হোম /খবর /বীরভূম /
১৯০২ সাল থেকে ঢং ঢং শব্দে ঘুম ভাঙত সিউড়ির, দীর্ঘদিন অকেজো সেই ঐতিহাসিক ঘড়ি!

Siuri Century Old Clock News: ১৯০২ সাল থেকে ঢং ঢং শব্দে ঘুম ভাঙত সিউড়ির, দীর্ঘদিন অকেজো সেই ঐতিহাসিক ঘড়ি!

X
দীর্ঘদিন [object Object]

Siuri Century Old Clock News: উনিশ শতকের প্রথম দিকে তৎকালীন হেতমপুরের রাজকুমার মহিমা নিরঞ্জন চক্রবর্তী সেই সময়ের জেলা কালেক্টরকে উপহার দিয়েছিলেন এই ঘড়িটি।

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

বীরভূম: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে সিউড়ির ট্রেজারি বিল্ডিং-এর শতাব্দী প্রাচীন বড় ঘড়ির কাঁটা, আর শোনা যায় না সেই ঘুম ভাঙানি ঢং ঢং চেনা শব্দ। মেরামতের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে এই ঘড়িটি‌। ভেঙে গিয়েছে ঘড়ির বহু অংশ। ঘড়িটি মেরামত করে আবার চালু করা হোক, এমনটাই দাবি করছে সিউড়বাসীরা।

শতাব্দী প্রাচীন সিউড়ি শহরের একাধিক ইতিহাসের মধ্যে অন্যতম সাক্ষী হয়ে রয়েছে সিউড়ির ট্রেজারি বিল্ডিং-এর উপরে থাকা এই বিশালাকার ঘড়িটি। কিন্তু প্রায় ৭ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে এই ঘড়িটি।

আরও পড়ুন: কুকুরকে ধর্ষণ প্রৌঢ়র! দিনের পর দিন সারমেয় হেনস্থার ঘটনা, পদক্ষেপ যুবক দলের

আরও পড়ুন: বহরমপুর হোম থেকে হঠাৎই ১১ ছাত্র নিখোঁজ, স্কুলে পড়াশোনা করতে গিয়ে এ কী কাণ্ড!

সিউড়ির এক ইতিহাসবিদ সুকুমার সিংহ বলেন, “উনিশ শতকের প্রথম দিকে তৎকালীন হেতমপুরের রাজকুমার মহিমা নিরঞ্জন চক্রবর্তী সেই সময়ের জেলা কালেক্টরকে উপহার দিয়েছিলেন এই ঘড়িটি। লন্ডন থেকে আনানো হয়েছিল। ১৯০২ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে ট্রেজারি বিল্ডিং-এর উপর এই ঘড়িটি স্থাপন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসন। দশকের পর দশক, ভোর থেকে রাত, এই ঘড়ির শব্দেই সময় বুঝতেন শহরবাসীরা।”

শহরের প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ঘড়িটি এর আগেও বজ্রপাতে খারাপ হয়েছিল ১৯৭০ সালে। পরে ১৯৯৫ সালে সিউড়ি শহরের একজন মেকানিক ঘড়িটিকে পুনরায় ঠিক করেন। তারপর থেকে ওই মেকানিক ওই ঘড়িটি দেখভাল করতেন। কিন্তু ২০১৬ সালে ঘড়িটি পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। এখনোও বন্ধ রয়েছে ঘড়িটি। স্থানীয়রা চাইছেন, ঘড়িটি দ্রুত মেরামত করা হোক।

Subhadip Pal

Published by:Teesta Barman
First published:

Tags: Birbhum news, Clock, Siuri