Birbhum News: দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে স্কুলের মিড ডে মিলে। ডিম-মাছ এখন অতীত, পড়ুয়াদের পাতে এখন কেবলমাত্র সবজি ভাত

Last Updated:

প্রাথমিক শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, সরকারের তরফ থেকে এখন ৪.৯৭ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে পড়ুয়া পিছু মিড ডে মিলের জন্য। কিন্তু বর্তমানে এক পিস ডিমের দামই প্রায় ছয় টাকা। তাহলে কিভাবে আসবে বাকি খাবার ভাত, ডাল, তরকারি?

+
স্কুলে

স্কুলে মিড ডে মিল

#বীরভূম: ভারতের মতো দেশে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সংখ্যা কম নয়। এই সকল পিছিয়ে পড়া পরিবারের পড়ুয়ারা যাতে পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল। আরও একটি লক্ষ্য হলো দুস্থ পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করে তোলা। তবে বর্তমানে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এই মিড ডে মিলের জন্য সরকারের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে কীভাবে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব, তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন!
প্রাথমিক শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, সরকারের তরফ থেকে এখন ৪.৯৭ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে পড়ুয়া পিছু মিড ডে মিলের জন্য। কিন্তু বর্তমানে এক পিস ডিমের দামই প্রায় ছয় টাকা। তাহলে কীভাবে আসবে বাকি খাবার অর্থাৎ ভাত, ডাল, তরকারি? এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক মহলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার নির্দেশ দিলেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
advertisement
এখন যেখানে রান্নার জন্য এলপিজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেখানে একটি সিলিন্ডারের জন্যই হাজার টাকার বেশি লাগে। এরপর আবার রয়েছে অন্যান্য জিনিস পত্রের দাম। ফলে তারা অনেক কাটছাঁট করে যা পাচ্ছেন তাই পড়ুয়াদের পাতে তুলে দিচ্ছেন। ডিম অথবা মাছ, এসব তো এখন অতীত হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কেবলমাত্র শাক-সবজি দিয়েই পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিল দিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
advertisement
advertisement
বীরভূমের লাভপুরের ইন্দাস এলাকার পলশা গ্রামের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, "খারাপ লাগে যখন পড়ুয়াদের পাতে একটি ডিম অথবা এক পিস মাছ তুলে দিতে পারি না। কারণ আমাদের স্কুলের অনেক পড়ুয়া রয়েছেন যারা সকালে না খেয়েই স্কুলে আসে। মিড-ডে-মিলই তাদের অন্নসংস্থান। কিন্তু উপায় নেই। বাধ্য হয়ে আমরা পড়ুয়াদের মুখে কেবলমাত্র সবজি ভাত তুলে দিচ্ছি।"
advertisement
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতি নিয়ে বীরভূম জেলা প্রাথমিক সংসদ চেয়ারম্যান ডঃ প্রলয় নায়েক জানিয়েছেন, "সমস্যা তো ঘোরতর। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন যে সকল স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা কম। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে মিড ডে মিলের খাবার তুলে দিচ্ছেন পড়ুয়াদের পাতে।"
Madhab Das
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বীরভূম/
Birbhum News: দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে স্কুলের মিড ডে মিলে। ডিম-মাছ এখন অতীত, পড়ুয়াদের পাতে এখন কেবলমাত্র সবজি ভাত
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement