#আলিপুরদুয়ার : যেকোনও দিন নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে বাড়িঘর।আতঙ্কে ভুগছেন ফালাকাটা ব্লকের আলিনগর পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টিতে শুরু হয় নদী ভাঙন। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হতে বসেছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। এখনও পর্যন্ত নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বহু জমি। বার বার প্রশাসনে বিষয়টি জানানো স্বত্বেও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। এমনই ছবি ধরা পড়লো আলিপুরদুয়ার জেলার ফলাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিনগর পূর্বপাড়া এলাকায়। আশঙ্কা ও আতঙ্কে প্রহর গুনছেন এলাকাবাসীরা।
জানা গিয়েছে, বহুবার দাবি জানানোর পরেও পাড় বাঁধ দেওয়া হয়নি বীরকিটি নদীতে। ফলে জটেশ্বর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিনগর পূর্বপাড়ায় ইতিমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়েছে ওই এলাকায় প্রবেশের রাস্তা। ভিটেমাটি ছাড়ার আশঙ্কায় রয়েছে বহু পরিবার। বীরকিটি নদীতে বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই। এই নদীর পাড়ে বেশ কয়েকটি পরিবারের বসবাস।
আরও পড়ুনঃ বক্সার গহীন অরণ্যই এখন নতুন ঠিকানা ঝাড়গ্রামের দাঁতালের!
ভাঙ্গন রোধের কোনও ব্যাবস্থা না থাকায় প্রতিবছর নদীতে বহু কৃষি জমি, গাছ বাগান সহ বাড়ি তলিয়ে যায়। গ্রামে ঢোকার রাস্তাটি ছিল নদীর ধারে। সেটিও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে ভাঙ্গনের জেরে প্রায় ১৫ টি পরিবারের যাতায়াতের উপায় কার্যত নেই বললেই চলে। কোথাও যেতে হলে ধানের জমি কিংবা অন্যের বাড়ির উঠোন দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রশাসনকে বহুবার জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা নিজেরা টাকা একত্রিত করে বালির বস্তা কিনে রাস্তা তৈরি করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আদিবাসী নৃত্যের প্রশিক্ষণ আলিপুরদুয়ারে
কিন্তু বৃষ্টিতে সেই রাস্তাও শেষ। প্রতি সময় নিজেরা টাকা জোগাড় করে রাস্তা তৈরি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়াদের বেশি। নদী পেরিয়ে চলাচল করে তারা। অভিভাবকদের ভয় লেগেই থাকে। বেশি বৃষ্টি হলে ভয়ঙ্কর রূপ নেয় এই নদী। তখন আর স্কুলে যেতে পারে না পড়ুয়ারা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি কবে মিলবে? প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা। তাদের আওয়াজ কি প্রশাসনের কান অবদি পৌঁছাবে না? প্রশ্ন প্রতিটি এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
Annanya Dey
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar, Falakata