উত্তর ২৪ পরগনা: পলি মালচিং পদ্ধতিতে শশা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। এদেশে শসার ব্যাপক চাহিদা আছে। পাশাপাশি বাজারে শশার দামও যথেষ্ট। ফলে শশা চাষ লাভজনক হিসেবেই গণ্য হয়। তবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চাষের ধরনও পাল্টাচ্ছে। মূলত চিন ও জাপানের বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির নাম হচ্ছে পলি মালচিং।
শশা চাষের উত্তম সময় হল ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস। এসময় শশার বীজ রোপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কিন্তু চিরাচরিত প্রথা মেনে শশা চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না কৃষকরা। পলি মালচিং পদ্ধতি সম্পর্কেও তাঁরা খুব একটা ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তাই কৃষি দফতর এই পদ্ধতিতে চাষের পরামর্শ দিলেও প্রথম দিকে খুব একটা কিছু হয়নি। যদিও পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই পদ্ধতিতে চাষ করে বিপুল লাভের মুখ দেখেছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: গিলারছাট পঞ্চায়েতে কেমন কাজ হল? পঞ্চায়েত ভোটের আগে দেখুন ভিডিও
মাটির উপর হালকা পলিথিন দিয়ে গাছপালার গোড়া, সবজি ক্ষেত ঢেকে দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করাকে বলা হয় পলি মালচিং পদ্ধতি। পলি মালচিং পদ্ধতিতে শশা চাষ করে কৃষকদের লাভের দিশা দেখাচ্ছে বসিরহাট-২ ব্লক কৃষি দফতর। বসিরহাটের জগতপুরে পলি মালচিং পদ্ধতিতে শশা চাষ করা হচ্ছে।
পলি মালচিং পদ্ধতিতে চাষের ফলে আগাছা নাশের জন্য নিড়ানির খরচ থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে। পুরনো পদ্ধতির চাষে এর জন্য অনেকটাই টাকা খরচ হয়ে যেত। তাছাড়া এই নতুন পদ্ধতিতে মাটিতে জল-সংরক্ষণ হওয়ায় সেচের খরচ কম হয়। রোগ-পোকার উপদ্রবও কম থাকে। পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করলে সাধারন চাষের থেকে লাভ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। উত্তর ২৪ পরগনা'র বসিরহাটের জগতপুরের এক কৃষক জানান, অন্যান্য সময় আমরা সাধারণভাবে চাষবাস করতাম। কিন্তু কৃষি দফতরের সাহায্যে এই পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে খরচ কম ও ফলন ভালো হচ্ছে। বসিরহাট-২ ব্লকের সহকৃষি অধিকর্তা রাজু মণ্ডল বলেন, আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে বসিরহাট-২ ব্লকের চাষিদের বিভিন্নভাবে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন পদ্ধতিতে চাষে সাহায্য করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন চাষিরা।
জুলফিকার মোল্লা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Agriculture, Basirhat, Cucumber, Farmer