Bankura: জয়রামবাটী মাতৃমন্দিরে নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
- Published by:Soumabrata Ghosh
- hyperlocal
Last Updated:
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর মহকুমার অধীন এবং কোতুলপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম জয়রামবাটী। ১৮৫৩ সালে জয়রামবাটী গ্রামে রামকৃষ্ণ পরমহংসের পত্নী সারদা দেবীর জন্ম হয়েছিল।
#বাঁকুড়া : পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর মহকুমার অধীন এবং কোতুলপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম জয়রামবাটী। ১৮৫৩ সালে জয়রামবাটী গ্রামে রামকৃষ্ণ পরমহংসের পত্নী সারদা দেবীর জন্ম হয়েছিল। রামকৃষ্ণ পরমহংসের অনুগামীদের কাছে এই গ্রামটি তাই একটি তীর্থস্থানের মর্যাদা পায়। এই মঠের মধ্যে আছে মাতৃমন্দির, মায়ের পুরাতন বাটী ও নূতন বাটী, পূর্ণপুকুর ও সুন্দরনারায়ণ ধর্মঠাকুরের মন্দির। এই জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে পুজা ভান্ডার ও ভোগ রান্নার জন্য একটি নতুন ভবন নির্মানের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বেলুড় মঠের সহ সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ। বাঁকুড়ার জয়রামবাটি জগতজননী মা সারদার জন্মভিটে। জয়রামবাটি মাতৃমন্দির চত্বরে রয়েছে ১৯৬২ সালে নির্মিত একটি পুরানো বাড়ি। যেখানে রয়েছে মায়ের পুজা ভান্ডার, মায়ের ভোগ ভান্ডার এর সাথে রয়েছে সেখানে বসবাসকারি সাধুদের ডাইনিং হল। বর্তমানে বাড়িটি জরাজীর্ন অবস্থায় পড়েছিল। একাধিকবার মেরামত করে কোনক্রমে বাড়িটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাও করা হয়।
এবার পাকাপাকিভাবে সেই বাড়িটি পুনর্নিমানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মাতৃমন্দিরের সমিতির পক্ষ থেকে তরফে। বুধবার সেই নতুন ভবন নির্মানের ভিত্তি প্রস্তর করলেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের সহ সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ।
আরও পড়ুনঃ হাতিতে রক্ষে নেই, সঙ্গে নেকড়ে দোসর! দুই আতঙ্ক বাঁকুড়ার জঙ্গলে
মাতৃ মন্দির সূত্রে জানা গেছে এই পরিকল্পিত নবনির্মিত ভবনটির মধ্যে মায়ের পুজো ভান্ডার, ভোগ ভান্ডার, স্টোর, সাধুদের সেবা ও নানান কাজে ব্যবহার হবে। একতলা বিশিষ্ট এই ভবনের আয়তন হবে প্রায় ১০ হাজার স্কোয়ার ফুট এবং এই ভবনটির তৈরি হতে আনুমানিক খরচ হবে ৩ কোটি টাকা। জয়রামবাটী মাতৃ মন্দিরের মহারাজ স্বামী তপন মহারাজ বলেন ১৯৬২ সালে মন্দির সংলগ্ন এই বাড়িটি প্রথম নির্মিত হয়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ কবিগুরুর প্রয়াণ তিথির প্রাক্কালে তাঁর বাঁকুড়ায় আসার ঘটনার স্মৃতিচারণা
এখানে সমস্ত ভক্তদের জন্য কিচেনের ব্যবস্থা ছিল এবং সাধু সবাই ব্যবহৃত হতো এই পুরোনো বাড়িটি। মা সারদা এখানে যে ভক্ত সেবা শুরু করে গেছেন সেটিকে অব্যাহত রাখার জন্য এইরকম একটি নতুন বাড়ির নির্মাণ প্রয়োজন ছিল।
advertisement
Joyjiban Goswami
view commentsLocation :
First Published :
August 10, 2022 8:21 PM IST