#বাঁকুড়া : বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের প্রাচীন রথ উৎসব প্রায় ৩৫০ বছরের বেশি প্রাচীন। ১৬৬৫ খ্রীষ্টাব্দে বিষ্ণুপুরের মল্লরাজা বীরহাম্বীর বিষ্ণুপুর শহরের মাধবগঞ্জে রানি শিরোমণি দেবীর ইচ্ছা অনুযায়ী পাথরের পাঁচ চূড়া মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দিরের বিগ্রহ রাধা মদন গোপাল জিউয়ের। এই মন্দিরের অনুকরণে তৈরি করা হয় পিতলের রথ। মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর। মল্লরাজাদের চারিদিকে ছড়ান ঐতিহাসিক স্থাপত্য। রয়েছে ঐতিহাসিক উৎসব। শুক্রবার সোজা রথ। দীর্ঘ দু'বছরের করোনার আবহে বন্ধ ছিল রথযাত্রা। দু বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এবছর মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরে এই উৎসবকে ঘিরে উন্মাদনায় মেতেছে ভক্তেরা। এই রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা নয় সওয়ার হন শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল জিউ। দূরদূরান্ত থেকে এসেছে বিভিন্ন পর্যটকরা। মল্লরাজাদের রাজধানী এই বিষ্ণুপুরে জমে উঠত রথের আসর।
যদিও আগের সেই উন্মাদনায় ভাটা পড়েছে অনেক খানি। কেটে গেছে কয়েক শত বছর। আজ সেই রাজাও নেই, নেই রাজধানী। তবুও রয়ে গেছে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রথ উৎসবের রীতিনীতি। আগে রাজার আমলে বিষ্ণুপুরের একাধিক মন্দিরের রথ বের হত এক সাথে। এখন সেই রথ বিভিন্ন কমিটিতে বিভক্ত।
আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়া জেলায় পালিত হল জাতীয় চিকিৎসক দিবসতাই রথ বের হয় বিভিন্ন কমিটির বিভিন্ন সময়ে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থাকে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা। বিষ্ণুপুরে মাধবগঞ্জ ওকৃষ্ণগঞ্জের রথযাত্রা উৎসব সবথেকে বিলাসবহুল ও নজরকাড়া। বহু দর্শনার্থীদের ভীড় জমায় এই জায়গাগুলোতে।
আরও পড়ুনঃ বয়স মাত্র আড়াই বছর, গড়গড়িয়ে গাইয়ে পারে জাতীয় সঙ্গীতসকাল থেকে প্রাচীন রথগুলিকে সাজানোর কাজে ব্যস্ত। ঐতিহাসিকদের মতে বিষ্ণুপুরের রথের উৎসব শুরু করেন মল্লরাজ রঘুনাথসিং। মল্লরাজাদের রথ উৎসব আজও মাধবগঞ্জ ও কৃষ্ণগঞ্জে সাড়ম্বরে পালিত হয়।
Joyjiban Goswamiনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।