Birbhum News : ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রইলেন মন্ত্রী, জেলাশাসক! সকলকে ডেকে নিজেই এলেন না উপাচার্য! পৌষমেলা হবে তো!
- Published by:Piya Banerjee
- local18
Last Updated:
Birbhum News : উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজেই মিটিংয়ে ডেকেছিলেন সকলকে! তারপরেও কেন এই ব্যবহার! কী চান উপাচার্য? পৌষ মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় শান্তিনিকেতন!
#বীরভূম: দু'বছর পর শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার আয়োজন নিয়ে এই বছর শুরুতেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়ে দেয়, প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তারা মেলার আয়োজনে অপারগ। তাদের এই ঘোষণার পর বোলপুর পৌরসভার কাছে তারা মেলার আয়োজন নিয়ে সহযোগিতা চান। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর পৌরসভা তৎক্ষণাৎ নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে মেলা করতে প্রস্তুত এমনই জানায়। মেলা করতে প্রস্তুত হওয়ার পাশাপাশি তারা সপ্তাহখানেক আগে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক এবং অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে নিজেদের সমস্যা এবং সেই সকল সমস্যার সুরাহা কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়।
অন্যদিকে এই বৈঠকের পরই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বীরভূম জেলা প্রশাসনকে একটি চিঠি দিয়ে মেলার আয়োজন সংক্রান্ত বৈঠকে উপস্থিত থাকার আবেদন জানানো হয়। সেই বৈঠক ছিল শনিবার। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আবেদন চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে। সেই মতো শনিবার তাঁরা বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে উপস্থিত হন। কিন্তু এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাঁরা ঠাঁই বসে থাকলেও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দেখা মিলল না।এরপরেই প্রশ্ন উঠছে মেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে! পাশাপাশি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যকে অবমাননা করা হল তা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন জেলাশাসক বিধান রায়।
advertisement
advertisement
এদিন এই বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, বৈঠকের জন্য নিজে আবেদন চিঠি দিয়ে তিনি খোদ বৈঠকে উপস্থিত হলেন না। বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ার কোন কারণ জানানো হয়নি, এমনকি তাকে ফোন করা হলে সেই ফোনও তিনি রিসিভ করেননি। আবার যদি নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠে তাহলে পুলিশ আধিকারিকরা খোদ তাঁকে বাসভবন থেকে আনতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি আসেননি। অবমাননা ছাড়া এ আর কি হতে পারে। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, মানুষের স্বার্থে পৌষ মেলা হবে। অন্যদিকে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহা স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন, মেলা করার সদিচ্ছা ওঁর নেই। তিনি কেবল অজুহাত খোঁজেন যাতে মেলা খেলা বন্ধ করে দেওয়া যায়। আজকের ঘটনা এটাই প্রমাণ করল। তবে বিকল্প হিসাবে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য বজায় রাখতে ডাকবাংলোর মাঠে মেলার আয়োজন করবে জেলা প্রশাসন।
advertisement
Madhab Das
view commentsLocation :
First Published :
November 26, 2022 7:46 PM IST