হোম /খবর /ব্যবসা-বাণিজ্য /
নতুন কর কাঠামো বেছে নিয়েছেন? কীভাবে আরও ট্যাক্স বাঁচাবেন দেখে নিন!

নতুন কর কাঠামো বেছে নিয়েছেন? কীভাবে আরও ট্যাক্স বাঁচাবেন দেখে নিন!

নতুন কর কাঠামোর লক্ষ্য হল, করদাতাদের ডিডাকশনের বদলে কম ট্যাক্স স্ল্যাবে নিয়ে আসা।

  • Share this:

কলকাতা: ২০২৩-এর বাজেটে নতুন কর কাঠামো চালু করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তবে পুরনো কর ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়নি। আয়করদাতা নিজের পছন্দ মতো কর কাঠামো বেছে নিতে পারেন। নতুন কর কাঠামোয় করছাড়ের সীমা এবং ট্যাক্স স্ল্যাব বাড়ানো হয়েছে। আবার পুরনো কর কাঠামোয় বেশ কিছু ছাড় পাওয়া যায়, যা নতুন কর কাঠামোয় নেই। কিন্তু নতুন কর কাঠামোয় উল্লেখযোগ্য সংস্কার করেছে কেন্দ্র সরকার। ফলে আয়করদাতাদের মধ্যে এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

নতুন আয়কর ব্যবস্থার সুবিধা: নতুন না কি পুরনো কর কাঠামো, আয়করদাতাদের জন্যে কোনটা ভাল? এর উত্তরে নতুন কর কাঠামোর পক্ষেই রায় দিচ্ছেন ট্যাক্স ২ উইন-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অভিষেক সোনি। তাঁর মতে, বাজেটে নতুন কর কাঠামোয় অনেকগুলি আপগ্রেড করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্ধিত মৌলিক ছাড়ের সীমা, ৫০ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন এবং রিবেটের সীমা বাড়ানো অন্যতম।

আরও পড়ুন: ৩৫ ডিগ্রি গরমে আপেল চাষ করেই মালামাল, প্রথম বছর থেকেই আয় ৩ লাখ!

করদাতারা গ্রস স্যালারি থেকে ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাবেন। এছাড়া নতুন কর কাঠামো বেছে নেওয়া পেনশনভোগীরা পেনশন থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর ১৫ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন। অভিষেক সোনির কথায়, ‘ধারা ৮৭এ-এর আওতায় নতুন কর কাঠামোয় রিবেট ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। আয় ৭ লাখের বেশি না হলে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিবেট সুবিধা পাওয়া যাবে। সোজা কথায়, বার্ষিক আয় ৭.৫ লক্ষ টাকা বা তার কম হলে কোনও কর দিতে হবে না। কারণ তাঁরা মোট আয়ের উপর ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন।

নতুন কর কাঠামোয় ডিডাকশন: নতুন কর কাঠামোয় কি ট্যাক্স বাঁচানোর কোনও উপায় আছে? নতুন কর কাঠামোর লক্ষ্য হল, করদাতাদের ডিডাকশনের বদলে কম ট্যাক্স স্ল্যাবে নিয়ে আসা। তবে এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে করদাতারা অতিরিক্ত কর সুবিধা দাবি করতে পারেন। অভিষেক সোনি বলেন, ‘নতুন কর ব্যবস্থায় আয়কর আইনের ধারা ২৪ (বি)-র আওতায় ভাড়া দেওয়া সম্পত্তির জন্য নেওয়া হাউজিং লোনের উপর প্রদত্ত সুদের জন্য করদাতারা ডিডাকশন দাবি করতে পারেন।

এছাড়া করদাতারা আয়কর আইনের ধারা ৮০সিসিডি (২)-এর অধীনে জাতীয় পেনশন সিস্টেম অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তার অবদানের সুবিধাও দাবি করতে পারেন। এখানেই শেষ নয়, স্বেচ্ছা অবসর, গ্র্যাচুইটি এবং লিভ এনক্যাশমেন্টের ক্ষেত্রেও ছাড়ের সুবিধা রয়েছে।

Published by:Dolon Chattopadhyay
First published:

Tags: Income Tax, Tax Savings