প্রচারের আলোকবৃত্তর অনেক দূরে থেকেও স্বপ্ন দেখাচ্ছে শ্যামলিমা প্রকল্প
Last Updated:
প্রচারের আলোকবৃত্ত থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে থাকতেই পছন্দ করেন তাঁরা। দূরে থাকলেও, সরে থাকেন না। নিঃশব্দে কাজ করে চলেন
#কলকাতা: প্রচারের আলোকবৃত্ত থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে থাকতেই পছন্দ করেন তাঁরা। দূরে থাকলেও, সরে থাকেন না। নিঃশব্দে কাজ করে চলেন। এই দেশ, এই সময় আর আমাদের জন্য। তাঁদের নিয়েই আমাদের তিনি স্বপ্ন দেখান। স্বনির্ভরতার পাঠ দেন। নিজেরা উচ্চশিক্ষিত। বিদেশের দামি চাকরি ছেড়ে নিজেদের গ্রামে ফিরে তৈরি করেছেন ফার্ম । সপ্তর্ষি ও জয়লক্ষ্মী সিংহ রায়ের গল্প ঠিক এমনটাই।
আরও পড়ুন বালুরঘাটে কৃষকদের মুখে ফুটল হাসি
অর্থের অভাব ছিল না কোনওদিন। এমবিএ। দেশ, বিদেশে দামি চাকরি। উজ্জ্বল কেরিয়ার। সব ছেড়ে সপ্তর্ষি সিংহ রায় একদিন ফিরে আসেন ছেলেবেলার গ্রামে। হুগলির ধনেখালি ব্লকের মাকালপুরে। সময় ২০১৪। গ্রামে তাঁদের কয়েকশো বিঘা পৈত্রিক জমি। সেখানেই শুরু করেন জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ। মাছচাষ। পশুপালন। এখানে কাজ করেন গ্রামের চাষিরাই । একশো দিনের কাজ ছেড়ে অনেকেই এখন ফার্মের কাজে হাত লাগিয়েছেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : হোটেলে উদ্ধার মৃত দম্পতির নিথর দেহ
কৃষিমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্ণেন্দু বসু মাকালপুর ফার্ম হাউজে এসে চালু করেছিলেন শ্যামলিমা প্রকল্প। বর্তমানে সেই প্রকল্প দেখাশোনা করেন সিংহ রায় দম্পতি। গ্রামের মহিলারা এই প্রকল্পে বাড়ির বাড়তি জায়গায় কৃষিকাজ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
advertisement
মাকালপুর ফার্মের মূল উদ্দেশ জৈব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রকৃতির দেওয়া উপাদানকে ব্যবহার করে মানুষের কাছে বিশুদ্ধ খাবার পৌঁছে দেওয়া। কৃষিকাজের পাশাপাশি দেশি ডিম সরবরাহে রাজ্যকে স্বনির্ভর করে তুলতে উদ্যোগও নিচ্ছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে বাঁকুড়ার কোতলপুর, তাজপুরে গ্রামে মহিলাদের ৩০ টি করে মুরগি দিচ্ছেন তাঁরা।
বর্তমানে রাজ্যের আটটি জেলায় ছোট ছোট গোষ্ঠী করে চলছে বিশাল এই কর্মকাণ্ড। সংখ্যাটা আরও বাড়বে আগামীদিনে। সিংহ রায় দম্পতির আশা, তাঁদের মত আরও অনেকেই রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কাজে এগিয়ে আসবেন।
Location :
First Published :
April 07, 2018 7:52 PM IST