Bankura News:অখণ্ড বাঁকুড়ার দাবিতে প্রতিবাদ বাঁকুড়া শহরে
- Published by:Ankita Tripathi
Last Updated:
অখণ্ড বাঁকুড়াকে পরিবর্তন না করার প্রতিবাদে মিছিল বাঁকুড়া শহরে। প্রতিবাদে সামিল আদিবাসী মানুষজনও
বাঁকুড়া : বাঁকুড়া জেলাকে ভেঙ্গে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর দুই আলাদা জেলার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপর থেকেই দিন দিন জেলাভাগের বিপক্ষে আন্দোলন ঝাঁঝালো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাস্তায় নামা প্রতিবাদীরা,সকলেই এই জেলা ভাগের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার জানিয়েছেন। বাঁকুড়া শহরে জেলা ভাগের প্রতিবাদে গড়ে উঠেছে বাঁকুড়া ভঙ্গ প্রতিরোধ মঞ্চ। এমনকি বাঁকুড়া জেলা ভাগ করার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন আদিবাসী সমাজের মানুষজন।
বাঁকুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলা মুক্ত মঞ্চের সামনে গানের মাধ্যমে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের সামিল হন কয়েকশো মানুষ। তাদের একটাই দাবি, বাঁকুড়া জেলা তাঁদের গর্ব। তাই বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরকে তারা আলাদা করে ভাবতেই পারছেন না। তারা চান না বাঁকুড়া জেলা থেকে ভাগ হয়ে যাক। তাদের দাবি,বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পরিচিতি হল বিষ্ণুপুর টেরাকোটা মন্দির নগরী এবং মা সারদার জন্ম ভিটে জয়রামবাটি।
advertisement
আরও পড়ুন: কবিগুরুর প্রয়াণ তিথির প্রাক্কালে তাঁর বাঁকুড়ায় আসার ঘটনার স্মৃতিচারণা
আন্দোলনের এক সদস্য সংহিতা মিত্র বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য অখন্ড বাঁকুড়া। আমাদের জন্মভূমি, জন্ম মাটি এবং আমাদের ঐতিহ্য,আবেগ, ইতিহাস সম্মান সবকিছু বাঁকুড়াকে নিয়ে। বাঁকুড়াকে যদি ভাগ করে দেওয়া হয় তাহলে কি করে আগামী প্রজন্ম জানবে মা সারদা, যদুভট্ট বা তার মাটির ইতিহাস । তিনি বলেন, একটা জেলাকে দুখন্ড করে তার ঐতিহ্যকে ভেঙে উন্নয়ন করা যায় না। আমরা কেউ বাঁকুড়া বিভাজন চাই না। বাঁকুড়াবাসীর কাছে তিনি অনুরোধ জানান দলমত নির্বিশেষে সবাই এগিয়ে আসুন এবং বাঁকুড়া ভঙ্গের প্রতিবাদে সামিল হন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: ঠাকুরঘরে রোজ পূজিত হন নেতাজি, এই চেয়ারেই বসেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু! অজানা এক গল্প
সুলোচনা মুর্মু নামে এক আদিবাসী মহিলা বলেন, আমরা বাঁকুড়া জেলা দু'ভাগে ভাগ হতে দিতে চাইছি না। তাই তাদের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে তারা একেবারে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়া জেলা ভেঙে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর এই দুই জেলা করার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। এছাড়াও বাঁকুড়া শহরের বুদ্ধিজীবী মহল এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।যদিও অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের অধিবাসীদের একাংশ এই সিদ্ধান্তে খুশি প্রকাশ করেছেন।
advertisement
জয়জীবন গোস্বামী
view commentsLocation :
First Published :
August 08, 2022 5:39 PM IST

