#বীরভূম : বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে। আর এই সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় চাষাবাদের। কখনও অতিবৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হতে দেখা যায়, আবার কখনও অনাবৃষ্টিতে। এছাড়া পোকামাকড়ের আক্রমণ, বন্য প্রাণীদের হানা ইত্যাদির কারণে প্রচুর পরিমাণে ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে৷
২০২১ সাল থেকে চাষাবাদের এই ক্ষতির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কৃষকদের দাবি৷ গতবছর পশ্চিমবঙ্গের ওপর একের পর এক নিম্নচাপ আছড়ে পড়তে দেখা যায়। সেই সকল নিম্নচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বীরভূমেও বিপুল সংখ্যক চাষি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই আর্থিক ক্ষতি নিয়ে তাদের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিপূরণের দাবি করতে দেখা যায়। সঠিক জায়গায় গিয়ে আবেদন না করার ফলে মিলছে না সরকারি আর্থিক ক্ষতিপূরণ৷
কীভাবে মিলবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ? জানুন-
বর্তমানে চাষিদের চাষাবাদের ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতিপূরণ যাতে সহজেই দেওয়া যায় তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে একটি বিমা প্রকল্প। যে বিমা প্রকল্পের আওতায় যদি কোনও চাষি নাম নথিভুক্ত করে থাকেন, তাহলে হিসাব কষে তাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে কৃষি দফতর। এমনটাই জানালেন জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক ডঃ এ কে এম মিনাজুর আহসান৷
এক্ষেত্রে যে বিমা প্রকল্পটি রয়েছে সেটি হলো বাংলা শস্য বিমা। এই বিমা প্রকল্পের আওতায় রয়েছে বোরো ধান সহ বিভিন্ন ধান এবং অন্যান্য ফসল। চাষিদের সহজে তাদের চাষের ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য এই বিমা প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করিয়ে রাখতে হবে।
বীরভূম জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা ডঃ এ কে এম মিনাজুর আহসান জানান, বীরভূমের বিপুলসংখ্যক চাষি রাজ্য সরকারের এই বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় যারা নাম নথিভুক্ত করেছেন তাদের চাষাবাদে কোনরকম ক্ষতি হলে সেই ক্ষতির হিসাব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করে তার ক্ষতিপূরণ ওই চাষির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে। এই বিমা প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে যদি কোন অসুবিধার সম্মুখীন হন কৃষক, তাহলে তাকে নিকটবর্তী কৃষি দফতর অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
Madhab Dasনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum, Compensation, Farmer, Natural calamity