্ছেন। সারাদিন শুকানোর পরে তাঁরা এক জায়গায় করে বিকেল নাগাদ তুলে নিচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুয়ো ব্যাঙ্কের চাকরির আবেদন সাড়া দিয়ে বিপদ! মাইনের বদেল খোয়া গেল ব্যাঙ্কে জমানো টাকা
তারপরে প্রায় ১০ কুইন্টাল শুকনো আঁশ জমা হলে কলকাতা থেকে উদ্যোগপতিরা এসে তা সংগ্রহ করছেন। ট্রাক করে মাছের আঁশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতায়। যেখানে প্রক্রিয়াকরণ করে গুঁড়ো করা হয় আঁশগুলোকে। তারপর পালিশ করা হয় অথবা বিভিন্ন পাউডার লাগিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। শেষে জাহাজ করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদেশে। সেখান থেকেই ক্রমশ তৈরি হয় ফুড সাপ্লিমেন্ট, নেইল পেইন্ট, চুমকি সহ আরও কত কি!
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: জয় করেছেন ক্যান্সার, রোজগারের পথ দেখাচ্ছেন অন্যদের! এই মহিলা তো মহিলা নন, যেন সাক্ষাৎ…
আত্রেয়ী নদীর মাছের স্বাদ নামকরা। নদীর বড় মাছের আঁশও মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থানের হদিস দিচ্ছে। ছোট বড় বিভিন্ন আকারের মাছের আঁশ আলাদা আলাদা করে শুকিয়ে তারপরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিকোচ্ছে আঁশ। প্রথমে একজন এই কাজ শুরু করলেও এখন সেই সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি কুইন্টাল আঁশের দাম চার হাজার টাকা। কখনও দাম বেড়েও যায়। এভাবেই মৎস্যজীবীরা খুঁজে নিচ্ছে আয়ের নতুন দিশা। এর ফলে মাছ বাজারও থাকছে পরিষ্কার। কিছুই যে ফেলনা নয়, তা প্রমাণ করছে বালুরঘাটের ধীবর গোষ্ঠী।
advertisement
সুস্মিতা গোস্বামী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Business Idea: ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ কী কাজে লাগে জানেন? জানলে আপনার পকেটে উপচে পড়বে টাকা!
Next Article
advertisement
সকালে মা দরজা খুলতেই...বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
  • সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ

  • দেগঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনাচ্ছে রহস‍্য।

  • পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মদ্যপানের আসরেই খুন করা হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement